জীবনে চলার পথে অর্থের অনেক প্রয়োজন রয়েছে। অর্থ ছাড়া কোন কর্মই সম্পাদন করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই অর্থ অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে। সব সময় আমাদের কাছে কিছু তরল অর্থনীতি প্রয়োজন। যে অর্থনীতি বাজে টাকা পয়সা আমাদের সব সময় প্রয়োজন মেটাতে পারে। কিন্তু তারপরে ও সকলের কাছে সব সময় এ ধরনের অর্থ বা টাকা পয়সা গোছানো থাকে না। কারণ সংসার চালানোর জন্য বিভিন্ন দিক থেকে আসা অর্থ গুলি বিভিন্নভাবে আবার খরচ হয়ে যায়। তাই জীবনের কখনো কোনো কঠিন মুহূর্ত এসে উপস্থিত হলে তখন আমাদের নিরুপায় হয়ে যেতে হয়। তখন ভাবতে হয় কোথায় থেকে কিভাবে টাকা পয়সা জোগাড় করা যাবে।
যদি কোন উপায় না থাকে তাহলে মানুষের শেষ সম্বল টুকু অর্থাৎ হয়তো ভিটেমাটি বাড়িঘর অথবা অন্যান্য কোন ফসলের জমি দিকে হাত বাড়াতে হয়। সকল জমি বা অন্যান্য সম্পদ একেবারে নিরুপায় হয়েই হয় বিক্রয় করতে হয় না হলে আরেকটি পথ রয়েছে যেটি হল জমি বা অন্যান্য সম্পদ বন্ধক রেখে টাকা যোগাড় করা। এরকমই একটি বিষয় হল জমি বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে লোন সংগ্রহ করা।
ব্যাংক বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান সবসময় তারা কোন কিছুর বিনিময় অর্থাৎ বন্ধক রেখে তারা তাদের অর্থ গ্রাহকদের দিতে চায়। এতে তাদের যেমন সুখ পায় এছাড়াও অর্থের লালনের গ্যারান্টি হিসেবে কোন কিছু তাদের হাতের রেখে দিতে হয়। সেরকমই একটি বিষয় হলো ব্যাংকে জমির দলিল আমার কেস রেখে অর্থ ধার করা। এক্ষেত্রে জমির দলিল রেজিস্ট্রি অফিসে সেই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নামে জমির দলিল রেজিস্ট্রি করে দিতে হয়। তারপর সেই আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক বীমা গ্রাহককে অর্থ ধার দিয়ে থাকে।
এবং সেখানে উল্লেখ করা থাকে নির্দিষ্ট সময়ের। হতে পারে সেটাই তিন বছর পাঁচ বছর সাত বছর ১০ বছর ১৫ বছর অথবা ২০ বছরের। এই মর্টগেজ লোনের ক্ষেত্রে ব্যাংকের কাছে জমি বা অন্য কোন স্থায়ী সম্পদ জামানত হিসেবে রেখে আমাদের তাদের কাছ থেকে অর্থ ধার বালন নিতে হয়। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত জামানত মাধ্যমটি হচ্ছে জমির দলিল।
অনেক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ বা কোনো স্থায়ী সম্পদ কেনার উদ্দেশ্যে মর্টগেজ লোন নিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই কেনা জমি অর্থাৎ ক্রয় সূত্রে জমির মালিক অথবা উত্তরাধিকার সূত্রে জমির মালিক হলে আমাদেরকে সেই সকল কাগজপত্র ব্যাংকে দিতে হবে। ব্যাংক এ সকল কাগজপত্র দি ই দেখে বা এ সকল দলিল দেশ তাবিজ রেখে দিয়ে তারা একটি চুক্তিনামা তৈরি করেন।
এখানেও দাতা হলেন যিনি ঋণ গ্রহণ করবেন তিনি তার সকল কাগজপত্র অর্থাৎ যে জমিটি রেখে তিনি ঋণ গ্রহণ করবেন সেই জমিটির সকল কিছু দলিল খতিয়ান বা আরো যে সকল বৈঠক কাগজপত্র থাকে সে সকল কাগজপত্র ব্যাংকে জমা দিয়ে ব্যাংক সেই কাগজপত্র অবশ্যই সাব রেজিস্ট্রি অফিসে মর্টগেজ রেজিস্ট্রি করে নেন। যাতে করে ঋণ গ্রহিতা ঋণ দিতে কালক্ষেপণ করলে এই জমিটির মালিক হয়ে যাবে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি।
আর যদি সময়মতো ব্যাংকের সকল কিস্তি পরিশোধ করলে অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ের পর অর্থাৎ যে সময়টি চুক্তিতে লিখা রয়েছে সেই সময় পার হলে জমি আবার ফেরত পাবে। তাতে কোন সমস্যা হয় না বা হবেনা। কিন্তু ব্যাংকের কিস্তি সময় মতো পরিশোধ না করলে জটিলতার সৃষ্টি হয়। তাই আমাদের উচিত হবে যে ব্যাংক থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ নির্দিষ্ট কোন জমির বিপরীতে ঋণ গ্রহণ করলে যথা সময়ে ব্যাংকের সকল কিস্তি পরিশোধ করা।
এতে করে দুই পক্ষই লাভবান হতে পারে। তাহলে আজকে আপনারা আমাদের এই পোস্ট থেকে অবশ্যই আপনার জমির দলিল দিয়ে ব্যাংক থেকে বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কিভাবে ঋণ গ্রহণ করা যায় সে সকল সম্পর্কে বিস্তারিত দেখতে পারলেন বা বুঝে নিতে পারলেন। এখন যদি আপনার এ ধরনের অর্থের প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই ব্যাংক থেকে আপনি আপনার প্রয়োজনে অর্থ ঋণ নিতে পারবেন।