ভূমি ভার্চুয়াল রেকর্ডরুম

আগামী ৬ মাসের মধ্যে বাংলাদেশের সব জেলাই ভার্চুয়াল রেকর্ড রুম চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন আমাদের ভুমি প্রতিমন্ত্রীর জনাব সাইফুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেন যে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হওয়া শুধুমাত্র ঢাকা কালেক্টরেট ভার্চুয়াল রেকর্ড রুম নতুন বছরে ঢাকার অধিবাসীদের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে। ভূমি ব্যবস্থাপনা রিফর্ম এর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করেছেন আমাদের ভুমি প্রতিমন্ত্রী।

কারণ বর্তমানে অনেক সহজ ভাবেই দেশের জনগণ অর্থাৎ প্রান্তিক অঞ্চলের জনগণ ভূমি সম্পর্কে সেবা পেয়ে যাচ্ছে। তারা চিন্তা-ভাবনা করছে যে আরো কিভাবে আরো বেশি সহজ ভাবে এই কাজগুলোই জনগণ করতে পারে। কারণ বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার অনুযায়ী এই বিষয়গুলি দেখভাল করছেন ভূমি মন্ত্রণালয়। একটা সময় ছিল যখন বাংলাদেশের জনগণ ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওপর বীতশ্রদ্ধ ছিল। কিন্তু বর্তমানে সকল জনগণ ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওপর খুব খুশি রয়েছে।

কারণ তারা দেখছে ভূমি মন্ত্রণালয় যে ধরনের সেবা প্রদান করছে প্রত্যেকটি জনগণকে তাদের আর ভূমি অফিসে গিয়ে সেবাগলী গ্রহণ করতে হচ্ছে না তাই তারা অভিমন্ত্রণালয়ের উপর বেজায় খুশি রয়েছে। এই প্রসঙ্গে মন্ত্রণালয় বলেন যে ভূমি ব্যবস্থাপনার ধর্মের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে আপনারা আরো বেশি কিছু পেতে পারেন এই ভুল মন্ত্রণালয় থেকে। তাদের কাজের গতি বেড়েছে তাদের কাজের মান বেড়েছে। জনগণের এখন আর দালাল ধরে মন্ত্রণালয়ের বা ভূমি অফিসের কাজ গুলি করতে হয় না।

তারা নিজেরা নিজেরা বাড়িতে বসে থেকে কিছু তথ্য প্রদান করে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দ্বারা সকল কাজ গুলি সম্পাদন করতে পারছে। এতে বাংলার জনগণ যেমন খুশি তেমনি আমরা যারা ভূমি মন্ত্রণালয় কর্মরত রয়েছে তারাও অনেক খোস মেজাজে রয়েছে জনগণকে এ ধরনের সেবা প্রদান করতে পেরে। দেশের বাণিজ্যিক স্বার্থে উপস্থিত ভুমি কর্মকর্তাদের কম্পানি টু কোম্পানি হস্তান্তর হওয়া জমির নামজারির যত দ্রুত সমস্যা করা যায় সেই রকম ধরনের নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন ভূমি মন্ত্রণালয় এর মন্ত্রী মহোদয় সাহেব।

মন্ত্রী মহোদয় বলেন আমরা নামধারী ফাস্ট ট্র্যাক বিবেচনায় সাত দিনের মধ্যে করা যায় সে ব্যাপারে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেব। বাংলাদেশের প্রত্যেকের মালিকগণ land.com.bd অথবা rsk. land.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যেকোন স্থান থেকে আরএস খতিয়ান ও মৌজা ম্যাপ দেখা যাবে। এছাড়া তারা আরো একটি সেবা পাবে যেটি হচ্ছে মাত্র ৪৫ টাকার বিনিময়ে মোবাইল কিংবা অন্যান্য ডিভাইসের মাধ্যমে অনলাইনে পেমেন্টের মাধ্যমে ফ্রি পরিশোধ করে সরাসরি কিংবা ডাকযোগে তিন কার্য দিবসের

মধ্যে আর এস খতিয়ান এবং মৌজা ম্যাপ এর সার্টিফাইড কপি পাওয়া যাবে। তাই আমরা দেখতে পাচ্ছি যে বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয় বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে কতটা এগিয়ে চলেছে। তাই আমাদের কেউ অবশ্যই ভূমি মন্ত্রণালয়ের সকল কাজগুলি বুঝে নেওয়ার জন্য এবং নিজে নিজে যাতে করতে পারি সে বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। সকল অভিজ্ঞতা অর্জন করার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই তথ্যপ্রযুক্তিগত ব্যবহারের দিক থেকে অবশ্যই এগিয়ে যেতে হবে।

সরকার আমাদেরকে সেবা প্রদান করতে ইচ্ছুক কিন্তু সেই সেবা প্রধান বা সেই সেবা গুলি যদি আমরা গ্রহণ করতে না পারি তাহলে সরকারের এই সদিচ্ছার কোন মূল্য থাকবে না। কারণ পৃথিবীতে এখন সব দেশি তথ্য প্রযুক্তিগত দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই আমাদের বাংলাদেশকেও বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এই তথ্য প্রযুক্তিগত দিক থেকে এগিয়ে যেতে হবে। তারই প্রেক্ষিতে আমাদের সকলকে অবশ্যই স্মার্ট নাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে হবে। কারণ বাংলাদেশকে বর্তমান সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন এবং তারা সেদিকে অগ্রসর হচ্ছেন।

তাই বাংলাদেশের জনগণকেও অবশ্যই স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। এখন বিশ্বের সকল দেশ তথ্যপ্রযুক্তিগত দিক থেকে এতটাই এগিয়ে গেছে যে আমরা অনেক পিছনে পড়ে গেছি। তাই আমাদের কেউ বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এই ধরনের তথ্য পেতে আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন এবং আমাদের পাশে থাকবেন। তাহলে আপনারাও অবশ্যই তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি সম্পর্কে এগিয়ে যাবেন বলেই আশা রাখি।