প্রথমে আমারে জেনে নিতে হবে যে খতিয়ান বিষয়টি কি। খতিয়ানের অর্থ হলো হিসাব। সাধারণভাবে স্বত্ব সংরক্ষণ ও রাজস্ব আদায়ের উদ্দেশ্যে জরিপ বিভাগ কর্তৃক প্রত্যেক মজার ভূমির মালিক বা মালিকগণের নাম পিতার নাম অথবা স্বামীর নাম স্থায়ী ঠিকানা অংশ এবং তাদের সত্তাধীন সমূহের নম্বর সহ ভূমির পরিমাণ শ্রেণী দের জন্য দেওয়া খাস না ইত্যাদি বিবরণ সহ ক্রমিক সংখ্যা অনুসারে যে স্বত্ব তালিকা বা স্বত্বের রেকর্ড প্রস্তুত করা হয় তাদের প্রত্যেকটি কে খতিয়ান বলা হয়ে থাকে। এখন এই খতিয়ানের বিষয়টি আসলেই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ এখানে জমির মালিকের নাম জমির অংশ প্রতিরো খাজনা স্থায়ী ঠিকানা ইত্যাদি সহ সকল বিষয়ে এখানে উল্লেখ থাকার কারণে এই কাগজটি জমিন দলিলের ক্ষেত্রে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বহন করে থাকে। তাই যেকোনো সময় জমির মালিকানা যাচাইর ক্ষেত্রে খতিয়ানটি চেয়ে বসেন সকল ক্ষেত্রেই।
কারণ আমরা দেখেছি যে আমাদের সমাজে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে সবসময় একটি ঝামেলা বা ভুল বোঝাবুঝি হয়েই থাকে। এ সকল ভুল বোঝাবুঝি বা মালিকানা প্রমাণের জন্য দলিলের পাশাপাশি অবশ্যই এই খতিয়ান প্রদর্শিত করতে হয় না তাহলে আমরা ঘুমের আসল মালিক কে এ সম্পর্কে জানতে পারি। তাই আজকে আপনারা যারা আমাদের এই পোস্টটিতে এসেছেন বি এস খতিয়ান ফরম বিষয়টি জেনে নেওয়ার জন্য তারা অবশ্যই সে বিষয়টি সম্পর্কে বুঝে নিতে পারবেন আমাদের এখান থেকে। তবে তার জন্য তাদেরকে অবশ্যই আমাদের এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে যেতে হবে। এছাড়াও জমিজমা সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়গুলি সম্পর্কে আপনাদেরকে বুঝে নিতে হলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি আপনারা ভিজিট করবেন।
আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করলে আপনারা অবশ্যই জমিজমা সংক্রান্ত যে বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলি সম্পর্কে অনেক বেশি জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন বলেই আশা রাখি। তাহলে আজকে আমরা এখান থেকে দেখে নিলাম প্রথমে খতিয়ান বিষয়টি কি। এখন বিএস খতিয়ানের ফরম সম্পর্কে আমাদেরকে অবশ্যই জেনে নিতে হবে। আমরা জানি বা আমাদের জানা রয়েছে যে খতিয়ান সাধারণত চার ধরনের হয়ে থাকে। এই চার ধরনের খতিয়ান এর মধ্যে বিএস খতিয়ান হলো এক প্রকার। এখন আগের চার ধরনের খতিয়ানের নাম সম্পর্কে আমরা জেনে নিই। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে চার ধরনের খতিয়ান রয়েছে। যথা: এক. সি এস খতিয়ান, দুই. এস এ খতিয়ান, তিন. আর এস খতিয়ান. এবং চার. বিএস খতিয়ান/সিটি জরিপ।
আমরা এখন এই চার প্রকারের খতিয়ানের নামসমূহ দেখে নিলাম এবং এখন দেখে নিতে হবে এই চার প্রকার খতিয়ানগুলি আলাদা আলাদা কেন। সিএস খতিয়ান এটি ব্রিটিশ আমলে অর্থাৎ ১৯৪০ সালে সরকার জরিপের মাধ্যমে যে খতিয়ান প্রস্তুত করেছিলেন তাকে সিএস খতিয়ান বলে। এস এ খতিয়ানটি হলো ১৯৫০ সালের রাষ্ট্রীয় অধিকগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের ২৭ হতে ৩১ ধারা অনুযায়ী 1956 থেকে 60 সালে যে খতিয়ান প্রস্তুত করা হয় তাকে এস এ খতিয়ান বলা হয়। এরপর আবার আরএস খতিয়ানটি হল এই আইনের ১৪৪ ধারা অনুভূতি বাংলাদেশ সরকার খতিয়ান প্রস্তুত করার উদ্যোগ নেন।
সেই খতিয়ান কে বলা হয় আর এস খতিয়ান। এরপর আমরা ৪ নং সেই বিএস খতিয়ান কি সে সম্পর্কে জেনে নিই। বিএস খতিয়ান বা সিটি জরিপ হলো ১৯৯৮-৯৯ সাল হতে বর্তমানে চলমান জরিপকে bs খতিয়ান বা সিটি জরিপ বলা হয়। এই বি এস খতিয়ান টির মধ্যেও অন্যান্য খতিয়ানের মত জমি মালিকের নাম পিতা বা স্বামীর নাম হিজামা অংশ স্থায়ী ঠিকানা জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর পদে ও খাজনার পরিমাণ এ সকল সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য থাকে। তাই আমাদের অবশ্যই সকল ধরনের খতিয়ান প্রয়োজন রয়েছে। তাই যেকোনো ধরনের ক্ষতি আমি হোক না কেন সেই খতিয়ান সম্পর্কে জানার অধিকার আমাদের অবশ্যই রয়েছে। এবং বিএস খতিয়ানে যে ফরম ব্যবহার করা হয় তা অন্যান্য খতিয়ানের মতোই। এবং এখানেও অন্যান্য জরিপের মতো এই জরিপে এই সকল তথ্য গুলি দেওয়া হয়ে থাকে।