জমি মাপার হিসাব

আমরা প্রায়য়সী দেখে থাকি জমিজমা পরিমাপ করা হচ্ছে বা মাপযোখ করা হচ্ছে। জমিজমা পরিমাপ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। জমি জমা মাপার অনেকগুলি পদ্ধতি রয়েছে। এবং সেই পরিমাপ করার হিসাব গুলি বা এককগুলি রয়েছে বিভিন্ন ধরনের। জমজমা পরিমাপ করার সব একক গুলি পরিচিত রয়েছে বা প্রচলিত রয়েছে। এ সকল এককগুলি দ্বারা জমি পরিমাপের হিসাব করা হয়ে থাকে। যে সকল এককগুলি জমি পরিমাপের সময় ব্যবহৃত হয় তাই সেগুলি হল শতাংশ, একর, কাঠা, বর্গমিটার বর্গ ফিট ইত্যাদি।

আপনারা যারা আমাদের এই পোস্টে এসে জনমে পাবার হিসাব দেখার জন্য তারা অবশ্যই আমাদের এই পোস্ট থেকে মাপার হিসাব পেয়ে যাবেন। হিসাব ছাড়া কোন কিছুই পরিমাপ করা সম্ভব নয়। তাই এ সকল হিসাবগুলি আমাদের জেনে রাখতে হবে তাহলেই জমি পরিমাপ করতে পারবো। আমাদের সমাজে আমরা দেখে থাকি যে জমি তোমার সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে পার্শ্ববর্তী জমির মালিকদের সঙ্গে প্রায়সই বিভিন্ন ধরনের ঝগড়া বিবাদ ফ্যাশন গন্ডগোল ইত্যাদি লেগেই থাকে।

এই বিষয়গুলি ঘটে থাকে শুধুমাত্র জমি জমার হিসাব-নিকাশ করে না বোঝার কারণে। আমরা সকলেই যদি জমি তোমার হিসাব বা পরিমাপের এককগুলি সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝে উঠতে পারতাম বা জানতে পারতাম তাহলে অবশ্যই এই ঝগড়া বিবাদ একসাথে গন্ডগোল তাকে অন্যের সহিত লেগে থাকত না। তাই আমাদের সকলেরই উচিত জমি পরিমাপের হিসাব নিকাশগুলি একটু ভালোভাবে বুঝে নিতে পারলে এবং সকলে বসে সকলের জমি একসঙ্গে পরিমাপ করা হলে বিষয়টি সকলেই ঠিকমতো বুঝে নিতে পারব তখন আর গন্ডগোল ফ্যাসাদ লাগত না।

কিন্তু আমার দেখা যায় যে অনেকেই বুঝেও না বোঝার ভান করে। মানে তাদের ভাষায় এরকম যে বিচার মানি কিন্তু তালগাছটা আমার। এরকম স্বভাবের লোকজন আমাদের সমাজের অভাব নেই। তাই তাদের মানসিকতাই থাকে অন্যের সাথে গন্ডগোল ফাঁসাবে জড়িয়ে পড়বো সব সময়। কিন্তু আমার আমাদের সমাজে ভালো মানুষের অভাব নেই। তারাও গন্ডগোল শাসন করতে চায় না। আর সেই কারণে আমরা সকলেই যদি জমে জমার পরিমাপের বিষয়গুলি ভালোভাবে বুঝে নেই তাহলে কখনোই জমিজমা পরিমাপ সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে একে অন্যের সহিত ঝগড়াঝাটি হবে না। কারণ হলো সমাজে দুইটি জিনিস নেই মানুষের সহিত অপর মানুষের গন্ডগোলের সৃষ্টি হয়।

আর এই দুইটি বিষয়ের একটি হল জমি অপরটি মেয়ে। অর্থাৎ মানুষ ভালোভাবে থাকতে চাইলেও এই দুইটি জিনিস থাকলে ভালো মানুষকেও মানুষ ভালো থাকতে দেয় না। কারণ এই দুটি বিষয়ের প্রতি বেশিরভাগ মানুষের লোভ লালসার শিকার হতে হয়। তাই যদি এই দুইটি সম্পদ মানুষের থাকে তাহলে অনেক চিন্তা ভাবনা করে সমাজের বসবাস করতে হয়।

জমির হিসাব গুলি যদি আমরা ভালোভাবে বুঝে নিতে পারি তাহলে অন্যের সাথে আর ঝগড়াঝাঁটি করতে হয় না। পরিমাপ গুলি বা পরিমাপের এককগুলির সাথে অপর এককের যে সম্পর্কগুলি রয়েছে সে সম্পর্ক গুলো আমাদেরকে ভালোভাবে বুঝে নিতে হয়। তাহলে অবশ্যই সমাজে মান-সম্মানের সহিত আমরা বেঁচে থাকতে পারবো। ভূমির পরিমাপের ক্ষেত্রে আমরা দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থের হিসাব জানতে হয়। কারণ দীর্ঘ ও প্রস্থার গুনফালি হলো ওই ভূমির পরিমাপ। তবে এ সকল জমির হিসাবগুলি শুধুমাত্র আয় থাকার বর্গাকার এই সকল জমির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়ে ওঠে।

কিন্তু আমাদের দেশে বেশিরভাগ ভূমি আয় থাকার হলেও অন্যান্য আকারের ভূমিও রয়েছে। তখন এ সকল ভূমিকে পরিমাপ করার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই ভূমি জরিপের যে বিশেষ শিক্ষা সেই শিক্ষা থেকেই কাজে লাগাতে হয়। এ কারণে আমাদেরকে ভূমি পরিমাপের যে যে বিষয়গুলি রয়েছে সেই সকল বিষয়গুলি সম্পর্কে একটু ভালোভাবে জ্ঞান রাখলেই আমরা তা পরিমাপ করতে পারব।

তাই আপনারা আমাদের এই পোস্টটিকে দেখে নিতে পারলেন যে ভূমির পরিমাপ কিভাবে করা হয় এবং ভূমির পরিমাপ করতে কোন কোন নিয়ম-কানুন এবং হিসাব-নিকাশগুলি আপনাদের জেনে রাখতে হয়। তারপরও আপনারা যদি এই জমির হিসাব গুলো মনে রাখেন তাহলেও জমির পরিমাপ করতে পারবেন। জমি পরিমাপের সূত্রঃ প্রথমে জমিখণ্ডের দৈর্ঘ্য ও প্রস্ত কত ফুট তা বের করুন। জমির চার দিকের মাপ সমান না হলে দৈর্ঘ্য ও প্রস্তের গড় বের করুন। এরপর দৈর্ঘের সাথে প্রস্তের গুনফলকে ৪৩৫.৬ দ্বারা ভাগ করুন। এতে যা বের হবে, সেটাই জমির পরিমাণ (শতাংশে)।