দলিল যার জমি তার

আমরা জানি আমাদের বাংলাদেশে জমি নিয়ে জটিলতার শেষ নেই। শুধু বাংলাদেশ নয় আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ দেশগুলোতেই এরকম ধরনের বিষয় লক্ষ্য করা যায়। আমরা অনেক সময় দেখতে পাই যে জমি একজনার নামে দলিল রয়েছে কিন্তু জমিটি আরেক জন খুব দখল করে আছে দীর্ঘদিন ধরে। কারণ সে জমির দলিল তাদের কাছে নেই। দলিল যার কাছে রয়েছে সে আবার জমির দখল করার অধিকার পাচ্ছে না।

কারণ জবরদখল করে নিয়ে বসে আছেন সেই সকল লাঠিয়াল বাহিনী। এবং দুর্বল লোকের অনেক ধরনের সমস্যার মধ্যে এই একটি সমস্যায় ভুগছেন তারা দীর্ঘদিন ধরে। কারণ জমি তার নামে বা তার দলিলে রয়েছে কিন্তু শুধুমাত্র দলিলেই রয়ে গেছে মুখ দখল করার অধিকার পাচ্ছে না। কোন এক কারণে হয়তো প্রথমে সে সকল জমিগুলি তারা দখলে নিয়ে নেয় তারপর থেকে আর সেই জমির দখল কোনমতেই তারা হস্তগত করতে পারছে না।

আর এ ধরনের সমস্যা আমাদের বাংলাদেশে অহরহ ঘটেই চলেছে। তাই এই সমস্যার সমাধান করতে বর্তমান ভূমি মন্ত্রী জনাব সাইফুজ্জামান চৌধুরী উঠে পড়ে লেগেছেন। কারণ বর্তমান ভূমি মন্ত্রণালয় অর্থাৎ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় অনেক স্বচ্ছতার সহিত অনেক সুন্দর সুন্দর কাজ তারা জনগণকে উপহার দিচ্ছে। সেই কারণে বর্তমান ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপর মানুষের আস্তা বেড়ে গেছে। আর সে কারণেই বাংলার জনগণ আশা করে আছেন যে দলিল যার জমিদার এই আইন যদি হয় তাহলে বাংলার জনগণ অনেক সুফল পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

২০২৩ সালের ৯ই ফেব্রুয়ারি তারিখে বর্তমান ভূমি মন্ত্রী জনাব সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন যে অর্থাৎ জাতীয় সংসদের অধিবেশনে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন যে আগামী মাসেই তারা এ আইনটি সংসদে উত্থাপন করতে পারবেন। এবং এই আইনটি সংসদে উত্থাপিত হলে এবং সেটি যদি পাস হয় তাহলে অবশ্যই বাংলার জনগণের দুঃখ হিসেবে বলেই মনে করা হয়ে থাকে।

কারণ হলো ভূমি আইনের বিভিন্ন জটিলতার কারণে এ সকল সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। জমি একজনের কিন্তু জবরদখল করে ভোগ করছে আরেকজন। এবং অসহায় ভূমি মালিক শুধু চেয়ে চেয়ে দেখে এবং আইনের বিভিন্ন মার-প্যাচে তারা ঘোল খেতে থাকে। তাই আমরা আশা করি যে মন্ত্রী মহোদয়ের সদিচ্ছা থাকলে অবশ্যই বাংলার প্রান্তিক মানুষের সুফল পেতে আর বেশি দেরি লাগবে না। তারা অচিরেই এই আইন পাশ হয়ে গেলে অবশ্যই সুফল পেতে থাকবে।

দলিলজার জমিদার এই আইনের জন্য মানুষের অপেক্ষার দিন ফুরাল বলেই মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব চৌধুরী হাট ও বাজার অর্থাৎ স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা বিল ২০২৩ সংশোধনের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন যে আগামী অধিবেশনে ই দলিল যার জমি তার আইন সম্পর্কিত বিলটি জাতীয় সংশোধনে উত্থাপন করতে পারবেন।

আর এই বিলটি যদি সংসদে পাস হয়ে আইনা করে চলে আসে তাহলে বাংলাদেশের জনগণ এই আইন অনুযায়ী সুফল ভোগ করতে পারবেন তাতে কোন সন্দেহ নেই। কারণ নানা আইনি জটিলতার কারণে দলিল যার কিন্তু জমি অন্যের হয়ে রয়েছে। তাই এ সকল দিক বিবেচনা করে বর্তমান সরকারের ভূমি মন্ত্রী জনাব সাইফুজ্জামান চৌধুরী সকল কিছু বিবেচনা করে সকলের সঙ্গে এবং সরকারের অন্যান্য বিভাগের শহীদ কথাবার্তা বলে এই আইনটি তৈরি করার ব্যবস্থা করেছেন।

তিনি এ সময় আরো বলেন যে বাংলাদেশের প্রান্তিক মানুষদেরকে ভূমিকম্প দিতে গিয়ে ভূমি অফিসে অনেক হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে এখন আর ম্যানুয়ালি কোন ভূমি উন্নয়ন কর নেওয়া হয় না। ভূমি উন্নয়ন কর ম্যানুয়াল এ নেওয়া হয় না এই কারণে যাতে প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষ সুফল ভোগ করতে পারে হয়রানির শিকার না হয় সেই কারণে। সেই কারণে এখন প্রতিটি ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে হয়।