আমরা আমাদের জীবন ধারণের সময়ে বিভিন্ন বস্তু বা পণ্য ক্রয় বিক্রয় করে থাকি। এগুলো ক্রয় বিক্রয় করলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যদি ক্রয় করি তাহলে সেই জিনিসটি আমরা আমাদের নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে চলে আসি। কিন্তু জমি ক্রয় বিক্রয় করলে শুধুমাত্র জমির কাগজপত্র এবং ভোগ দখলের অধিকার হয় চলে আসে অথবা বিক্রয় করলে অপরের কাছে অর্থাৎ যে ক্রয় করবে তার কাছে হস্তান্তর করতে হয়। তাই দেখা যায় যে অন্যান্য বস্তুবাদ দ্রব্য সামগ্রী ক্রয় করার ক্ষেত্রে একরকম আর জমি ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে আলাদা বিষয় হয়ে থাকে। তবে জমি ক্রয় বিক্রয় হলে বা জমি ক্রয় করলে শুধুমাত্র কিছু কাগজপত্র যে বিক্রয় করবে তার থেকে যে ক্রয় করবে তার নামে করে নিতে হয়। তবে এই প্রক্রিয়া অবশ্যই সরকারি ভূমি কর্মকর্তার অফিসে গিয়ে তাদের উপস্থিতিতে এই সকল কর্মকান্ড করতে হয়।
অর্থাৎ যে জমি বিক্রয় করিবেন অর্থাৎ জমির মালিক গ্রহণ বা মালিক তারা যে মালিকের কাছে বিক্রয় করিবে তার নিকটে হস্তান্তর করবে সরকারি ভূমি কর্মকর্তা সামনে উপস্থিত হয়ে। এটি অবশ্যই একটি দলিলের মাধ্যমে করতে হয়। অর্থাৎ উভয় পক্ষের সম্মতিতে নতুন দলিল লিখা হয় এবং সেখানে উল্লেখ করা থাকে এখন থেকে বা এই তারিখের পর থেকে অর্থাৎ যখন জমি রেজিস্ট্রি হবে তখন থেকে জমির মালিক হবে যে জমিটি ক্রয় করছে তিনি। এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার বিনিময় সেই ক্রয় বিক্রয় ক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়ে থাকে। এবং দলিল লেখক এর মাধ্যমে লিখিত সেই দলিল সাব রেজিস্টার কর্মকর্তার কাছে উপস্থিত হয়ে তার সামনে সহী অথবা পীর সহি দিতে হয় বিক্রয়কারীকে বিক্রয়কারীগণকে।
তবে এই জমি বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বা জমির দলিল রেজিস্ট্রি করতে জমির নতুন যে দলিল হবে সেই দলিলের সঙ্গে আরও যে সকল কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হয় সেই সংযুক্ত কাগজপত্র গুলির নাম আমরা এখন আপনাদের বলে দিচ্ছি। তাহলে আপনাদের জমি রেজিস্ট্রি করতে আর কোন সমস্যা হবে না। জমি রেজিস্ট্রি করার জন্য অবশ্যই আমাদেরকে উপজেলা ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসে যেতে হবে।
সেখানে জমির দলিল রেজিস্ট্রির জন্য অবশ্যই নিম্নলিখিত কিছু বিষয় বা কাগজপত্র দিয়ে আমাদের দলিলের সঙ্গে সংযুক্ত করে দিতে হবে। সেই কাগজপত্র গুলি হল, যে জমি রেজিস্ট্রি করব সেই জমির সিএস/ এসএ /আরএস /বিএস /বিআরএস /দিয়ারা নামজারি (খারিজ বা মিউটেশন) খতিয়ানের মূল কপি অথবা সহী মোহরিও নকল। এরপর আরো লাগবে মাঠ পর্চা (যেটি আপনারা উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসারের কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন)।
এরপর হালসন পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর পরিষদের রশিদ বা খাজনা পরিষদের রশিদ বা দাখিলা।(এই দাখিলা বা খাজনা পরিষদের রশিদটি আপনারা অবশ্যই পাবেন ইউনিয়ন সহকারী ভূমিকম্পকর্তার অর্থাৎ তহশীল অফিস কার্যালয় থেকে)। এরপর আরো যে কাগজপত্র গুলি আপনাদের দিতে হবে সেগুলির মধ্যে হলো ওয়ারিশান সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)। প্রয়োজনীয় বায়া দলিলসমূহ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)। জাতীয় পরিচয় পত্র, পাসপোর্ট অথবা জন্ম সনদপত্র। এরপর দাতা অথবা সম্পাদনকারী অথবা গ্রহীতা গণের শুদ্ধ তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি দিতে হবে।
TIN(টি আই এন) সার্টিফিকেট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে দিতে হবে, সব ক্ষেত্রে নয়)। এরপর জমি রেজিস্ট্রেশন করতে বা জমির দলিলেশন করতে লাগবে সিটি কর্পোরেশন ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এবং জেলা সদরের পৌরসভার অধীনে এক লক্ষ টাকার বেশি মূল্যের সম্পত্তি ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই দলিলের ক্রেতা এবং বিক্রেতার 12 ডিজিটাল টিআইএন নম্বর দলিলের সংযুক্ত করতে হবে।এই সকল কাগজপত্র গুলি আমরা আমাদের ভূমি রেজিস্ট্রেশনের সময় অবশ্যই দলিলের শহীদ সংযুক্ত করতে হবে। তবে জমি রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আমাদের এ সকল কাগজপত্রের সাথে অবশ্যই দলিল সাব রেজিস্ট্রি অফিসে সাব রেজিস্টারের অফিসারের সামনে ধরলে তিনি বিস্তারিত সবকিছু শুনে দলিল রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।