জমির খাজনা কিভাবে দিতে হয় | জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম ২০২৩

জমি থাকলে অবশ্যই ঘুমের নামকর পরিশোধ করতে হয়। একটা সময় ছিল যখন ঘুমের নাম কর বা খাজনা দেওয়ার জন্য আমাদেরকে অন্য সকল কাজকর্ম ফেলে রেখে অবশ্যই ভূমি অফিসে গিয়ে জমির খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন কর দিয়ে আসতে হতো। এবং সেই কারণে অনেক মানুষ বা ব্যক্তিবর্গ ছিল যারা এ সকল ঝামেলা না পোহানোর কারণে ভূমি অফিসে গিয়ে খাজনা দিয়ে আসতে পারতো না বা সময়ের অভাবে তারা যেতেও পারত না।

কিন্তু বর্তমানে সেই পরিস্থিতি আর নেই। কারণ বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয় এখন ডিজিটাল একটি মন্ত্রণালয়ে পরিণত হয়েছে। কারণ বর্তমান ভূমি মন্ত্রণালয় ২০২২ সালের পহেলা অক্টোবর থেকে অনেকগুলি সেবাসমূহ তারা অনলাইনে সেবা দানের চেষ্টা করে যাচ্ছেন এবং তাতে তারা অবশ্যই সফলতা অর্জন করেছেন বলেই মনে করা হয়। কারণ বাংলাদেশ সরকার চায় যে সরকারি অফিসের সেবা সমূহ প্রান্তিক জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাক।

তারই লক্ষ্যে পহেলা অক্টোবর ২০২২ সাল থেকে বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয় ভূমি উন্নয়ন কর সহ অন্যান্য অনেকগুলি বিষয় তারা অনলাইনে সেবা প্রদান শুরু করেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদেরকে এখন আর ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা প্রদান করার জন্য ভূমি অফিসে যেতে হয় না। বর্তমানে ঘরে বসেই আমরা আমাদের ভূমি উন্নয়ন কর পরিষদ করতে পারব অনলাইনের মাধ্যমে। তার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই কিছু তথ্য আগে থেকেই জেনে রেখে সেই তথ্যগুলি সেখানে প্রদর্শন করতে হবে। তাহলে আপনি অবশ্যই আপনার ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা ঘরে বসে ই পরিশোধ করতে পারবেন। তার জন্য আর আলাদা করে সময় নষ্ট করে আপনাকে সময় অফিসে যেতে হবে না। তবে তার জন্য আপনাকে অবশ্যই তথ্যপ্রযুক্তির বিষয়টি ভালোভাবে জেনে নিয়ে কাজটি করতে হবে।

আপনার যদি অনলাইন সম্পর্কে তেমন জ্ঞান না থাকে তাহলে অবশ্যই সে কাজটি সম্পাদন করতে পারবেন না শুধুমাত্র দক্ষতার অভাবে। তাই আপনারা যদি আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আমাদের ওয়েবসাইট থেকে দেখে নেন তাহলে অবশ্যই আপনি একজন দক্ষ নাগরিক হয়ে উঠতে পারবেন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে ভূমি বিষয়ক সকল ধরনের তথ্য অত্যন্ত যত্ন সহকারে সঠিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। সেখান থেকে আপনি দেখে নিয়ে তারপর অনলাইনে প্রবেশ করে আপনার ভূমি উন্নয়ন কর আপনি নিজেই ঘরে বসে দিতে পারবেন। অনলাইনে খাজনা প্রদান করতে হলে প্রথমেই আপনাকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। তাদের বর্তমান স্লোগান এক ঠিকানায় অনেক সেবা প্রদান।

তবে আমরা আজকে আপনাদেরকে অবশ্যই সেই লিঙ্ক এখান থেকে দিয়ে দেব। প্রথমে আপনাকে অবশ্যই এই লিংকে প্রবেশ করে তারপরে সেখানে আপনার বিভাগের নাম জেলার নাম নিজ উপজেলার নাম এবং ইউনিয়নের নাম একে একে সিলেক্ট করে সেখানে প্রবেশ করবেন। তারপর মৌজার নাম লিখে জমির দাগ খতিয়ান লিখে দিলে আপনার জমির খাজনার পরিমাণ কত সেটি স্ক্রিনে ভেসে উঠবে। তারপর আপনি সেই টাকা অনলাইন বিভিন্ন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পরিশোধ করলে আপনার কাছে একটি ওটিপি আসবে সেই ওটিপি লিখে দিয়ে আপনার ভূমিকর প্রধান হয়ে যাবে এবং সেখানকার সেই রশিদ বের করে নিয়ে আপনি আপনার কাছে রেখে দিতে পারবেন।

এছাড়াও আপনি ম্যানুয়ালি যদি কাজ না দিতে চান তাহলে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ভূমি কর্মকর্তার কাছে গিয়ে আপনার জমির দাগ নম্বর খতিয়ান নম্বর দিলে তারা আপনাকে বলবে কত বছর বা কত সাল পর্যন্ত আপনি খাজনা দিতে চান সেই সাল পর্যন্ত খাজনার পরিমাণ কত হয় সেটা তারা বলে দেবে এবং সেই টাকা পরিশোধ করলে আপনাকে তারা খাজনার রশিদ কেটে দেবে। এভাবেও আপনি আপনার জমির ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে পারবেন। তাহলে আপনি আজকে আমাদের এই পোস্ট থেকে দেখে নিতে পারলেন জমির খাজনা আপনি কিভাবে পরিশোধ করবেন সে বিষয়টি নিশ্চিত হলেন। এ ধরনের সকল তথ্য জানতে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন এবং আমাদের সঙ্গেই থাকবেন আশা রাখি।