একটি জমি কেনা এবং সেই জমিতে নিজের বাড়ি তৈরি করা অথবা জমি তৈরি করে যে কোন ব্যবসায়িক অথবা অন্য কোন স্থাপনা তৈরি করা মানুষের জন্য একটি স্বপ্ন। টাকা পয়সা বা অর্থ দিয়ে একটি জমি ক্রয় করার পর যদি দখল সংক্রান্ত সমস্যায় পড়তে হয় তাহলে কারো মন ভালো থাকে না। এই কারণে আমাদেরকে অবশ্যই প্রথম থেকে অর্থাৎ জমি কেনার পূর্বেই বিষয়গুলি লক্ষ রাখতে হয়।
তারপরেও যদি এই ধরনের বিষয় ঘটেই থাকে তাহলে কিভাবে মোকাবেলা করা যায় বা এই সংক্রান্ত কোনো আইন রয়েছে কিনা সে বিষয়গুলি আমাদের এখন খেয়াল করতে হবে। বেদাফুল হওয়া জমি অথবা জমি দখলে রাখার আইন গুলি সম্পর্কে আমরা যদি সকলেই ভালোভাবে বুঝে নিতে পারি তাহলে অবশ্যই সকলের জন্য ভালো হয়।
যিনি দখল করে রেখেছেন তার জন্য এবং যিনি বাজার জমি বেদখল হয়ে গেছে তারও অবশ্যই ভালো হয়। এখন আমাদের প্রথমে দেখে নিতে হবে জমি দখল কি বা ব্যাপারটা কি এটি আসলেই বুঝে নিতে হয়। জমি দখল একটি প্রক্রিয়া যখন কেউ মালিকের সম্পত্তির অধিকার লংঘন করে। অর্থাৎ একজন ব্যক্তি বেআইনিভাবে একটি জমি বা সম্পত্তিতে প্রবেশ করে বা ইচ্ছাকৃতভাবে বা অনিচ্ছাকৃতভাবে কিছু অংশ অন্য কারো কাঠামোতে প্রসারিত করে।
জমি দখলকে যখন কখনো কখনো সম্পত্তি বেধক হলো বলা হয়ে থাকে তবে উভয়ের মধ্যে একটি খুব পাতলা রেখা রয়েছে। এখন আমাদেরকে দেখে নিতে হবে যে কোনটি বেধফুল আর কোনটি দখল হয়েছে এই বিষয়টি একটু বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করি একটি উদাহরণের মাধ্যমে। ধরন মিসেস রিতা ঢাকা বাড্ডা এলাকায় জমি কিনেছেন এবং এটিকে অযৌক্তিক রেখেছেন মানে তিনি এটিতে কোন নির্মাণ করেননি।
তাহলে কিছুক্ষণ পরে রিতা যখন সম্পত্তটি পরিদর্শন করেন তখন তিনি দেখেন তার জমির চারপাশে একটি সীমানা প্রাচীর তৈরি করা হয়েছে। এই এই উদাহরণটি হল জমির দখল হয়ে যাওয়ার উদাহরণ বা দখলের উদাহরণ। আমরা এখন আরেকটি উদাহরণ দিতে পারি মিস্টার মাহবুবুর রহমান তার বাড়ির সংস্কার করছেন এবং মিস্টার মাসুদ বক্সির পার্কিং স্পেসটিতে বাগানটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।
এটি একটি সম্পত্তি দখল মিস্টার মাসুদ অনেক করতে পারেন যে এটি একটি অস্থায়ী সমন্বয় কিন্তু যখন তিনি সম্পত্তি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন তখন এটি একটি সমস্যা তৈরি করতে পারে। এর কারণ হলো মিস্টার মাহবুর দ্রুত দখলকৃত সম্পত্তি ছেড়ে দেবেন না। সুতরাং এই ধরনের সমস্যা মোকাবেলার করার উপায় আমাদের অবশ্যই জানা উচিত। এখন যদি যেখানে অনুপ্রবেশ হলো সম্পত্তির মালিকের সম্মতি ছাড়া বা তার বিরুদ্ধে কারো সম্পত্তিতে প্রবেশ করা। সীমানা লঙ্ঘন তিন প্রকারের হতে পারে।
যথা ব্যক্তির যখন একজন ব্যক্তি এমন একটি কার্যকলাপ করতে সীমাবদ্ধ থাকে যা সে পূর্বে করেছিল। এছাড় াও আমাদের আইনের 28 ধারায় বলা হয়েছে যে কোন সম্পত্তির দখল প্রাপ্তির জন্য মামলা করার ব্যাপারে এ আইনে যে মেয়াদ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে তা উত্তীর্ণ হওয়ার পর সেই সম্পত্তিতে বাদীর অধিকার বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তামাদি আইনের ১৪২ ধারায় বলা হয়েছে যে বেদখল হওয়ার 12 বছরের মধ্যে মামলা করতে হবে। ভূমি দখল সম্পর্কিত বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের কিছু নির্দেশনা রয়েছে। সেগুলি হল-আপনাকে জোরপূর্বক বিধখোল করা হয়েছে।
আপনাকে আপনার সম্মতি ছাড়া দখল করা হয়েছে। যথাযথ আইনগত পদ্ধতি ছাড়া বেদখল করা হয়েছে। আপনি বেদখল হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে প্রতিকার চেয়ে মামলা দায়ের করেছেন। বেদখল হতে দুই ভাবে প্রতিকার পাওয়া যেতে পারে-একটি সালিশের মাধ্যমে: উভয় পক্ষের সম্মতিতে এলাকার গণ্যমান্য বা মুরব্বি ব্যক্তিদের সালিশের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে।
আরেকটি মামলার মাধ্যমে: সালিশে সমাধান দিতে না পারলে অবশ্যই আপনাকে মামলার মাধ্যমে যেতে হবে। ফৌজদারি আদালতে মামলা: জমি দখল কে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিলে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৫ ধারা অনুযায়ী প্রতিকার চাইতে পারেন আপনি। এভাবে আপনি জমি দখলের বা দখলে রাখার জন্য বিভিন্ন ভাবে সরকারি স্থানীয় সামাজিকভাবে আপনাকে আইন সহায়তা দেবে যদি আপনার নিজের জমি হয়।