জমি চুক্তি পত্রের নমুনা pdf

বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে জমি চুক্তিপত্রের ব্যবহার বহুলাংশে অংশে বেড়ে গেছে। জমি আমরা কখনো ক্রয় বিক্রয় করে থাকি এছাড়াও সাময়িকভাবে জমি ব্যবহার করতে দেওয়ার জন্য আমরা অপরের কাছে দিয়ে থাকি। জমি একেবারে ক্রয় বিক্রয় হোক বা সাময়িকভাবে অন্যকে ব্যবহার করতে দেওয়াই হোক সেটি হল কাজটি ঝামেলা মুক্তভাবে করতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই একটি চুক্তিনামা তৈরি করতে হবে।

কারণ যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঝামেলায় এড়াতে প্রায় সব ধরনের লেনদেনের ক্ষেত্রেই আমাদের চুক্তিপত্র ব্যবহার করা উচিত। শুধুমাত্র জমি ক্রয় বিক্রয় নয় ব্যবসায়িক বিভিন্ন ক্ষেত্রে অথবা আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে রিকুজেশন বিভিন্ন ক্ষেত্রে চুক্তিপত্রের ব্যবহার আমাদের জীবনকে অবশ্যই সহজ এবং সহজ এবং স্বচ্ছ করে দেবে।

অনিশ্চয়তা কমিয়ে পারস্পরিক নির্ভরতার ক্ষেত্রে সৃষ্টি করবে ভাতৃত্ববোধ বা সম্প্রীতির। কারণ আমরা এই সকল লেনদেনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ক্ষেত্রেই দেখে থাকি যে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছে উভয়পক্ষই। এবং এ সকল ঝামেলা মোকাবেলা করার জন্য বা মীমাংসা করার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে সালিশি বৈঠকের প্রয়োজন হয়। সালিশি বৈঠকে সমস্যার সমাধান না করতে পারলে মামলা মোকদ্দমা পর্যন্ত চলে যায়। মামলা মোকদ্দমা করলেন উভয় পক্ষেরই অর্থের নষ্ট এবং সময়ও নষ্ট হয়ে থাকে।

তাই আমরা যদি কথার কথা না বলে যে কোন বিষয়ই একটি চুক্তিনামা তৈরি করি তাহলে অবশ্যই সেই চুক্তিনামাটি আপনাদের জন্য ভালো হয়। কারণ সেই চুক্তির বলে সাক্ষী গণের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা নিলে পরে আইনজীবীদের ক্ষেত্রে এটি ভালো বিষয় হয়। সাধারণভাবে বলা হয় যে চুক্তিপত্র মূলত এমন একটি লিখিত ব্যবস্থা যেখানে দুই বা ততোধিক ব্যক্তির সম্মতিতে কোন বিষয়ে আরোপিত শর্তে উভয়পক্ষ দায়বদ্ধ থাকেন।

এই কারণে ১৮৭২ সালে আইন প্রণয়ন করা হয় এবং সেই আইনে বলা হয় একজন সুস্থ স্বাভাবিক মস্তিষ্কের অধিকারী ব্যক্তি এবং অবশ্যই আইনের দৃষ্টিতে সাবালক হতে হবে শর্তে আরোপিত হয়ে যদি অন্য কোন একই শর্তে আরোপিত ব্যক্তির সঙ্গে কোন বস্তু জমি অর্থের বিনিময়ে কিংবা কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বস্তুর বিনিময় আদান-প্রদানের জন্য লিখিতভাবে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়ে

যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোন নতুন উদ্যোগের শামিল হয় পুরো সেই প্রক্রিয়াকেই চুক্তি বলা হয়ে থাকে। এবং এই চুক্তিকেই চুক্তি নামা হিসেবে অভিহিত করা হয়। এখন আমরা অনেক সময় ভেবে থাকি যে এই যুক্তিপত্রের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কিনা। আমরা পূর্বেই বলেছি যে বিভিন্ন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানোর জন্য চুক্তিনামা অবশ্যই একটি প্রয়োজনীয় বিষয়।

মানব জীবনের সভ্যতার যুগে পদার্পণের প্রথম দিকের বিষয় হলো বিনিময় প্রথা। অর্থাৎ সামাজিক জীব হওয়ায় মানুষ একে অপরের ওপর নিবিড় ভাবে নির্ভরশীল। আর এই কারণেই মানুষজন সামাজিক জীব হয়ে উঠেছে আস্তে আস্তে। লেনদেন তাই এখানে আমাদের নৈমিতিক বিষয় বলেই বিবেচনা করা হয়ে থাকে। লেনদেনের বিষয়ে চুক্তিপত্র করা থাকলে তা সুনিশ্চয়তা প্রদান করে ভবিষ্যতে যে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানো সহজ হয় বলেই বিজ্ঞজনেরা মনে করে থাকেন। যদি চুক্তিপত্র থাকে তাহলে উভয় পক্ষই এই চুক্তিতে দায়বদ্ধ থাকে। আর এই কারণেই যে কোন পক্ষ সুষ্ঠুভাবে সত্য সমূহ পালন করে থাকেন।

এছাড়া যেহেতু সাক্ষী সমূহের উপস্থিতিতে চুক্তিপত্র সম্পাদিত হয় তাই উভয় পক্ষ ব্যথিত সামাজিক বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিগণ এর মধ্যে থাকে এই কারণে সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ বলে মনে করা হয় উভয়পক্ষের মধ্যে। চুক্তিপত্র সম্পাদিত করতে হলে সর্বনিম্ন ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্টাম্পে চুক্তিপত্র করা হয় আর এই কারণে যে কোন শর্ত সংঘ কারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ থাকে এই চুক্তিপত্র অনুযায়ী।

চুক্তিপত্রের বিষয়ে অবশ্যই গুরুত্ব রয়েছে আমাদের বর্তমান সমাজে। আর জমি ক্রয় বিক্রয় ছাড়াও অন্যান্য ক্ষেত্রে অবশ্যই যুক্তি নেওয়া করে রাখাই দুই জনের জন্য বিষয়টি কাঙ্ক্ষিত হতে পারে। কারণ একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা শুধু দুইজনের দূরত্ব সৃষ্টি করে তা না দেখা যায় যে সমাজের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতেও অনেকভাবেই এগিয়ে যায়। তাই আমরা সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য সকলের প্রতি সকলের সম্মান প্রদর্শনের জন্য অবশ্যই জমি ক্রয় বিক্রয় ছাড়াও অন্যান্য বিষয়গুলিতে চুক্তিনামা করে রাখাই বেশি ভালো।