আমাদের সমাজে প্রায় সময়ই বিভিন্ন জনের কাছ থেকে জমি ক্রয় বিক্রয় হতে দেখি। এখন কথা হচ্ছে জমি ক্রয় বিক্রয় কিভাবে হয়ে থাকে এর চুক্তিনামা কিভাবে হয় সে সকল বিষয় সম্পর্কে আমরা সকলেই যে অবগত রয়েছি তা কিন্তু নয়। আজকে আমরা দেখব যে জমি ক্রয় বিক্রয় করার জন্য যে দলিল বা চুক্তি নামা তৈরি করতে হয় তা কিভাবে তৈরি করতে হবে সেটি এখন আমাদের এই পোস্ট থেকে দেখে নিব।
তবে আপনারা অবশ্যই আমাদের এই পোস্ট থেকে জমি ক্রয় বিক্রয়ের চুক্তিনামা সম্পর্কে অবগত হবেন একথা ঠিক কিন্তু জমিজমা বিষয়ের অন্যান্য বিষয়গুলি জানতে হলে অবশ্যই আপনারা আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে নেবেন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটটিতে জমিজমা সংক্রান্ত সকল বিষয় সম্পর্কে অত্যন্ত সুন্দরভাবে বিস্তারিতভাবে বলা রয়েছে।
এই কারণে আপনারা চাইলে অবশ্যই জমিজমা সংক্রান্ত সকল বিষয় গুলি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ভালোভাবে বুঝে তারপরে আপনি জমি ক্রয় করতে পারেন অথবা বিক্রয় করার বিষয়গুলি বুঝে নিতে পারেন। তাহলে চলুন এখন দেখা যাক জমি ক্রয় বিক্রয়ের চুক্তিনামা সম্পর্কে বিষয়টি। আমরা জমি ক্রয় করার জন্য অবশ্যই একটি দলিল প্রস্তুত করতে হয়।
তবে এই দলি ল প্রস্তুত করার জন্য এবং সাব রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রি করার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই উপজেলা ভূমি অফিস কর্তৃক লাইসেন্স প্রার্থনা বেশ কিছু দলিল লেখক রয়েছে। এই সকল দলিল লেখক এর সাহায্যে আমাদেরকে জমির ক্রয় বিক্রয়ের দলিলটি লেখা সম্পন্ন করে সাব রেজিস্ট্রি কর্মকর্তা থেকে সেটি রেজিস্ট্রি করে নিতে হয়। কারণ একটি দলিল রেজিস্ট্রি করতে হলে অবশ্যই সরকারকে বিভিন্ন ধরনের ট্যাক্স প্রদান করেই সেই জমিটি ক্রয় বিক্রয় সম্পন্ন হয়।
এছাড়াও অর্থাৎ ট্রেজারি চালান দেওয়ার পর ও সরকারকে স্টাম্প মূল্য পরিশোধ করে দলিল লিখতে হয়। অর্থাৎ জমির ক্রয় মূল্যের ২% হারে যে মূল্য আছে সেই মূল্যের সমপরিমাণ টাকার স্ট্যাম্প প্রয়োজন হয় জমি ক্রয়ের দলিলে। এছাড়াও আরেকটি বিষয় থাকে যে আমরা অনেক সময় দেখি যে জমি ক্রয় করার জন্য হয়তো আগে কিছু টাকা পরিশোধ করতে হয় বিক্রয়কারীকে। তবে যেহেতু বিষয়টি হলো জমিজমা সংক্রান্ত তাই সকল ধরনের ঝামেলা এড়ানোর জন্য আমাদেরকে বিক্রয়কারীকে যদি টাকা আগে অর্থাৎ দলিল রেজিস্ট্রির পূর্বেই যদি কিছু টাকা দিতে হয়
তাহলে আমাদেরকে অবশ্যই বায়না নামা বা যুক্তি নেওয়া দলিল তৈরি করতে হয়। সেটির জন্য আমাদেরকে ওই একই অর্থাৎ ২ পার্সেন্ট হারে দলিল ক্রয় করে সেখানে বায়না নামা বা জমি ক্রয়ের পূর্বে যে টাকা প্রদান করেছি সেই টাকার একটি বিষয় থাকে। তাই সেখানে ও ক্রেতা এবং বিক্রেতার নাম সংবলিত জমির দাগ নম্বর ঠিকানা কথা শতাংশ জমি মোট মূল্য কত এবং পরিশোধ করলো কত এ ধরনের তথ্যগুলি উল্লেখ করে সেখানে কিছু উভয় প্রক্রিয়ার সাক্ষীদের উল্লেখ করতে হয়।
এবং এই বায়না নামাও যদি রেজিস্ট্রি করা হয় তাহলে সেটি আইনি ভরসা থাকে। তাই আমরা বলতে পারি যে একটি বিক্রয় দলিল হলো একটি আইন ভিত্তিক নথি বা যেটি প্রমাণ করে যে একটি সম্পত্তি বিক্রেতার থেকে ক্রেতার নিকট চলে গেল। অর্থাৎ এখানে উল্লেখ থাকে যে তিনি সম্পূর্ণ সৎ জ্ঞানের এই সম্পত্তিটি বিক্রয় করিয়াছেন এবং ক্রেতার নিকট হস্তান্তর করছেন।
অর্থাৎ এই দলিল ই একটি সম্পত্তির বিক্রয় কাজকে সমাপ্তি ঘোষনা করে। অর্থাৎ দলিল প্রস্তুত হওয়ার পরেই সেই দলিল রেজিস্ট্রেশন করলেই বিক্রয় করে কাজটি সম্পন্ন হল ক্রেতার কাছে জমি হস্তান্তরের আইনি বিষয় সম্পর্কে। একটি দলিলে যে সকল তথ্যগুলি উল্লেখ করতে হয় সেগুলি এখন আমরা কিছু বর্ণনা করতে পারি।
ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের বিবরণ সমূহ। এই বিবরণ সমূহের মধ্যে থাকবে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের নাম বয়স স্থায়ী ঠিকানা জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর ইত্যাদি। সম্পত্তির বিবরণ সমূহ। সম্পত্তির বিবরণ সম্মোহর মধ্যে থাকবে মোট ক্ষেত্রফল নির্মাণের বা অন্যান্য এর উপর কোন স্থাপনা রয়েছে কিনা সে সকল সম্পর্কে বিবরণ দেওয়া থাকবে। আরো থাকবে এই যমের দাগ নম্বর খতিয়ান নম্বর এবং পূর্বেকার কাছ থেকে সে প্রাপ্ত হয়েছে এ সকল বিবরণ সংবলিত বিষয়গুলি উল্লেখ থাকে।