ভূমি রেকর্ড আইন

ভূমির রেকর্ড বলতে বোঝায় জমির মালিকানার বিবরণ যা ভূমি জরিপের মাধ্যমে প্রস্তুত করা হয়। এই ভূমি জরিপ অবশ্যই সরকার কর্তৃক কোন সংস্থা কোম্পানি অথবা সরকার নিজেই পরিচালনা করে থাকেন। ভূমি রেকর্ডের জন্য একটি আইন রয়েছে সে আইনটি হল The survey act 1875 এবং সংশ্লিষ্ট বিধিমালা অনুযায়ী সরকারের জরিপ বিভাগ সরজমিন জরিপ করে ভূমির মালিকানার যে বিবরণ এবং নকশা তৈরি করে তাকেই ভূমি রেকর্ড বলা হয়।

আর এই ভূমি রেকর্ড বা নকশার ফলাফল হলো প্রচলিতভাবে খতিয়ান বা স্বত্বলিপি। এটিকে ইংরেজিতে Record of rights নামেও পরিচিত। অনেক কয় প্রকার এর রেকর্ড আমাদের এই জমি জরিপে রয়েছে। কারণ এই রেকর্ড গুলি ইতিপূর্বে আমাদের জমির উপর চালানো হয়েছে জন্যই এই সকল রেকর্ড এখনো রয়ে গেছে। তবে প্রতিটি রেকর্ড বা জড়িতড়ি একটি নাম রয়েছে। যেমন সিএস রেকর্ড এস এ রেকর্ড আরএস রেকর্ড ইত্যাদি। এই রেকর্ডগুলি সম্পর্কে আমরা সামান্য একটু ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করি।

সি এস রেকর্ড: এইচসিএস রেকর্ড হলো ১৯১০ থেকে ১৯২০ সালে জরিপ করে এই খতিয়ান তৈরি করা হয়েছিল। এটি ব্রিটিশ সরকার চালিয়েছিল। এই জরিপটি 1889 সাল হতে ১৯৪০ সালের মধ্যে পরিচালিত হয় এবং এটি ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম সামগ্রিক জরিপ নামে পরিচিত। এবং প্রথম এই জরিপ হয় বলে মনে করা হয়। প্রথম জরিপ হলেও এই জরিপ প্রায় নির্ভুল হিসেবেই গ্রহণযোগ্য আছে আমাদের সমাজে। এবং এই কারণেই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই জরিপকেই baseline হিসাবে ধরা হয়।
এস এ রেকর্ড: এই রেকর্ডটি পরিচালিত হয়েছিল সিএস রেকর্ড জরিপের পরবর্তীতে। অর্থাৎ ১৯৫০ সালের জমিদারি অধিগ্রহণ এবং প্রজাস্বত্ব আইনের আওতায় ১৯৫৬ সাল হতে ১৯৬৩ সাল সময়কালে এস এ অপারেশনের মাধ্যমে এসএমএস রেকর্ড প্রস্তুত করা হয়। এই রেকর্ডে অনেক ভুলভ্রান্তি রয়ে যায় কারণ হলো এটি খুব অল্প সময়ে এবং তাড়াহুড়ো করে তৈরি করা হয়েছিল।

আর এস রেকর্ড: বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর নতুন করে একটি জরিপ কার্যক্রম পরিচালিত করেছিল তৎকালীন বাংলাদেশ সরকার। একে Bangladesh Revisional Survey বা সংক্ষেপে B.R.S বলে। এই রেকর্ডটি আবার বিএস বা আরএস নামেও পরিচিত রয়েছে। এরপর ঢাকা মহানগরে ভূমির প্রকৃতি এবং মালিকানার ব্যাপক পরিবর্তনের কারণে পরবর্তীতে কেবলমাত্র শুধু ঢাকা শহরের জন্য আরও একটি জরিপ পরিচালিত করে বাংলাদেশ সরকার।

ঢাকা শহরের এই জরিপটি 2012 সন হতে পরিচালিত হয়। এবং ২০১২ সাল হতে ঢাকা মহানগরে এই রেকর্ডের ভিত্তিতে এই নামজারি সহ ভূমি ব্যবস্থাপনা সকল কাজ চালু করা হয়েছে। আমরা জানি যে রাজস্ব অধিকার যদি কোন রেকর্ড সম্পর্কে আপত্তি থাকে তাহলে তারা তা নিষ্পত্তি করেন। রাজস্ব কর্মকর্তার আদর্শে সন্তুষ্ট না হলে সংক্ষিপ্ত ব্যক্তি সরকারি সেটেলমেন্ট অফিসারের পদের নিচে নয় এমন রাজস্ব কর্মকর্তার নিকট আপিল করতে পারবেন।

তার সিদ্ধান্তেও সন্তুষ্ট না হলে ৫৩ ধারা অনুযায়ী বিশেষ জজের নিকট আপিল করা যাবে এবং সেখান থেকে দেওয়ানি কার্যবিধির ১১৫ ধারা অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ও আপিল করা যায়। তাই আপনারা দেখে নিলেন যে ভূমি রেকর্ড আইন সম্পর্কে এবং কখন কখন কত সময়ের জন্য ভূমির রেকর্ড পরিচালিত করা হয়েছিল সে সকল বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জেনে নিতে পারলেন।

এবং আপনারা আরো কিছু জেনে নিতে পারলেন আমাদের এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। তাই আপনাদের যে কোন বিষয় জানার ইচ্ছা হলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করুন এবং সে বিষয়ে সার্চ করে আপনি দেখে নিতে পারেন আপনার বিষয়টি কি হতে পারে। তাই আপনারা অবশ্যই আপনার যে কোন বিষয় সম্পর্কে জেনে নেওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করতে পারেন এবং এখানে থাকা তথ্যগুলি আপনি অবশ্যই একবার পড়ে বুঝে নিলে জমিজমা সংক্রান্ত সকল বিষয় আপনি অবশ্যই বুঝে নিতে পারবেন বলেই আশা করা যায়।