ভূমি রেজিস্ট্রেশন ফি ২০২৩

নতুন ভুমি ক্রয় করলে অবশ্যই পুরাতন মালিক সেটি নতুন মালিকের কাছে দলিলের মাধ্যমে রেজিস্ট্রি করে দিবেন। তবে এই ভূমি রেজিস্ট্রি করতে হয় অবশ্যই উপজেলা ভূমি অফিসে বা উপজেলা ভূমি সাব রেজিস্ট্রি অফিসে। সাব রেজিস্টার অফিসারের সামনে ভূমির দলিল বিক্রেতা ক্রেতার নামে করে দিয়ে সেখানে দস্তখত করে থাকেন।

দলিল রেজিস্ট্রি করতে অবশ্যই আমরা জানি যে সেখানে ফি প্রদান করতে হয়। তবে এই ফি নির্দিষ্ট দুই বছর পর পর নতুন ভাবে সরকার কর্তৃক পরিবর্তন হয়। অর্থাৎ প্রতি দুই বছর অন্তর অন্তর সরকার ফি পুনঃনির্ধারণ করে থাকেন। তাই ২০২৩ সালে ভূমি মন্ত্রণালয় জমির নতুন মৌজার এর তালিকা ২০২৩ বা জমি রেজিস্ট্রেশন ফি সংক্রান্ত সম্প্রতি একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন। জমির এই নতুন মৌজা ফি পহেলা জানুয়ারি ২০২৩ তারিখ থেকে কার্যকর হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে যে সম্পত্তির সর্বনিম্ন বাজার মূল্য নির্ধারণ বিধিমালা ২০১০ সংশোধিত ২০১২ এবং ২০১৫ অনুযায়ী ২০২৩ ও ২০২৪ সালের জন্য প্রস্তুত করা বাজার মূল্য তালিকা পহেলা জানুয়ারি ২০২৩ থেকে পরবর্তী দুই বছরের জন্য কার্যকর হয়েছে।

শুধুমাত্র তিন পার্বত্য জেলা ব্যতীত বাকি ৬১ টি জেলায় এই নতুন মৌজারের পহেলা জানুয়ারি থেকেই কার্যকর হবে বা হয়েছে। এবং সব জেলা রেজিস্টার কার্যালয় থেকে নতুন রেট সিডিউল বহি সাব রেজিস্টারদের কাছে সরবরাহ করা হয়। জানা যায় যে সংশোধিত নতুন মোজা রেটে সরকারি হিসাবে প্রতি ওযুতাংশ জমির শ্রেণী ভিত্তিক মূল্য সর্বনিম্ন 10 থেকে 50% পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে আবার কোথাও বাড়ির চেয়ে ভিটাম শ্রেণীর দাম বেশি ধরা হয়েছে।

খুবই কম সংখ্যক মৌজায় পূর্বের মূল্য অপরিবর্তিত রয়েছে। এর মধ্যে কিছু মজার বেশিরভাগ জমি সরকার পূর্বেই অধিগ্রহণ করেছে। এখন আমরা দেখে নেব যে জমির মৌজা রেট অনুযায়ী প্রতি শতাংশ জমির মূল্য কত ধরা হয়েছে। রাজধানী ঢাকার বাড্ডাস সাব রেজিস্টার এর এলাকাভিন জোয়ার সাহারা মৌজায় পূর্বে বাড়ি শ্রেণীর জমির অধিকাংশ প্রতিমূল্য ছিল ২৬ হাজার ১৯৪ টাকা এবং সংশোধিত অমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে অর্থাৎ ২০২৩ সালের নতুন মজারের অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়েছে 28480 টাকা।

আবার খিলখেত থানায় ডোমনি মৌজায় আগে ছিল 599 টাকা এখন নতুন মৌজারেট অনুযায়ী ৬ হাজার ১২০ টাকা। পাতি রায় আগে ৪৩৮০ টাকা ছিল প্রতি ওযুতাংশের মূল্য এখন সেই সংশোধিত মূল্য দাঁড়িয়েছে 4837 টাকা। অপরদিকে জোয়ার সাহারা মৌজায় বাড়ি ছেনির জমির চেয়ে ভিটা শ্রেণীর জমির মূল্য বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে।অর্থাৎ বাড়ি ছেনির প্রতি অযথাংশের মূল্য ধরা হয়েছে 28 হাজার 480 টাকায় এবং ভিটা শ্রেণীর মূল্য ধরা হয়েছে ৫৩ হাজার ৪৮০ টাকা একইভাবে

মসল মৌজায় বাড়ি শ্রেণীর জমির প্রতিযোগিতাং এর মূল্য ধরা হয়েছে 33848 টাকা এবং ভিটা শ্রেণীর জমির দাম ধরা হয়েছে অধিকাংশের 47 হাজার 859 টাকা। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে ২০২৩ সালে যে নতুন মজারের আইন জারি করা হয়েছে সেখানে সবচাইতে বেশি মূল্য ধরা হয়েছে প্রতি ওযুতাংশ হিসাবে সেটি হচ্ছে ভিটা শ্রেণীর জমিতে। এবং এই ভিটা শ্রেণীর জমির পরে রয়েছে বাড়ীর মূল্য হিসাবে অর্থাৎ বাড়ির প্রতি শতাংশের জমির মূল্য চাইতে ছেন প্রতি শতাংশের জমির মূল্য বেশি ধরা হয়েছে।

এবং যে নতুন আইন অর্থাৎ ২০১০ সালের আইন পরবর্তীতে সংশোধিত হয়েছিল ২০১২ থেকে ১৫ সাল পর্যন্ত সেই আইনটি নতুন ভাবে আবার ২০২৩২৪ সালের জন্য আগামী দুই বছর এই রেটে অর্থাৎ মৌজার এতে জমি ক্রয় বিক্রয় এর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এবং কোন মতেই এই ধার্য মূল্যের কম মূল্যে জমি রেজিস্ট্রি করা হবে না অর্থাৎ এর কম মূল্যে যদি জমির দলিল রেজিস্ট্রি করা হয় সেটি আইনত অপরাধ হবে এবং সে আইন বলে সেটি কখনোই সিদ্ধ হবে না। তাই আপনারা নতুন আইন ২০২৩ অর্থাৎ মৌজা রেট ২০২৩ কি রয়েছে সে বিষয়ে আপনারা দেখে নিতে পারলেন।