জমির খাজনা চেক

যাদের জমি রয়েছে তাদেরকে অবশ্যই জমির খাজনা দিতে হয় সরকারকে। কারণ বাংলাদেশ সরকারের একটি বড় রাজস্ব আদায় এই জমির ভূমি উন্নয়ন করা থেকে আসে। তাই প্রতিবছর বাংলাদেশের ভূমি মালিকদের অবশ্যই ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা উচিত। একটা সময় ছিল যখন ভূমি উন্নয়নকর পরিশোধ করার জন্য আপনাদেরকে অবশ্যই ভূমি অফিসে গিয়ে ভূমি কর্মকর্তার কাছে দিয়ে আসতে হতো কিন্তু অনেক সময় দেখা গেল যে আপনি আপনার সকল কাজ ফেলে রেখে ঘুমের নামকর বা খাজনা প্রদান করতে।

গেলেন সেদিন সেই লায়েব বা ভূমিকম্প কর্মকর্তা আসেন নাই তাই আপনার ঘর বা খাজনা প্রদান করা হলো না। এভাবে হয়তো আপনাকে দুই এক দিন ঘুরেও আসতে হতে পারে। তবে বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশের কারণে এখন আর ঘুমের নাম কর পরিষদ করার জন্য ভূমি অফিসে যেতে হবে না আপনাকে। আপনি আপনার রুমের নামকর ঘরে বসেই আপনার ব্যবহৃত ল্যাপটপ কম্পিউটার অথবা অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের সাহায্যেই ঘরে বসেই দিতে পারবেন।

তাই একটা সময় মনে করা হতো বাংলাদেশ শুধু নামে ডিজিটাল হয়েছে কাজে-কর্মে হয় নাই। কিন্তু জনগণের সেই আশা পূরণ করেছে বর্তমান সরকার। বর্তমান সরকার চায় সরকারের সেবা সমূহ যেন জনগণের দুয়ারে পৌঁছে যায়। সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে বর্তমান সরকার। এবং বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় এতদিন কাজ করা অবশ্যই সার্থক হয়েছে। এখন সরকার আবার বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। এই কারণে আমাদের বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকগণকে অবশ্যই স্মার্ট নাগরিক হয়ে গড়ে ওঠা উচিত বলে মনে করি। কারণ সরকারের এই সকল সেবা সমূহ সুফল পেতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই স্মার্ট নাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে হবে।

তাছাড়া আমরা স্মার্ট নাগরিক না হলে ডিজিটাল বাংলাদেশের বা স্মার্ট বাংলাদেশের যে সকল সেবা সমূহ রয়েছে সে সকল সেবা সমূহ থেকে বঞ্চিত হব। তাই বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তিগত দিক থেকে প্রত্যেক নাগরিককে অবশ্যই দক্ষ হয়ে গড়ে উঠতে হবে। তাহলে বাংলাদেশ অবশ্যই বিশ্বের দরবারে একটি উন্নত দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে। তারিখ প্রেক্ষিতে আজকে আমরা আপনাদেরকে অবশ্যই অনলাইনে কিভাবে জমির খাজনা পরিষদ করা যায় তার একটি বিস্তারিত তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরব। আপনি অনলাইনে খাজনা প্রদান করতে হলে অবশ্যই আপনাকে বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট গুলির একটিতে প্রবেশ করতে হবে। সেখানে প্রবেশ করে আপনি আপনার নিজ বিভাগ সিলেক্ট করবেন। মেজবিভাগ সিলেক্ট করার পর সেটি ক্লিক করলে অবশ্যই সেই বিভাগের অধীনে যে সকল জেলা গুলি রয়েছে তা প্রদর্শিত হবে।

প্রদর্শিত জেলাগুলি থেকে আপনার নিজ জেলা বেছে নিয়ে সেটি অবশ্যই সিলেক্ট করবেন। তারপর নিজ জেলা সিলেট করলে সেই জেলার অধীনে অর্থাৎ আপনার নিজ জেলার অধীনে যে সকল উপজেলা গুলি রয়েছে সেই সকল উপজেলা গুলি আপনার স্ক্রিনে প্রদর্শিত হবে। সেখান থেকে আপনাকে আপনার নিজ উপজেলা সিলেক্ট করে সেটি ক্লিক করবেন। তাহলে দেখবেন আপনার নিজ উপজেলায় যে সকল ইউনিয়ন পরিষদ গুলি রয়েছে সেই সকল ইউনিয়ন পরিষদ গুলির মধ্যে থেকে আপনার নিজ ইউনিয়ন পরিষদ বাজে ইউনিয়ন পরিষদে আপনার ভূমি রয়েছে সেই ইউনিয়ন পরিষদ সিলেক্ট করে মৌজার নাম লিখবেন। মজার নাম লিখে ভুমি মালিকের নাম তার পিতা বা স্বামীর নাম লিখে যে জমির খাজনা প্রদান করবেন সেই জমির দাগ নম্বর খতিয়ান নম্বর লেখার পর সেন্ড করবেন।

তাহলে আপনি দেখতে পাবেন কত সাল পর্যন্ত আপনার জমির খাজনা প্রদান করা হয়েছে এবং কত সাল পর্যন্ত বাকি রয়েছে সেই সকল বিস্তারিত তথ্য দেখে আপনি কত সাল পর্যন্ত জমির খাজনা দিবেন সেটি লিখে সেন্ড করুন। তাহলে আপনার জমির খাজনা বাবদ কত টাকা দিতে হবে তা প্রদর্শিত হবে। তখন আপনি সেই পরিমাণ টাকা অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তাদের দেওয়া নম্বরে পরিশোধ করলে আপনার ফোনে একটি ওটিপি আসবে সেই ওটিপি লিখে সেন্ড করলেই আপনার জমির খাজনা দেওয়া হয়ে যাবে। তখন সে জমির খাজনার রশিদ আপনি সেভ করে ডাউনলোড করে নিলেই জমির কাজ না পরিশোধ করার সকল বিষয় বা তথ্য আপনার কাছে থেকে গেল।