জমির খাজনা দেওয়ার রশিদ

জমিজমা থাকলে সেই জমির প্রতিবছর খাজনা পরিশোধ করতে হয়। প্রাচীনকালে সরকারের বা রাজাদের রাজস্ব আয়ের এটি ছিল প্রধান উৎস। কিন্তু বর্তমানেও সরকারের একটি রাজস্ব আদায়ের উৎস হল এই ভূমিকর। তাই বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের উচিত তাদের ভূমিকর যেন সময় মতো পরিশোধ করে দেন। বর্তমানে বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয় অনেক ডিজিটাল হয়েছেন। কারণ বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয় এখন এত সুন্দর ডিজিটাল হয়েছে যে বিভিন্ন সেবা পাওয়ার জন্য এখন আর আমাদেরকে ভূমি অফিসে যেতে হয় না। বাড়িতে বসে থেকেই আমরা আমাদের সেবা সমূহ পেয়ে থাকি অনলাইন সেবা দানের মাধ্যমে। ২০২২ সালের ৩০ শে সেপ্টেম্বর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক সিদ্ধান্ত হয়।

এবং সেই সিদ্ধান্ত ২০২২ সালে পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে চালু হয়ে যায়। তারই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের প্রান্তিক অঞ্চলের জনগণ এখন ই সেবার আন্ডারে বাংলাদেশ ভূমি অফিসের অনেকগুলি কাজ বা সেবা পেয়ে থাকে এই অনলাইনের মাধ্যমে। বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রণালয়ের একটি বর্তমানে স্লোগান রয়েছে সে স্লোগানটি হল- “এক ঠিকানায় সকল সেবা”। তারই প্রেক্ষিতে আমরা এখন ভূমি অফিসের যে কার্যকলাপ বা যে কর্মকাণ্ড অর্থাৎ যে কাজগুলো আমাদের করতে হয় সে কাজগুলি আর ভূমি অফিসে গিয়ে করে আসতে হয় না।

যে সকল সেবাগুলো তারা অনলাইনের মাধ্যমে বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করার অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন সেগুলির মধ্যে বিভিন্ন খতিয়ান, ই-পর্চা সহ অনলাইনে ভূমি কর প্রদান বা খাজনা প্রদান সহ আরো অনেক সেবাসমূহ। আপনারা যারা আমাদের এই পোস্টে এসেছেন খাজনার রশিদ সম্পর্কে জানতে সে বিষয়টি আপনারা অবশ্যই জানতে পারবেন আমাদের এই পোস্ট থেকে। তবে খাজনা প্রধান এর রশিদ সম্পর্কে জানতে হলে আপনাদেরকে অবশ্যই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে যেতে হবে।

তাহলে অবশ্যই আপনারা আজকে যে খাজনার রশিদ সম্পর্কে জানার ইচ্ছে পোষণ করেছেন তা অবশ্যই জানতে পারবেন। তবে আপনারা যদি ভবিষেবার অন্যান্য তথ্য সংক্রান্ত জানতে চান তাহলে আপনাদেরকে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে হবে। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটটিতে ভূমির তথ্য সম্পর্কে সকল ধরনের তথ্যই আমরা প্রদান করেছি। তাই এ সকল তথ্য সম্পর্কে আপনারা যদি জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে হবে। কারণ বর্তমান যুগ হল তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কে যদি আমরা ঠিক ঠাক না বুঝে তাহলে সমস্ত কর্মকাণ্ড গুলি আমরা করতে পারবোনা। কারণ বর্তমান সময়ে সকল কাজগুলোই আমাদের অনলাইনে সম্পন্ন করতে হয়।

তাই আমাদেরকে তথ্যগুলি না জানতে হলে কখনো এই কাজগুলি করা একেবারেই সম্ভব নয়। তবে আজকে আপনারা যে বিষয়টি জানতে এসেছেন সে বিষয় সম্পর্কে এখন আপনাদেরকে আমরা বিস্তারিত দেখাবো বা অবগত করাবো। চলুন তাহলে আমরা বিষয়টি দেখে নিতে থাকি। আপনারা বর্তমানে দুই প্রকারে জমির খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে পারেন। এদের মধ্যে একটি হলো ম্যানুয়ালি কাজ না পরিশোধ করা এবং আরেকটি হলো অনলাইনে খাজনা বা ভূমিকর পরিশোধ করা।

অনলাইনে খাজনা পরিশোধ করতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে সেখানে নিজ জেলা নিজ বিভাগ নিজে উপজেলা এবং নিজ ইউনিয়নের নামগুলি সিলেক্ট করে সেখানে দেখানো খাজনা প্রদান বা ভূমিকরে গিয়ে ক্লিক করে, জমির দাগ নম্বর খতিয়ান নম্বর জমির মালিকের নাম পিতার নাম অথবা স্বামীর নাম এগুলো উল্লেখ করলে খাজনা সংক্রান্ত বা ভূমি কর সংক্রান্ত সকল কিছু দেখতে পাওয়া যাবে। তখন কত টাকা ভূমিকর দিতে হবে সে বিষয়টি অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পেট করে খাজনা দেওয়া যায় এবং খাজনা দেওয়া সেই রশিদ ডাউনলোড করে নিজের কাছে নিয়ে নেওয়া যায়।

এছাড়া আপনি যদি ম্যানুয়ালে খাজনা দিতে চান তাহলে আপনাকে ভূমি অফিসে গিয়ে ভূমিক কর্মকর্তার কাছে দাগ নম্বর মৌজা নম্বর খতিয়ান নম্বর দিলে পারে তারা সেটা দেখে আপনার কত টাকা ভূমি উন্নয়নকর্মাবোধ বকেয়া রয়েছে সে পর্যন্ত অথবা অগ্রিম দিতে চাইলে সেটাও দেওয়া সম্ভব। দিলে পরে তারা সেখানে দাখিলা বা রশিদ কেটে দেবে সেই রশিদ আপনি নিয়ে চলে আসবেন এবং ভূমি কর পরিশোধ করে।