ভূমি জরিপ পদ্ধতি

বিভিন্ন পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ করা হয়ে থাকে। তবে বিভিন্ন পদ্ধতি গুলোর মধ্যে আমাদেরকে দেখে নিতে হবে কোন কোন পদ্ধতি বেশি জরিপ করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে আমরা দেখেছি যে ভূমিছড়ি পদ্ধতি সমূহ যেগুলি ব্যবহার করা হয় তা এখন আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। পদ্ধতিগুলি হল- ১. শিকল দরিপ পদ্ধতি। ২. কম্পাস জরিপ পদ্ধতি। ৩. পয়েন্ট টেবিল জরিপ পদ্ধতি। ৪. থিয়োডোলাইট জরিপ পদ্ধতি ইত্যাদি। এখন আমরা প্রথমে শিকল জরিপ পদ্ধতি কি, সেটি দেখি।

শিকল জরিপ পদ্ধতি: এই পদ্ধতিতে ভূমি জরিপের জন্য শিকল জরিপ সহজ উপায় বলে সকলে মনে করেন। যে ভূমির পরিমাপ করতে হবে তা কতগুলো ত্রিভুজে বিভক্ত করে নিতে হয়। তারপর ত্রিভুজ গুলোর ক্ষেত্রফল বাহির করে এক জায়গায় যোগ করলে সেই জমির ক্ষেত্রফল বাহির হয়ে গেল। এভাবে জরিপকৃত পদ্ধতির নাম হচ্ছে শিকল জরিপ পদ্ধতি। এবার আমরা পরবর্তী পদ্ধতির দিকে যাই।
কম্পাস জরিপ পদ্ধতি: কম্পাসের সাহায্যে যে জরিপ পরিচালিত হয় তার নাম কম্পাস জরিপ। এতে আবার দুই ধরনের কম্পাস ব্যবহার করা হয়। একটি হল প্রিজমেটিক একটি কম্পাস এবং আরেকটি সার্ভেয়াস কম্পাস।

বিস্তারিত নকশা প্রণয়ন এবং রাস্তা নদী এবং ধারাবাহিক রেখার নকশা প্রণয়ন কাজে আমরা দেখি যে প্রিজমেটিক কম্পাস ব্যবহার করে থাকেন। আবার বড় বড় নদী বা সমুদ্র এলাকায় যখন বিশাল ধরনের চট জেগে ওঠে তখনও তা নরম থাকে এবং সেই কারণে তার উপর দিয়ে চলাফেরা করা যায় না তখন এই কম্পাস শরীফের মাধ্যমেই তার অবস্থান সীমানা এবং আয়তন নির্ণয় করা হয়ে থাকে।

প্লেনটেবিল জরিপ: ভূমি জরিপের ক্ষেত্রে নকশা প্রস্তুতির জন্য বিশেষ ধরনের তিন পা বিশিষ্ট একটি অংশ এবং তিন হতে ২২৬ ইঞ্চি পরিমাপের মধ্যস্থল চাকরিযুক্ত একটি টেবিল যা প্রয়োজনে ত্রিপায়ার সাথে নাক দ্বারা আটকানো যায় এই ধরনের টেবিল ত্রি-পায়া টেবিল বলা হয়ে থাকে। ত্রি-পায়া হওয়ার কারণে সমতল কিংবা উঁচু নিচু স্থানেও এটি সেট করা যায়। তারপর এটির ওপর টি ৭০ সিট সেট করে নকশা অংকন করা সম্ভব হয়।

থিওডোলাইট জরিপ: একটি যমের নকশা প্রস্তুত এর জন্য সরজমিনে কিছু নির্দিষ্ট পয়েন্ট চিহ্নিত করে নিতে হয় ওই সকল পয়েন্টের স্থানাঙ্ক নির্ণয়ের জন্য এক পয়েন্ট হতে অপর পয়েন্ট এর কৌণিক দূরত্ব পরিমাপ পর্যবেক্ষণ ইত্যাদি কাজের জন্য দূরবীক্ষণ যুক্ত যে যন্ত্রটি ব্যবহার করা হয় তাকে থিওডোলাইট যন্ত্র বলা হয়। এই সকল পদ্ধতি এর সাহায্যে প্রাপ্ত ভাস পয়েন্টের স্থানাঙ্ক দ্বারা তৈরি নির্দিষ্ট স্কেলের টি ৭০ সিট প্রস্তুত করা হয়।

এছাড়া আবার জরিপ কালে বা জরিপের জন্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এ সকল যন্ত্রপাতির নাম হল গানটার শিকল ডায়নগাল স্কেল আবার অফসেট ডিভাইডার বা কাটা কম্পাস জোনাল জরিপ দিয়ারা জরিপ এ সকল। তাই আমরা দেখলাম যে বিভিন্ন পদ্ধতিতে জমি জরিপ বা ভূমি জরিপ করা হয়ে থাকে। এক একটি পদ্ধতি একেকরকম হওয়ার কারণে আলাদা আলাদা পদ্ধতি আলাদা আলাদা সুবিধা পাওয়া যায়। তাই যে সকল পদ্ধতিতে বেশি সুবিধা মনে করা হয় সে সকল পদ্ধতি তে জরিপ কার্য চালানো হয়।

জরিপ কার্য চালানোর জন্য এই সকল পদ্ধতি প্রচলিত আছে বলেই এই পদ্ধতি গুলো এখন পর্যন্ত ব্যবহার হয়ে আসছে। কিন্তু ভবিষ্যতে হয়তো আরও উন্নত প্রযুক্তি আসবে তখন সেই পদ্ধতিগুলি সাহায্যে ভূমি জরিপ করা হবে। তাই আমরা প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে আমাদেরকে অবশ্যই জেনে নিতে হবে।প্রযুক্তির ব্যবহারগুলি যদি আমরা ঠিকভাবে বুঝে উঠতে পারি তাহলে অবশ্যই আমাদের দেশ ও এগিয়ে যাবে খুব তরতর গতিতে। তাই বর্তমান নাগরিকগণকেও অবশ্যই প্রযুক্তিগত দিক ব্যবহারে পারদর্শী হয়ে উঠতে হবে। আমরা চেষ্টা করব সকল নাগরিক যেন প্রযুক্তিগত দিক থেকে অল্প অল্প করে হলেও এগিয়ে যায়। তাহলে এ সকল বিশেষ সংক্রান্ত সকল তথ্যগুলি পেতে আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে নিতে পারেন।