১৮৮৫ সালে প্রণীত একটি ভূমি আইন গঠিত হয়েছিল। সেই আইনটিতে বলা হয়েছিল যে কোন সম্পদ ১২ বছর কারো দখলে রাখতে পারলেই তার মালিকানা দাবি করা যায়। কিন্তু শুধু দখলের ভিত্তিতে জমির মালিকানা লাভের বিধান আর থাকছে না। ১৮৮৫ সালের প্রণীত এই আইনটি এখন বদল হতে যাচ্ছে। কারণ এই আইনটিতে দেখা যায় যে কোন সম্পদ যেকোন ভাবেই ১২ বছর পর্যন্ত নিজের দখলে যদি রাখতে পারে তাহলে সেই সম্পদের মালিকানা ওই ব্যক্তি অর্থাৎ যে দখল করে রেখেছিল ওই ব্যক্তি দাবি করতে পারে।
এবং এরকম ঘটনার কারণে দেখা যায় যে আমাদের সমাজে বিদ্যমান আইন টির কারণে অনেক ধরনের অসুবিধা সৃষ্টি হচ্ছে। হঠাৎ যে কেউ যে কোন সম্পদ ছলচাতুরি অথবা অন্য যেকোনোভাবে 12 বছর দখলে রাখতেই পারে। আর তার কারণে যে তাকে সেই সম্পদটা একেবারেই হয়ে যাবে তার এ কথাটি বর্তমান প্রেক্ষিতে আর চলে না। কারণ মানুষের উদারনীতির কারণে বউ দ্বারা তার জন্য যে কোন সম্পদ যে কাউকে অবশ্যই ১২ বছর বা তারও বেশি সময় তার অধীনে রাখতে দিতে পারে কিন্তু তাই বলে সম্পত্তি একেবারেই তাকে দিয়ে দেবে এমন কখনো ঘটনা ঘটতে পারে না।
তাই দেখা যায় যে আইনটি পরিবর্তন হলে জমির মালিকানা নির্ধারণ হলে দলিলের ভিত্তিতে যদি করানো যায় তাহলে অবশ্যই সকলের জন্য বিষয়টি ভালো হয়। তাই বর্তমানে ভূমি মন্ত্রণালয় মাননীয় মন্ত্রী এই আইনটি পরিবর্তন করতে যাচ্ছেন। অর্থাৎ ২০২২ সালে একটি আইন অর্থাৎ এই আইনের বা দখল সত্য আইনকে রোধ করার জন্য এই আইনের সংস্কার নিয়ে এসেছেন। সংস্কারে বলা হয়েছে যে দলিল যার জমি তার।
আর এই আইটি যদি প্রণয়ন করা হয় বা সংস্কার করা হয় তাহলে প্রত্যেকের জন্য বিশেষ করে আমাদের বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের জন্য অবশ্যই ভালো একটি বিষয় হয় বলে সকলেই মতামত প্রদান করেছেন। কারণ এখানে অবশ্যই জোর যার মুল্লুক তার এই বিষয়টিকে প্রতিরোধ করা হয়েছে। কারণ যে কেউ জবরদখল করে 12 বছর পর্যন্ত কোনো একটি সম্পদ তারা দখল করে রাখতেই পারে কিন্তু সেই দখল সত্য আইন অনুযায়ী ১২ বছর পর্যন্ত রাখলেই জমিটি তার হবে এটি অবশ্যই খারাপ একটি বিষয় বলে মনে করা হতো।
বর্তমানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় মন্ত্রিসহ ভূমি মন্ত্রণালয় সকল কর্মকর্তা এই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। এবং জনগণের দুঃখ দুর্দশার কথা বুঝে তারা এই আইনটি পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছেন। কারণ বিদ্যমান আইনের অজুহাতে প্রচুর সরকারি সম্পত্তি ও বেদখল হচ্ছে বিভিন্ন সময়ে। কারণ শুধু ১২ বছর নিজের দখলে রাখতে পারলে জমিটি তার হবে।
তাই ব্যক্তি মালিকানার অনেক সম্পত্তি নিয়েও বিরোধ করিয়াছে আদালত পর্যন্ত এটি কখনো অস্বীকার করা যায় না। তাই এর বাহিরেও জমি দখল নিয়ে সহিংসতার কারণে মামলা মোকদ্দমা নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এই আইনটির জন্য বাংলা সাধারণ মানুষ একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তাই আংটিতে যদি পরিবর্তন আনা হয় তাহলে দেওয়ানী মামলার একটি বড় অংশই কমে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। নতুন আইনটির নাম রাখা হয়েছে ভূমির ব্যবহার স্বত্ব গ্রহণ আইন ২০২০।
তাই দেশে শুরু হওয়া ডিজিটাল সার্ভিস সমাপ্ত হওয়ার পর এর সুফল মানুষ পাবে বলে মনে করেছেন ভূমি মন্ত্রী জনাব সাইফুজ্জামান চৌধুরী সাহেব। দলিল যার জায়গা তার আমার দলিল নেই অথচ দখল আছে দীর্ঘদিন ধরে এটা হতে পারে না। তাই দখল স্বত্ব আইন আমরা সংশোধন করার পক্ষে মতামত দিতে পারি। তাই আপনারা আপনাদের যেকোনো বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটিতে ভিজিট করে নিতে পারেন। তাহলে আপনাদের আর কোন আইন বা জমিজমা সম্পর্কিত অন্যান্য যে কোন বিষয় জানার আর কোন বিষয় বাকি থাকবে না বলে মনে করা হচ্ছে। তাই যে কোন প্রয়োজনে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটিতে ভিজিট করে নিতে পারবেন।