জমি কেনার জন্য লোন

জমি কেনা এবং সেই জমির উপর ফ্ল্যাট তৈরি করা অনেক মানুষেরই এ ধরনের স্বপ্ন থাকে। কিন্তু সবাই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারে না। কিন্তু তাই বলে স্বপ্ন দেখা ছেড়ে যেতে হবে এমনও নয়। নিজে নিজে চাকরি করে সংসার চালানোর পর জমি ক্রয় করে এবং সেই জমির উপর বাড়ি তৈরি করা মানুষের জন্য অবশ্যই কষ্টসাধ্য হয়ে থাকে। জীবনে কষ্ট করলেই আসলে কৃষ্ণ পাওয়া যায় এ ধরনের কথা সমাজে অবশ্যই প্রচলিত রয়েছে।

তাই আমাদেরকে অবশ্যই কষ্ট করতে হবে তাহলে জীবনে সবকিছুই হবে। তবে আমাদেরকে অবশ্যই সমাজে একটু বুদ্ধি করে চলতে হবে। আর এই বুদ্ধি হচ্ছে যে টাকা গুছিয়ে জমি যদি কিনতে না পারি তাহলে অবশ্যই বিভিন্ন ব্যাংক বীমা আর্থিক সংস্থা থেকে লোন পাওয়া যায়। কারণ সে সকল ব্যাংক বীমা আর্থিক সংস্থাগুলো আমাদের লোন দেওয়ার জন্য খুঁজছে।

যেহেতু এটি তাদের কাজ এবং এখান থেকে তাদেরও কর্মসংস্থান হয় এজন্য তারাও আমাদেরকে খুঁজছে আমরাও তাদেরকেই খুঁজছি। তাহলে এখন যদি এই দুইয়ে মিলে চার হয় তাহলে অবশ্যই দুজনের জন্যই ভালো একটি বিষয় হতে পারে। তবে লোন নিয়ে জমি কেনার জন্য একটি শর্ত থাকে বা সে সকল সংস্থাগুলো আমাদেরকে একটি শর্ত দিয়ে থাকে। সেই শর্ত পূরণ হলে অবশ্যই ক্লোন পাওয়া সম্ভব এবং লোন পেলে জমি ও কেনা সম্ভব। বিভিন্ন ব্যাংক বীমা বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো চাকরিজীবীদের লোন দেওয়ার জন্য তারা কিছু শর্ত আরোপ করে থাকেন।

এবং তাদের একটি শর্ত হলো ৭০ ভাগ বনাম ৩০ ভাগ। অর্থাৎ ব্যাংক থেকে বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নেওয়ার শর্ত হলো যে ৩০ ভাগ টাকা যে জমি ক্রয় করবে তাকে অবশ্যই জোগাড় করতে হবে এবং বাকি ৭০ হাজার টাকা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান দিতে প্রস্তুত রয়েছে। কিন্তু আমরা যদি মনে করি যে সমস্ত টাকাই সেই সকল রমজান সংস্থা থেকে নেব এটা অবশ্যই ভুল সিদ্ধান্ত হতে পারে আপনার জন্য।

কারণ সম্পূর্ণ ঋণের টাকা দিয়ে জমি ক্রয় করে দিয়ে সেই আর্থিক প্রতিষ্ঠান অবশ্যই বিপদের মুখে পড়তে পারে বিধায় তাদের এরকম ধরনের একটি শর্ত থাকে। আমরা জানি আমাদের দেশের অনেক মধ্যবিত্ত এর ই জমি ক্রয় করে ফ্ল্যাট তৈরি করা একটি স্বপ্ন থাকে কিন্তু সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে তাদেরকে অবশ্যই হিমশিম খেতে হয়।

তবে একটু যদি বুদ্ধি করে ভবিষ্যতের কথা ভেবে জীবনে একটু কষ্ট স্বীকার করে নেওয়া যায় তাহলে আমাদের দেশে যে সকল রমজান সংস্থা ঋণ দিয়ে থাকে এই সকল বিষয়ের উপর সেই সকল ঋণ গুলি নিলে আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে পারে অতি সহজেই। কারণ যারা শহরে বসবাস করেন বাড়াবাড়িতে তাদের জন্য জীবন আরো দুর্বিষয়ক হয়ে ওঠে এই কারণে যে মাসে মাসে ভাড়া টাকা গুনতে হয় ঠিকই কিন্তু নিজের একটা বাড়ি যদি হতো তাহলে তাদেরকে আসলে সেই ভারত টাকা গুনতে হতো না।

এই কারণে কষ্ট তো এমনি হয় এই কষ্ট যদি আরেকটু বেশি হওয়ার পর জীবনে সুখের মুখ দেখা যায় তাহলে সকলেই এই কাজটি করতে পারে। আর এসব কথা ভেবেই আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও এখন এ ধরনের অভাব আবাসন খাতে আগের চেয়ে অনেক অনেক পরিমাণ বেশি ঋণ দিচ্ছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়াটা অনেকটাই ঝুঁকিমুক্ত বলেই মনে করা হয়।

এই সকল প্রতিষ্ঠান থেকে ঝুকিমুক্ত বা নিরাপদ ঋণ নিয়ে যে কেউ তাদের জীবনকে সাজাতে পারে তার স্বপ্নের মত করে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রেও যে শর্ত গুলো রয়েছে সে শর্ত গুলো মানলে সহজেই ঋণ পাওয়া যায়। যেকোনো ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে সেই দিনের সুদের হার ৯%। তবে কোন কোন ব্যাংক ভেদে এই ঋণের হার ৭% থেকে ৯ পার্সেন্ট এর মধ্যে রয়েছে। সরকারি বা রাস্তা সকল ব্যাংকগুলি এখন এই ধরনের ঋণ চাকরিজীবীদের মাঝে বা জনগণের মাঝে দেওয়া শুরু করেছেন। তাই জমি বা ফ্লাট কেনার জন্য আপনাকে অত চিন্তিত না হয়ে যেকোনো ব্যাংক বীমা বা আত্মিক প্রতিষ্ঠানগুলির সাথে যোগাযোগ করলে অবশ্যই ঋণ পাবেন।