জমি মিউটেশন করার পদ্ধতি

জমি ক্রয় করার অর্থ হলো যে, আপনি জমি মালিকের কাছ থেকে নিজ নামে দলিল করে সেই জমি রেজিস্ট্রি করে নিলেন। এতেই আপনার জমি ক্রয়ের সংক্রান্ত সকল কাজ সম্পন্ন হল এমন ভাবার কোন কারণ নেই। কারণ জমি ক্রয় সম্পন্ন হলো তখনই বুঝতে পারবেন যখন সেই জমিটি আপনার নামে মিউটেশন নামজারি বা খারিজ হয়েছে। তাই জমি ক্রয় করার পর আপনাদেরকে অবশ্যই মিউটেশন করে নিতে হবে।

আজকে আপনারা যারা আমাদের এই পোস্টটিতে এসেছেন মিউটেশন করার পদ্ধতি জানার জন্য অবশ্যই আমাদের এখান থেকে আপনারা এখন জেনে নিতে পারবেন কিভাবে আপনি আপনার জমি মিউটেশন নামজারি বা খারিজ করে নিতে পারবেন সেই পদ্ধতি সম্পর্কে। তবে আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন জমে জমা সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়গুলি দেখে নেওয়ার জন্য। কারণ আমরা জমিজমা সংক্রান্ত অন্যান্য সকল বিষয়গুলি নিয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে আমরা প্রকাশ করে থাকি।

সে সকল তথ্যগুলি আপনি দেখে নিলে জমিজমা সংক্রান্ত সকল বিষয় সম্পর্কে আপনি অবগত হতে পারবেন। তাহলে আজকে আমরা এখন দেখে নিতে পারি নিউট্রিশন করার পদ্ধতিটি। আপনাকে মিউটেশন করার জন্য বা নামজারি বা খারিজ যাই বলেন না কেন এটি করার জন্য আপনাকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর একটি আবেদন করতে হবে। এবং সেই আবেদনের জন্য আপনাকে অবশ্যই সেই সহকারি কমিশনার ভূমি এর অফিস থেকে সংগ্রহকৃত নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। তবে আপনি যদি ম্যানুয়ালি আবেদন না করেন তাহলে এখন অনলাইনে আবেদন করা সম্ভব। অর্থাৎ আপনি আপনার আবেদনটি আপনার ঘরে বসে করতে পারবেন যদি আপনার জানা থাকে। সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের লিংক আমরা আপনাদের অবগতির জন্য এখান থেকে দিয়ে দেব। Link: mutation.land.gov.bd তাহলে আপনারা এই লিংকে প্রবেশ করে জমি মিউটেশন করার আবেদন করতে পারবেন। তবে এই আবেদন করার জন্য আপনাকে অবশ্যই কিছু তথ্য তাদেরকে অবশ্যই দিতে হবে। সেই তথ্যগুলি হল আপনার নাম স্বামী বা পিতার নাম জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর জমির খতিয়ান দাগ নম্বর এসব দিয়ে আপনি আপনার ফর্মটি ঠিকমত পূরণ করার পর। আবেদন পত্রের সহিত যে সকল কাগজপত্র দেবেন সে সম্পর্কে এখন আমরা আপনাদেরকে বলে দেওয়ার চেষ্টা করছি।

তাহলে এখন দেখে নিন কি কি কাগজপত্র আপনার আবেদনের সঙ্গে দিতে হবে বা সংযুক্ত করতে হবে। জমি ক্রয় করা হলে সেই কয়কৃত জমির মূল দলিলের সার্টিফাইড কপি, অথবা ফটোকপি। প্রয়োজনীয় বায়া দলিলের সার্টিফাইড কপি অথবা ফটোকপি। মৃত্যুর ক্ষেত্রে ওয়ারিশন সনদপত্র (অনধিক তিন মাসের মধ্যে ইসুকৃত)। হে বাগানের ক্ষেত্রে হিবাদ দলিলের কপি। সংশ্লিষ্ট খতিয়ানের সার্টিফাইড কপি অথবা ফটোকপি। ভূমি উন্নয়ন কর পরিষদের দাখিলা। আবেদনকারীর অথবা প্রতিনিধির এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

জমি মিউটেশন বা খারিজ বা নামজারীর ক্ষেত্রে এই সকল কাগজপত্র আবেদনের সহিত অবশ্যই সংযুক্ত করতে হবে। এবং এই জমি খারিজ মিউটেশন বা নামজারি করতে আবেদন করার জন্য আপনাকে যে ধরনের খরচপাতি করতে হবে সেটির বিবরণও আমরা এখন এখান থেকে দিয়ে দিচ্ছে। নামজারি ও জমা ভাগ এবং নাম জারি একত্রীকরণ ফি বাবদ আপনাকে মোট ১১৭০ টাকা দিতে হবে। এখন আপনাকে এই ১১৭০ টাকা কোন কোন খাতে দিতে হবে সেই হিসাবগুলি আপনাকে দেখানোর চেষ্টা করছি।

আবেদন বাবদ কোর্ট ফি ২০ টাকা, নোটিশ জমা ফি 50 টাকা, রেকর্ড সংশোধন ফি ১০০০ টাকা প্রতি কপি মিউটেশন কিভাবে ১০০ টাকা করে সর্বমোট আপনাকে ১১৭০ টাকা প্রদান করতে হবে। তাহলে আমরা দেখলাম যে অনলাইনে জমি খারিজ বা মিউটেশন করতে হলে আমাদের কি কি করতে হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। এবং এ সকল আবেদন করতে আপনাকে মোট কত খরচ পড়বে সে বিষয়েও আমরা এখানে আলোকপাত করেছি। তাই জমি মিউটেশন করার পদ্ধতি সহ খরচ বাবদ বিষয়গুলি আপনি এখান থেকে বুঝে নিতে পারলেন।