ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে আপনি যদি আপনার খতিয়ান অনুসন্ধান অথবা খতিয়ান যাচাই করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। আমরা জানি যে এর আগে অর্থাৎ ২০২২ সালের পয়লা অক্টোবরের আগেই আমরা যদি ভূমির খতিয়ান অনুসন্ধান অথবা যাচাই করতে চাইতাম তাহলে আমাদেরকে ভূমি অফিসে যেতে হতো। এবং আমাদেরকে অনলাইনে আবেদন করতে হতো এবং সে আবেদন যে একদিনে গিয়ে হবে এমন ধরনের বিষয় ছিল না।
হয়তো আমরা আবেদন করার জন্য গেছি তখন সেখানে তারা জানিয়ে দিল যে আপনার সম্পূর্ণ কাগজপত্র নেই। আপনি সম্পূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে আসুন আগামী দিন হবে। এভাবে কয়েকদিন ঘোরার পর হয়তো আমরা আবেদনটি সম্পন্ন করতে পারতাম। তারপর সেই আবেদনটি কোথায় কি অবস্থায় রয়েছে সে বিষয়ে সম্পর্কে আমাদের অবগত হওয়ার আর কোন বিষয় ছিল না বা অবগত হতে পারতাম না। অনেকদিন দিনের পর দিন খোঁজ নেওয়ার পর হয়তো একদিন সে সম্পর্কে তথ্য গুলি তারা আমাদেরকে প্রদান করত। কিন্তু বর্তমানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সেরকম অবস্থা নেই।
আমরা বাড়িতে বসেই নিজের ডিভাইস দ্বারা ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে খতিয়ানের জন্য আবেদন অথবা আবেদন পত্রটি যাচাই করতে পারি। তাই দিন বদলেছে এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের দিন আরও বেশি বদলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। আমরা এখন বাড়িতে বসে থেকেই ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনেকগুলি সেবা গ্রহণ করতে পারি।
তবে আমাদের কেউ সেই সকল সেবা গুলি গ্রহণ করার জন্য অভিজ্ঞতা অর্জন এর একটি বিষয় রয়েছে। কারণ আমি চাইলেই ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ঢুকেই যে কাজটি সফলভাবে সম্পাদন করতে পারব এ বিষয়টি ভাবা একেবারেই ঠিক নয়। কারণ এ সকল কার্য গুলি করতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই তথ্যপ্রযুক্তিগত দিক থেকে অনেক পারদর্শী হতে হবে। তা না হলে তারা কি চাচ্ছে এবং কিভাবে কাজগুলি করতে হয় সে সম্পর্কে না জেনেই যদি কাজ করতে লাগি তাহলে অবশ্যই সেটি সফলকাম হবে না বলেই আশা করা যায়।
এজন্য আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত হবে ভূমি অফিসের বা ভূমি মন্ত্রণালয় এ সকল সেবাগগুলি পাওয়ার জন্য দক্ষ নাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা। কারণ আমরা জানি শিক্ষার কোন বয়স নেই যে কোন সময় যেকোনো বয়সে যে কোন বিষয় শিখে নেওয়া যায়। অনেক সময় আমরা বলতে পারি এ বয়সে এসে আর কি হবে নতুন জিনিস শিখব। কিন্তু মানুষকে তো বেঁচে থাকলে বিভিন্ন কাজকর্ম শিখতেই হয়। এরকমই বিষয় হল আমাদেরকে এই সকল কাজকর্ম অর্থাৎ ভূমি অফিসের সেবাকুলি পাওয়ার জন্য কার্যগলি শেখার জন্য অবশ্যই এ সকল বিষয় শিখে নিতে হবে। তাহলে আসুন এখন আমরা দেখে নিতে পারি কিভাবে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করতে পারি বা জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করার জন্য আমাদের কি কি করতে হবে।
সর্ব প্রথমে আমাদেরকে www.eporcha.gov.bd এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে হবে। এরপরে মেনু থেকে খতিয়ান অপশনে ক্লিক করে খতিয়ানের ধরন বাছাই করতে হবে। তারপর সেখানে আমাদেরকে তারা যে বিষয়গুলি চাইবে অর্থাৎ নিজ বিভাগ নিজ জেলা নিজ থানা এই বিষয়গুলি সিলেক্ট করে আমাদেরকে ক্লিক করতে হবে। তারপর সেখানে আমাদেরকে ভূমি মালিকের নাম পিতার নাম মাতার নাম জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর স্থায়ী ঠিকানা ইত্যাদি লিখতে হবে। এরপর আপনাকে মালিকের ঠিকানা সহ দাগ নম্বর প্রদান করলেন জমির খতিয়ান দাগ এবং মালিকানা সম্পর্কে বিস্তারিত যে তথ্যগুলি রয়েছে সেই তথ্যগুলি আপনার স্ক্রিনে প্রদর্শিত হবে। সম্পূর্ণ তথ্যগুলি যদি ঠিকঠাক থাকে তাহলে আপনি এই সার্টিফাইড কপি পাওয়ার জন্য ৪৫ টাকার বিনিময়ে আবেদন করতে পারেন।
তাহলে ডাকযোগে আপনার কাছে অবশ্যই সেই খতিয়ানটি এসে পৌঁছাবে। এ ধরনের সকল তথ্য পাওয়ার জন্য আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে নিতে পারেন। তাহলে আপনারা অবশ্যই এ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য অর্থাৎ যে তথ্যটি আপনারা পেতে চান সেই সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্যগুলি আমরা আপনাদেরকে আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দেখাতে পারব।