জমি বন্টন করার নিয়ম | জমি বন্টন আইন বাংলাদেশ

ভূমি মালিকের অবর্তমানে বা বর্তমানে অবশ্যই একটি আইনের দ্বারা তার সকল সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারা করতে হয়। বাংলাদেশে এ সংক্রান্ত আইন অবশ্যই রয়েছে। কিন্তু সে আইন সম্পর্কে সকলের ধারণা না থাকায় অনেক সময় আমরা এই জমে জমাট বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে গন্ডগোল ফ্যাসাদ এ জড়িয়ে পড়ি। জমি বন্টন বা ভাগ

বাটোয়ারা সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের মামলা হয়ে থাকে আদালতে। পৈত্রিক সম্পত্তি ওয়ারিশদের মাঝে সম বন্টন না হলে কিংবা পিতা বন্টন চিহ্নিত না হলে কিংবা জমির সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত বিরোধ হলে সম্পত্তি অন্যান্য শরিকরা জোর করে দখল করে নিলে আদালতে সে সকল মামলা গড়ায়। এছাড়া পৈত্রিক সম্পত্তির ন্যায্য হিসাব না পেলে শরিক রাও বিভিন্ন সময় কোর্টে মামলা করে।

তাই আমাদের উচিত হবে যে বন্টন নামায় যে ধরনের আইন রয়েছে সেই সকল আইন ধরে সকল সম্পত্তি তার ওয়ারিশদের মাঝে যথাযথভাবে বন্টন করে দেওয়া। কিন্তু আমরা দেখতে পাই যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এ ধরনের সুষ্ঠু বন্টন আমাদের দেশে হয়ে ওঠে না শুধুমাত্র কতিপয় স্বার্থন্বেষী মহলের জন্য। আর এই ধরনের স্বার্থান্বেষী মহল শুধুমাত্র নিজেরটা বোঝে অন্যের জন্য কিছুই করতে চায় না। তাদের আত্মীয়-স্বজনদেরকে ঠকিয়ে নিজের আখের গুছিয়ে নিতে চায়। আর এতেই বাঁধে বিরোধ। মামলা চলে আদালতে।

এই আইনটি অর্থাৎ পার্টিশন এক ১৮৯৩ নামে পরিচিত। এই বাম মামলাগুলো রক্ত সম্পর্কিত শরিকদের সাথে বেশি করে হয়ে থাকে। আদালতের মাধ্যমে উত্তরাধিকার সম্পত্তি বণ্টন করে নিলে জটিলতা কম থাকে বলে আদালতে এ মামলার সংখ্যাও বেশী। এই কারণে আমরা সবাই জানি যে সম্পত্তির শরীর দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি হল উত্তর অধিকার সূত্রে শরিক যাকে আবার ইংরেজিতে বলা হয় ও শেয়ার আর ভাই ইনহেরিটেন্স। দ্বিতীয়টি খরিদ সূত্রে বা ক্রয় সূত্রে শরিক যা ইংরেজিতে বলা হয় কো শেয়ার আর বাই পারচেজ।

বাটোয়ারা মামলা করার সময় অংশীদারদের কে মামলায় অক্ষ ভুক্ত করতে হয়। কোন একজন শরিক বাদ থাকলে বন্টননামা কখনোই শুদ্ধ হয় না। এই মামলা করতে হলে কিন্তু সম্পত্তির মালিকানা সংশ্লিষ্ট সব ধরনের কাগজপত্র দাখিল করতে হবে। এই সকল কাগজপত্রের মধ্যে অবশ্যই ভূমি জরিপ খতিয়ান নামজারি খতিয়ান মালিকানা দলিল উত্তরাধিকার সনদ ইত্যাদি কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়।

এজন্য অবশ্য আমাদেরকে নিজেদের মধ্যে অর্থাৎ সকল অংশীদারদের মধ্যে আলোচনা করে বন্টন নামা করে নেওয়ায় সবচাইতে ভালো। তবে আমরা যদি বন্টন মামা আইনে মামলা করি তাহলে বন্টন টি সবচেয়ে বেশি শুদ্ধ হয় ঝামেলা কম থাকে আদলতা নির্দেশ অনুযায়ী আমরা সেটি বাস্তবায়িত করতে পারি। আর পার্টিশন মামলায় বর্তমান রেকর্ডেড মালিককে অবশ্যই পক্ষ করে পক্ষ-ক্তি করে মামলা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তাই আমাদের অবশ্যই বন্টন মামা অনুযায়ী অর্থাৎ বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী জীবন নামে রয়েছে সেই বন্টনামায় অনুযায়ী পৈতৃক সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারা করে সেই বাটোয়ারা দলিল রেজিস্ট্রি করে নেওয়া উচিত। তা না হলে আমাদের সমস্যায় জড়িয়ে পড়তে হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ধর্মীয় আইন অনুযায়ী পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারা বিশেষ আইন রয়েছে। যেমন মুসলিম ধর্মের জন্য রয়েছে মুসলিম আইন এবং হিন্দুদের জন্যেও রয়েছেন হিন্দু উত্তরাধিকার আইন। এ সকল আইনেও যদি তারা নিজেদের সম্পত্তি অর্থাৎ পৈতৃক সূত্রে পাওয়া সম্পত্তিগুলো ভাগ বাটোয়ারা করে নেয় তাতেও কোন সমস্যার সৃষ্টি হয় না।

তবে আপনাদের যে যে আইনে যার যার বিশ্বাস রয়েছে সেই সকল আইন বিষয়ে আলোচনা করে নিজেদের মধ্যে অর্থাৎ শরীকদের মধ্যে বিষয়গুলি আলোচনা করে আপনি বা আপনারা আপনাদের পৈতৃক সম্পত্তি ভাগবাটোয়ারা করে নিতে পারেন। এক্ষেত্রেও কোন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি যদি না হয় তাহলে আপনাদের আর কোন সমস্যাই থাকে না নিজেদের উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তিগুলোর বন্টনে। তাই আপনারা জমিজমা সংক্রান্ত সকল বিষয় নিয়ে জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে নিতে পারেন। আমাদের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত সকল বিষয়গুলি অত্যন্ত সুন্দরভাবে তুলে ধরা রয়েছে।