২০২২ সাল বাংলাদেশের ভূমি উন্নয়নের ক্ষেত্রে বা ভূমি অফিসের জন্য একটি মাইল ফলক এর বছর হিসেবেই ইতিহাস এটিকে থাকবে। কারণ এই বছরের ৩০ শে সেপ্টেম্বর একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পহেলা অক্টোবর ২০২২ সাল থেকে ভূমি অফিসের অনেকগুলি সেবা কে ই-সেবায় পরিণত করা হয়েছে। আর এই ই সেবায় পরিণত করার কারণেই ভূমি মন্ত্রণালয় এখন ডিজিটাল মন্ত্রণালয় হিসেবে বাংলাদেশের জনগণের কাছে পরিচিত।
এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভূমি অফিসের একটি ওয়েবসাইটের ঠিকানায় আপনি সকল কিছু দেখে নিতে পারবেন। অর্থাৎ আপনার জমিজমা সংক্রান্ত সকল বিষয় অর্থাৎ জমি জমান কাগজপত্র সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় যেগুলি ভূমি অফিসের সঙ্গে বা ভূমি অফিসে গিয়ে দেখে আসতে হতো সেই কাগজপত্র গুলি এখন আপনি আপনার ঘরে বসেই দেখে নিতে পারবেন।
আর এই কারণে ভূমি সংস্কারের যে বিষয়গুলি রয়েছে তা ২০২২ সালে সবচাইতে বেশি পরিবর্তন হলো বলেই সকলের মতামত। আর এই কারণে সকল ধরনের হিসাব নিকাশ ২০২২ সালে এসে পাল্টে গেছে ভূমি অফিসের জন্য। ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও অনেক কার্যক্রম আর ম্যানুয়ালি করতে হয় না সকল কিছু এখন অনলাইনে রয়েছে তাই অনলাইনে থেকেই তারা সেবা প্রদান করে থাকেন। তাই আপনারা আজকে যারা আমাদের এই পোস্টে এসেছেন যে ২০২২ সালে খতিয়ান কিভাবে দেখবেন সে বিষয়টি দেখার জন্য অবশ্যই তা আপনি এখন এখান থেকে দেখে নিতে পারবেন।
তবে আরেকটি বিষয় হলো জমিজমা সংক্রান্ত অন্যান্য আরো যে বিষয়গুলি রয়েছে সেগুলি দেখতে হলে বা সেগুলি বুঝে নিতে হলে আপনাদের অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে নিতে হবে। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটটিতে জমিজমা সংক্রান্ত অন্যান্য যে সকল বিষয় রয়েছে সে বিষয়গুলি সকল বিষয়গুলি বিস্তারিতভাবে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
আর এই কারণে আপনারা যদি জমিজমার বিষয়গুলি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে ভালোভাবে বেছে নিতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে আপনাদের নিতেই হবে। তাহলে আমরা এখন দেখে নিতে পারি যে কিভাবে আপনাদের খতিয়ান দেখানোর নিয়ম ২০২২ সাল থেকে চেঞ্জ হয়ে গেছে।২০২২ সালের পহেলা অক্টোবরের পূর্ব পর্যন্ত আমরা আমাদের জমিজমা কাগজপত্র সেটি খতিয়ান হোক বা অন্য যেকোনো বিষয়ই হোক সেটি দেখার জন্য অবশ্যই ভূমি অফিসে গিয়ে দেখে আসতে হতো।
কিন্তু ২০২২ সালের পহেলা অক্টোবর থেকে আমরা যেকোনো বিষয়ে অনলাইনে দেখে নিতে পারি। আর এই কারণে ২০২২ সালের পহেলা অক্টোবর থেকে খতিয়ান বের করতে হলে আমাদেরকে অনলাইনে আবেদন করতে হয়। তবে আবেদন করার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রথমে যেতে হবে। তারপরে সেই ওয়েবসাইটে যে যে ধরনের তথ্য তারা চায় সেই সেই তথ্যগুলি দেওয়ার পর আমরা আমাদের অনলাইনে খতিয়ান বের করতে পারবো।
তবে সর্বপ্রথম অবশ্যই আমাদেরকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের যে ওয়েবসাইটগুলো রয়েছে সেই ওয়েবসাইট গুলোতে যেতে হবে। তবে আপনাদের অবগতির জন্য আমরা এক্ষণে সেই ওয়েবসাইটটির ঠিকানা এখানে দিয়ে দিচ্ছে। প্রথমে আপনাকে অবশ্যই এই www.eporcha.gov.bd ওয়েব সাইটটিতে প্রবেশ করে প্রথমে আপনাকে আপনার মোবাইলে কয়েকটি অপশন দেখতে পাবেন এই অপশন থেকে আপনাকে অবশ্যই আবেদন করুন এখানে ক্লিক করবেন।
তারপর সেখান থেকে অবশ্যই খতিয়ানের ধরন বাছাই করে সেখানে ক্লিক করুন। তবে এই আবেদন করতে আপনার নিজের বিভাগের নাম নিজ জেলার নাম নিজ উপজেলার নাম এরপর মৌজার নাম সিলেক্ট করে খতিয়ান নম্বর দাগ নম্বর দিয়ে অন্যান্য আরো যে বিষয়গুলি রয়েছে যেখানে আপনার নিজের নাম সামিয়া অথবা পিতার নাম ভূমির শ্রেণী ইত্যাদি অনেক তথ্য গুলি আপনাকে আগে থেকে জেনে নিতে হবে।
এভাবে সকল তথ্যগুলি আপনি যদি পূরণ করে ঠিকমত সেন্ড করেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে দেখিয়ে দেবে আপনার খতিয়ান টি। তাহলে আপনি সেই খতিয়ানটি নিতে চাইলে ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে পারেন। এছাড়া আপনি নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে আবেদন করলে ডাকযোগ তিন দিনের মধ্যে আপনার কাছে সার্টিফাইড কপি চলে আসবে।