আমরা জানি যে জমিজমা সংক্রান্ত সকল কাজকর্ম গুলি করতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই ভূমি অফিসে গিয়ে করতে হবে। এবং এটি সাধারণ নিয়ম ছিল বলে মনে করা হয়। কিন্তু বর্তমান বাংলাদেশ ডিজিটাল। ডিজিটাল বাংলাদেশ সব সময় সবকিছু দেখার জন্য বা কোন সেবা পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই সেই অফিসে গিয়ে সেবা গ্রহণ করতে হবে এমন পরিস্থিতি আর নেই।
আপনি ভূমি অফিসে যাবতীয় সেবাগুলি পাওয়ার জন্য এখন আর ভূমি অফিসে যেতে হবে এমন বিষয়টি আর সকলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হয় না। কারণ ২০২২ সালের পহেলা অক্টোবর থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনেক সেবা গুলি এখন অনলাইনে পাওয়া যায়। ভূমি মন্ত্রণালয়ের অঙ্গীকার এক ঠিকানায় সব সেবা। তারই প্রেক্ষিতে আমরা ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনেকগুলি সেবা আমরা এখান থেকে গ্রহণ করতে পারি। তাই এ সকল সেবা সমূহ পাওয়ার জন্য আমাদেরকে আর ভূমি অফিসে দৌড়াদৌড়ি করতে হয় না।
একটা সময় ছিল যখন ভূমি অফিসের যেকোনো কাগজপত্র দেখার জন্য বা নেওয়ার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই দালাল ধরতে হতো। দালালের মাধ্যমে গিয়ে সে সকল কাগজপত্র গ্রহণ করতে হতো। অনেক সময় দেখা যেত যে দালালের মাধ্যমে কাগজপত্র নেওয়ার জন্য আমরা সর্বস্ব খুইয়েছি। কিন্তু এখন সেই দিন অনেকটাই বদলে গেছে।এখন যদি আপনার তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কে সামান্য জ্ঞান থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বাড়িতে বসে থেকে আপনার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনেক ধরনের সেবা পেতে পারেন।
তবে সে সকল সেবা পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই স্মার্ট নাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে হবে। কারণ দেখা গেছে পৃথিবীতে যে সকল দেশ এখন বেশি সমৃদ্ধ তারা অবশ্যই তথ্যপ্রযুক্তিগত দিক থেকে অনেক এগিয়ে গেছে। তাই আমাদের বাংলাদেশেও বিশেষ শহীদ তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা পোষণ করে। বাংলাদেশ যখন ডিজিটাল প্লাটফর্মে এসেছে এখন বাংলাদেশ সরকারের আরেকটি দৃঢ় প্রত্যয় যে তারা বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করবে।
তবে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে হলে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিকগুলি কেউ স্মার্ট হতে হবে। অর্থাৎ বাংলাদেশের বেশিরভাগ জনগণকে অবশ্যই তথ্যপ্রযুক্তিগত দিকে বা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শী হয়ে গড়ে উঠতে হবে। যদি আমরা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শী না হয় তাহলে অবশ্যই পিছিয়ে থাকবো। কিন্তু বর্তমানে আমাদের উচিত যে তথ্যপ্রযুক্তি দিকে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। তারই প্রেক্ষিতে আজকে আপনারা যারা আমাদের এই পোস্টে এসেছেন যে খতিয়ান বের করার নিয়ম দেখার জন্য আপনারা অবশ্যই তা পারবেন আমাদের এখান থেকে।
আপনাদেরকে আজকে আমরা অবশ্যই সিএস খতিয়ান বের করার নিয়ম আমাদের এখান থেকে বলে দেবো। তবে আপনারা যদি জমিজমা সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়গুলি জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি আপনাদেরকে অবশ্যই ভিজিট করতে হবে। কারন আমাদের ওয়েবসাইটে যাবেন সংক্রান্ত সকল বিষয় গুলি অত্যন্ত সহজ সরল ভাষায় প্রকাশ করা হয়েছে। তাহলে চলুন দেখি এখন অনলাইনে সিএস খতিয়ান দেখার নিয়ম আপনাদেরকে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। অনলাইনে সিএস খতিয়ান দেখার জন্য আপনাকে অবশ্যই ভূমি মন্ত্রণালয়ের যে ওয়েবসাইট রয়েছে সেই ওয়েব সাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আপনাকে আপনার নিজ বিভাগ সিলেক্ট করতে হবে। এরপর নিজ বিভাগ থেকে নিজ জেলা সিলেক্ট করে ক্লিক করতে হবে। তারপর আপনাকে অবশ্যই নিয়েছিলাম অন্তর্গত যে উপজেলা গুলি রয়েছে সেখান থেকে আপনার নিজ উপজেলা সিলেট করতে হবে। সেখানে আপনাকে আপনার মৌজার নাম লিখতে হবে।
তারপর আপনাকে ভুমি মালিকের নাম, পিতার নাম মাতার নাম জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর স্থায়ী ঠিকানা ভুল মালিকের স্বামী অথবা স্ত্রীর নাম জমির শ্রেণি খতিয়ান নম্বর দাগ নম্বর ইত্যাদি যথাযথভাবে পূরণ করে সেন্ড করুন। তাহলে আপনি অবশ্যই আপনার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন অথবা যেখান থেকে আবেদন করলেন অর্থাৎ কম্পিউটার ল্যাপটপ তার স্কিনে আপনার সিএস খতিয়ানটি প্রদর্শিত হবে। এখান থেকে আপনি আপনি দেখে নিতে পারবেন আপনার সম্পূর্ণ ঠিক হয়েছে কিনা। তাহলে আপনারা সিরিয়াস খতিয়ান দেখার নিয়ম কানুন আমাদের এখান থেকে বুঝে নিতে পারলেন আশা রাখি।