জমি ক্রয় করলে সেটি নিজের নামে দলিল করে নিতে হয়। এবং সে দলিল অবশ্যই সরকারি ভূমি অফিসারের কর্মকর্তার উপস্থিতিতে তৈরি করে নিতে হয়। এবং সেখানে বিক্রয়কারী অবশ্যই ক্রয়কারীর নামে সেই দলিল উপজেলা ভূমি অফিসের সাব রেজিস্টার এর উপস্থিতিতে সহিবাটি শহীদ দিয়ে বিক্রয়কারী নিকট হস্তান্তর করবে। তবে তার পূর্বে অবশ্যই আমাদেরকে অনেকগুলো কাজ সম্পাদন করতে হয় জমি ক্রয় বাবদ।
প্রথমে বিজ্ঞাপন দেখে অথবা যে কোন ভাবেই আপনি যখন জানবেন যে জমিটি বিক্রয় হবে তখন জমির মালিক অথবা বিক্রয়কারী কাছে গিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর সেই জমির নিজকন্টক কিনা সেটি আপনাকে যাচাই করে নিতে হবে। এই বিষয়টি যাচাই করতে হলে আপনাকে কয়েক ধরনের কাগজপত্র আগে দেখে নিতে হবে। কাগজপত্র গুলি ঠিক থাকলে তাহলে আপনি এই জমিটি ক্রয় করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন।
তবে আমাদেরকে অবশ্যই জমির মালিকানা বিষয়গুলি দেখে নিতে হবে। অর্থাৎ যে ব্যক্তি জমিটি আমাদের কাছে বিক্রয় করতে ইচ্ছুক তিনিই সে জমির মালিক কিনা বা আরো অন্য কেউ মালিক রয়েছে সে সকল বিষয় সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর আমাদের জমি কেনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। তাছাড়া জমির আরএস খতিয়ান পর্চা দলিল এই সকল কাগজপত্র সব ঠিকঠাক রয়েছে কিনা এগুলো দেখার পরেই আমাদেরকে সেই জমিটি কেনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
তারপর আমাদেরকে দেখে নিতে হবে কি কি কাগজপত্র গুলি জমি দলিল রেজিস্ট্রি করার সময় প্রয়োজন হয়। সাধারণভাবে জমি ক্রয় করার আগে যদি সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করে একেবারে দলিল রেজিস্ট্রি করতে না পারা যায় তাহলে বায়না দলিল করা যেতে পারে। অর্থাৎ কিছু টাকা বায়না দিয়ে জমি দলিল রেজিস্ট্রির পূর্বে বায়না দলিল রেজিস্ট্রি করা যেতে পারে। অর্থাৎ জমি ক্রয় করার আগে বায়না দলিল করলে সেটি ৩০ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশনের জন্য জমা দিতে হয়। এইচডি ছাড়া বায়না দলিলের আইনগত কোন ধরনের মূল্য থাকে না।
তাই বায়না দলিল রেজিস্ট্রার তারিখ থেকে এক বছরের মধ্যে বিক্রয় দলিল সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দাখিল করতে হয়। এছাড়া হেবা বা দানকৃত সম্পত্তির দলিলও রেজিস্ট্রি করে নিতে হয়। কোন সম্পত্তির মূল্য ৫ লাখ টাকার বেশি যদি না হয় তাহলে ৫০০ টাকা ফ্রি দিতে হয় এ ছাড়া পাঁচ লাখ টাকার বেশি কিন্তু ৫০ লাখ টাকার কম হলে ফ্রি এক হাজার টাকা। আবার এক মূল্য ৫০ লাখ টাকার বেশি হলে ২০০০ টাকা ফ্রি দিতে হয়।
কোন দলিল আইনগতভাবে বা যথাযথ পদ্ধতিতে সম্পাদনের পর রেজিস্ট্রি করার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় আমাদের অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। সেই সতর্কতার মধ্যে অবশ্যই আমাদের প্রথমে জমির সব দলিল দস্তা বেজ এবং মালিকানা যাচাই করতে হবে সেটি আমরা এর আগেও বলেছি। স্বামী রেস্ট্রি অফিসের সাব রেজিস্টার অফিসারের সামনে দলিলটি সহিস স্বাক্ষর সমাপ্ত হইলে সেই দলিলটির সার্টিফাইড কপি তুলে অবশ্যই সেটি নাম জারি করার জন্য দিতে হবে। কারণ নামজারি সম্পন্ন হলেই যা একটি জমির বিক্রয় বিক্রয় করা সম্পন্ন হলে বলে মনে করা হয়।
নামজারি করার জন্য আপনাদেরকে অবশ্যই বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনলাইনে আবেদন করে আপনি অবশ্যই নামধারীর আবেদন করে ফেলতে পারেন। এবং এই জন্য অবশ্যই আপনাকে আর ভূমি অফিসে গিয়ে ঘোরাঘুরি করতে হবে না নামজারি করার জন্য। বাড়িতে বসে থেকে অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে এবং নির্ধারিত হিজামা দিয়েই আপনি আপনার জমির নামজারি মিউটেশন বা খারিজ করে নিতে পারেন। জমি খারিজ বা নামধারী না হলে সেই জমির প্রায় সম্পন্ন হয় না বলেই ধরে নেওয়া হয়। কারণ নামধার ীর হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত অনেক বিষয় জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে পরবর্তী সময়ে। তাহলে আপনারা আমাদের এই পোস্ট থেকে অবশ্যই জমি রেজিস্ট্রি করার নিয়ম সম্পর্কে অবগত হতে পারলেন।