আমরা আমাদের জীবনে চলার পথে অনেক সময় অনেক কিছুই আমাদের সম্পদ অন্যজনের কাছে বন্ধক রাখতে হয়। কারণ আমাদের চলার পথে যে কোন সময় হঠাৎ করেই কোন কার্যসম্পাদন করার জন্য টাকা পয়সার প্রয়োজন হয়। আর টাকা পয়সার প্রয়োজন হলে সব সময় সে জিনিস বিক্রি না করেও একটু বুদ্ধি খাটিয়া খারাপ সময় পার করার জন্য বন্ধক দেওয়া হতে পারে।
আবার যখন পুনরায় ভাল সময় আসবে টাকা পয়সা হাতে আসবে তখন সেই বান্ধবী ছাড়িয়া নেওয়া যায়। এতে করে নিজের সম্পদ নিজের থেকে যায় মধ্যেখান থেকে দেখা যায় যে খারাপ সময় পার করার জন্য সে অর্থ পাওয়া যায়। আর এই জন্যই আমাদের জীবনে চলার জন্য অন্য কিছু সম্পদ না থাকলে জমিও বন্ধক রাখতে হতে পারে। জমি বন্ধক রাখার জন্য আমাদের অবশ্যই কিছু নিয়মকানুন মেনে বন্ধক রাখতে হয়।
নিয়ম কানুন এর মধ্যে শুধু মৌখিক কথায় এটি রাখা ঠিক হবে না। কারণ একটাই সেটি হচ্ছে মানুষ বেঁচে থাকলে অবশ্যই তার বিভিন্ন মতের বদল হতে পারে। সম্পর্কের ক্ষেত্রেও সেই সম্পর্ক বদলে যেতে পারে। তাই জীবনে যখন টাকার প্রয়োজন হয় তখন অন্য কারোর কাছ থেকে এমনি এমনিতে যদি ধার না পাওয়া যায় তাহলে নিজের যে সম্পদ গুলি আছে সেই সম্পদ গুলি একেবারে বিক্রয় না করে কিছু সময়ের জন্য আমরা অন্যের কাছে অর্থের বিনিময়ে বন্ধক রাখতে পারি। আর এই বন্ধক রাখার ক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই একটি চুক্তি তৈরি করতে হয়।
কারণ জমিটি মূল্যবান সম্পদ আর এই মূল্যবান সম্পদটি শুধুমাত্র কিছু সময়ের জন্য অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অন্যকে ভোগ দখল করতে দেওয়ার অধিকার দিতে হয়। ভোগ দখল করার অধিকার শুধুমাত্র মৌখিকভাবে করলে সে কথাটি যেকোনো সময় উল্টে যেতে পারে। এ কারণে আমাদেরকে অবশ্যই একটি চুক্তির মাধ্যমে আসতে হয়। যেকোনো একটি পরিমাণ জমি অন্য কোন পক্ষকে দিয়ে তার বিনিময়ে যে অর্থ গ্রহণ করব সেটি অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য হবে।
এই কারণে সকল কিছু লিপিবদ্ধ রাখতে হয়। এবং যাতে এ লিপিবদ্ধ বা চুক্তিনামাটি অবশ্যই একটি সমাজের কাছে দেশের আইন আদালতের কাছে মূল্যবান থাকে সেই কারণে আমাদের নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে চুক্তিনামা তৈরি করতে হয়। কোন এক সময় দুই পক্ষের কেউ যদি অস্বীকার করে তাহলে এই চুক্তি নামা কথা বলে। এ ধরনের চুক্তিন আমাকেই বলা হয় বন্ধক নামা। আজকে আমরা আমাদের এই পোস্ট থেকে আপনাদেরকে অবশ্যই এই বন্দক নামা বা জমি বন্ধকের চুক্তিনামা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে বলবো।
কিভাবে আপনার জমি আরেক পক্ষকে ধোক দখল করার অধিকার দেবেন সেটি কিভাবে লিখবেন সেটি আমরা এখানে দেখাবো। ভারতের পক্ষে কোন দলিল লেখক এর কাছে গিয়ে চুক্তিটি করলে বেশি ভালো হয়। কিন্তু সেখানে অবশ্যই এক কিছু অর্থের প্রয়োজন হয়। কিন্তু যেহেতু আমরা অর্থের প্রয়োজনে ই এই ধরনের চুক্তিনামা করতে যাচ্ছি তাই অযথা অর্থ খরচ না করে নিজেরাই যদি বসে কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে এবং তাদের সাক্ষী স্বরূপ রেখে নিজেরাই নিজের সেই চুক্তি নামা তৈরি করতে পারি।
এই চুক্তি নামায় অবশ্যই প্রথমে মঙ্গল উচ্চারণ করে নিতে হয়। এরপর প্রথম পক্ষ অর্থাৎ যিনি জমিটি বন্ধক রাখবেন তার নাম পিতার নাম জাতীয়তা ধর্ম স্থায়ী ঠিকানা বর্তমান ঠিকানা ইত্যাদি লিখতে হবে। এরপর অনুরূপভাবে দ্বিতীয় পক্ষ অর্থাৎ জমি গ্রহীতার নাম পিতার নাম কোথায় ঠিকানা ধর্ম জাতীয়তা ইত্যাদি লিখতে হবে। লেখার পর আমাদেরকে অবশ্যই কত টাকার বিনিময় কত বছরের জন্য বা কত সময়ের জন্য এই চুক্তিনামাটি করা হবে সেগুলি বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করতে হবে।
উভয়পক্ষে সম্মতিতে চুক্তিনামাটা পড়ে শুনিয়ে যদি সম্পূর্ণ ঠিক থাকে তাহলে উভয়পক্ষের শুভাকাঙ্ক্ষী স্বর ূপ সাক্ষীগণ স্বাক্ষর করবেন। এরপর উভয়পক্ষ স্বাক্ষর করে দলিলটি সম্পন্ন করা হবে। এভাবে যদি আপনারা নিজেরা নিজেই ঘরে বসে সকলের উপস্থিতিতে চুক্তিনামা তৈরি করেন তাহলে অবশ্যই সেই চুক্তি নামানো সমাজের কাছে আয়ন আদালতের কাছে মূল্যবান বলে বিবেচিত হবে।