আর এস খতিয়ান হলো একবার জরিপ হওয়ার পর তাতে উল্লেখিত ভুল ত্রুটি সংশোধনের জন্য পরবর্তীতে যে জরিপ করা হয় তা আর এস খতিয়ান নামে পরিচিত। আমরা জানি খতিয়ান কয়েক রকমের হয়ে থাকে। যে সকল ব্যক্তিবর্গ জমি জমা ক্রয় করার সময় কিভাবে ক্রয় করবেন বা জমিটি নিষ্কণ্টক কিনা সেটি দেখার জন্য কয়েকটি নিয়ম দেখে নিতে হয়।
এর মধ্যে জমির আরএস খতিয়ান ও দেখে নিতে হয়। আমরা দেখতে পাই যে এসছে জরিপের আলোকে প্রকৃত বা প্রস্তুতকৃত খতিয়ান প্রস্তুত সময় জরিপ কর্মচারীরা সড়জমিনে তদন্ত করেনি। যার ফলে অনেক ধরনের ভুল ত্রুটি থেকে থাকে। আর এই ত্রুটি বিচ্যুতি সংশোধনের জন্য আর একবার যে জরিপ করা হয় এটি আসলে আরএস খতিয়ান নামেই পরিচিত হয়ে থাকে। জমির মালিক এবং দখলদার তার জমির কাগজপত্র হালনাগাদ করার মাধ্যমে এই জরিপটি সম্পন্ন করা হয়ে থাকে।
তাই আমরা দেখতে পাই যে এস এ খতিয়ানের ভুল সংশোধন করে আর এস জরিপ এতটাই ভালো কাজ করে যে এখন জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের ক্ষেত্রে সবাই এখন আরএস খতিয়ান এর উপরে নির্ভরশীল। এই খতিয়ান জমির মালিক ও দখলদারের তথ্য সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। আর এটি ১৯৬৬ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছিল। তাই আমাদেরকে জমিজমা ক্রয় করার সময় অবশ্যই জমিজমার যে কাগজপত্র রয়েছে সেই সকল কাগজপত্র ভালো করে দেখে শুনে তারপর জমি জমা ক্রয় করতে হয়।
জমিজমা ক্রয় করার পর যদি নিষ্কণ্টক জমি না হয়ে থাকে তাহলে এই জমি ক্রয়ের পর যখন আপনি নামজারি করতে যাবেন তখন অনেক বিপদে পড়তে হয়। আর যদি নাম জারি করা না যায় তাহলে জমিটি ক্রয় করা সম্পন্ন হলো না এখনো। এই কারণে আমাদের অবশ্যই জমিজমা ক্রয় করার আগেই সেই সকল জমির কাগজপত্র গুলি অবশ্যই ভালোভাবে দেখে নিয়ে তারপরে জমি ক্রয় করতে হবে।
কারণ জমি একবার ক্রয় করা হলে সেই জমির নামজারির বিষয়টি যদি করতে যাওয়া যায় তাহলে ভুল হলে কখনোই এই নামজারি সম্পন্ন হয় না তাতে জমি নিজের নামেও হয় না এবং কি নাতি অবশ্যই সঠিক হলো না। তাই আমাদেরকে দেখে নিতে হবে যে জমি যখন ক্রয় করব তখন অবশ্যই এই খতিয়ান গুলির বিষয়টি আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
আপনি যদি আরএস খতিয়ান দেখে নেন তাহলে যদি কোন ত্রুটি বিচ্যুতি থেকে থাকে তাহলে আপনি আরএস খতিয়ান এই দেখে নিতে পারবেন। জমির এক খতিয়ান টা অনেকটা আমরা দেখতে পাই যে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর এর মত। অর্থাৎ ব্যাংক একাউন্ট অর্থাৎ ব্যাংক নম্বর দিয়ে দিলেই সেখানে গিয়ে আমাদের যেমন বিস্তারিত সকল তথ্য পাওয়া যায় জমিজমার ক্ষেত্রেও খতিয়ান অনেকটা সেই রকমই। খতিয়ানে থাকে জমির মালিকের নাম এনআইডি নম্বর স্থায়ী ঠিকানা বর্তমান ঠিকানা ইত্যাদি সকল কিছু অর্থাৎ খতিয়ানে গেলে পরে আমরা সকল কিছুই এখানে দেখা যায়।
এই কারণে জমি ক্রয় বিক্রয়ের জন্য অবশ্যই খতিয়ান বিষয়টি সকলের জন্যই জানা প্রয়োজন। জেনে নিলে অবশ্যই পরবর্তীতে আর জমি ক্রয়ের পর যে আফসোস করতে হবে সেটি কখনোই হবে না। কারণ খতিয়ান দেখে জমির মালিকানা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে আর সেই মালিকের কাছ থেকে আমরা জমি ক্রয় করলে পরবর্তীতে নামধারির ক্ষেত্রে আর কোনো সমস্যা হবে না।
তাই আপনারা অবশ্যই আর এস খতিয়ান বিএস খতিয়ান ইত্যাদি সকল খতিয়ান সম্পর্কে একটু দেখে নেবেন আর জমিজমা সংক্রান্ত সকল বিষয় যদি আপনারা জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন। আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করলে আপনি সকল বিষয়ে সম্পর্কেই অর্থাৎ জমি জমার সকল বিষয় সম্পর্কেই খুব ভালোভাবে জানতে পারবেন। কারণ জমিজমার প্রত্যেকটি বিষয় সম্পর্কে আমাদের ভালোভাবে জ্ঞান রাখতে হয়। তাহলে আপনারা অবশ্যই আমাদের এই পোস্টটি থেকে যা বুঝতে পারলেন তা হলো আর এস খতিয়ান কি এবং আরএস খতিয়ানটি কিভাবে আপনি দেখবেন বা আরএস খতিয়ান কিভাবে তুলতে পারবেন সেখান থেকে।