জমিজমা সংক্রান্ত অনেক বিষয়ে রয়েছে যে বিষয়গুলি আমরা সাধারণ মানুষ তেমনভাবে বুঝিনা। তবে বুঝি না বললে হবে না কারণ আমাদের অবশ্যই এই সকল বিষয়গুলি বুঝে নিতে হবে। কারণ আমরা কৃষি প্রধান দেশের মানুষ এই কারণে আমাদেরকে জমি জমা সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়েই সব সময় ভাবতে হয় এবং কাজ করতে হয়।
তাই জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে যদি না ভাবে তাহলে এ সকল বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝে উঠতে পারবো না। কিন্তু জমি-জমার সংক্রান্ত বিষয়গুলি যদি ঠিকমতো বুঝে উঠতে না পারি তাহলে এই যে আমাদের সমাজে বা আমাদের আশেপাশে সব সময় জমিজমা সংক্রান্ত যে বিষয়গুলি নিয়ে গন্ডগোল প্রসাদ লেগে থাকে সেই বিষয়গুলি চলতেই থাকবে। তাই আমাদের উচিত হবে যে এই সকল বিষয়গুলি নিয়ে আমরা যেন একটু ভাবি এবং বোঝার চেষ্টা করি।
কারণ মানুষ যে কোন জিনিসগুলো নিয়ে বুঝতে চাইলে অবশ্যই সেটি বুঝতে পারে। তাই আমাদেরও উচিত হবে যে জমি জমা সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে অবশ্যই ভেবে নিতে হবে বা ভাবতে হবে। তাহলে আমরা আমাদের সকলের সঙ্গে সৎ ভাব বজায় রাখতে পারব। কারণ সকলের জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে বসে উঠতে পারলে একে অন্যের সহিত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করলেই তার সমাধান হয়ে যাবে।
তখন আর তাদেরকে গন্ডগোল ফ্যাসাদে জড়িয়ে পড়তে হবে না। আপনারা যারা আমাদের এই পোস্টটিতে এসেছেন তারা অবশ্যই আজকে পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি দলিলের মাধ্যমে জমি বিক্রয় করার বিষয়টি সম্পর্কে বুঝে নিতে পারবেন অবশ্যই। কিন্তু জমিজমা সংক্রান্ত অন্যান্য যে বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলি জানার জন্য আপনাদেরকে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে নিতে হবে।
কারন আমাদের ওয়েবসাইটটিতে জমিজমা সংক্রান্ত সকল বিষয় গুলি অত্যন্ত সহজ সরল সাবলীল ভাষায় প্রকাশ করা রয়েছে। তাই আপনারা যদি আমাদের ওয়েবসাইটটি একবার ভিজিট করে যান তাহলে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়গুলির যে জ্ঞান সেই জ্ঞান আপনারা অর্জন করতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে অবশ্যই আমাদের সঙ্গে থাকবেন।
তাহলে চলুন আমরা এখন দেখে নেই যে পাওয়ার অফ অ্যাটর্নির দলিলের মাধ্যমে কিভাবে জমি বিক্রয় করা যায় কি বিক্রয় করা যাবে না সে বিষয়ে সম্পর্কে এখন বিস্তারিতভাবে আলোকপাত করে নিই। খুব সাধারণভাবে বলতে গেলে বলা যায় যে পাওয়ার অব কার্টর নেই বা আমমোক্তারনামা হল কোন ব্যক্তিকে কোন কাজ করার ক্ষমতা প্রদান করা অর্থাৎ কোন ব্যক্তিকে অন্য কোন ব্যক্তির পক্ষে কোন কাজ সম্পাদন করে দেওয়ার জন্য লিখিতভাবে বা আইনগতভাবে ক্ষমতা প্রদান করাই হলো পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি।
আমাদের সমাজে অনেকেরই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রয়োজনে তারা পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিয়োগ করে থাকেন। বিশেষ করে যে সকল ব্যক্তিবর্গ বিদেশে বসবাস করে থাকেন কিন্তু তারা তাদের দেশে অনেক সম্পত্তি রয়েছে সেই সকল সম্পত্তিগুলো দেখাশোনা করার জন্য তাদেরকে এই আম বক্তারনামা বা পাওয়ার অফ এটর্নির প্রয়োজন হয়ে থাকে। তবে এ ধরনের পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দেওয়ার কোন বিধান রয়েছে কিনা আমাদের বাংলাদেশের আইনে সেতু দেখতে হবে। তাহলে চলুন আমরা এখন আম মুক্তারনামা বা পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি বিষয়টি কোন আইন দ্বারা সিদ্ধ হয়েছে সে বিষয়টি নিয়ে বা সেই আইনটি নিয়ে বিশ্লেষণ করে দেখা যাক। বাংলাদেশে ১৮৮২ সালের পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি এক রহিত করে পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি আইন ২০১২ নামে নতুন আইন প্রবর্তন করেছেন সরকার বাহাদুর।
এই আইন এস আর ও নং ১৭৭ আইন /২০১৩ ছাব্বিশ জন ২০১৩ দ্বারা পহেলা জুলাই ২০১৩ সাল থেকে কার্যকর করা হয়েছে। এই আইনে পাওয়ার অব অ্যাটর্নির সংজ্ঞায় বলা হয়, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি অর্থ এমন কোন দলিল যার মাধ্যমে কোন ব্যক্তি তার পক্ষে উক্ত দলিলে বর্ণিত কার্য সম্পাদনের জন্য আইনানুগভাবে অন্য কোন ব্যক্তির কাছে ক্ষমতা অর্পণ করেন। তাই বলা যায় যে কোন দায়িত্ব বা ক্ষমতা অর্পণের জন্য পাওয়ার অফ এটর্নি বা আমমোক্তারনামা করতে হলে তা অবশ্যই লিখিত করতে হবে। তাহলে এই দলিলের মাধ্যমে তিনি মূল মালিকের পক্ষে কোন সম্পত্তির দান, বিক্রি, হস্তান্তর, রক্ষণাবেক্ষণ, বন্ধক রাখা, খাজনা আদায়, ইত্যাদি কাজ করতে পারবেন।