আমরা জানি যে কোন দেশের সরকারের আয়ের উৎস বা আয়ের উৎসের বড় একটি অংশ আসে জনগণের প্রধানকৃত খাজনা থেকে। তাই সরকারের এই সকল ভূমি সংক্রান্ত বিষয়গুলি ব্যবহারের জন্য প্রত্যেক জনগণকে অর্থাৎ প্রত্যেক ভূমি মালিককে সরকারকে বা সরকারের ঘরে খাজনা প্রদান করতে হয়। জমিজমার ক্ষুদ্র এককে এই সকল খাজনা সম্পর্কে বা খাজনা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
খাজনা গুলি প্রদান করার সময় আমাদের বিভিন্ন বিষয়গুলি দেখে নিতে হয়। কারণ সরকার ভূমির শ্রেণী অনুযায়ী বিভিন্ন রকমের বিভিন্ন ধরনের খাজনার রেট রয়েছে। ভিটা, বাড়ি, ধানি জমি, পুকুর, বাজার, বাঁশঝাড়, আমবাগান, এ ধরনের বিভিন্ন ভূমির শ্রেণী অনুযায়ী ভূমির খাজনা দিতে হয়। বর্তমানে আমাদের ভূমি অফিসে গিয়ে আর খাজনা দিতে হয় না। একটা সময় ছিল বা ২০২২ সালের পহেলা অক্টোবরের পূর্বে ই হতে যে সকল ভূমি মালিকগণ খাজনা দিয়েছেন তারা সকলেই অবশ্যই সেই ভূমি অফিসে গিয়ে খাজনা দিতে হয়েছে তাদেরকে।
কিন্তু পহেলা অক্টোবর ২০২২ সাল হতে খাজনা দেওয়ার জন্য আমাদেরকে আর ভূমি অফিসের দরজায় গিয়ে কড়া নাড়তে হবে না। এখন ঘরে বসেই মোবাইল ফোনের সাহায্যে অথবা ল্যাপটপ কম্পিউটারের সাহায্যে আমরা নিজের ফোন থেকে ভূমি অফিসের যে ওয়েবসাইট রয়েছে খাজনা প্রদানের সেখানে প্রবেশ করে নিজে নিজেই খাজনা প্রদান করতে হবে। সেই অনুযায়ী আপনাকে অবশ্য আগে থেকে কিছু তথ্য জেনে রাখতে হবে।
কারণ তথ্য গুলি না জানলে আপনি সঠিকভাবে খাজনা প্রদান করতে পারবেন না। কারণ আপনার খতিয়ানে ভূমির শ্রেণী কি লেখা রয়েছে সেটি আপনাকে জেনে নিতে হবে কারণ বিভিন্ন শ্রেণীর খাজনা বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে এজন্য খতিয়ানে যে শ্রেণী উল্লেখ করা রয়েছে সেই শ্রেণি না জানলে আপনার খাজনা অন্যরকম হবে তখন আর ঠিকমতো খাজনা প্রদান করা হলো না।
আপনাকে পুনরায় হয়তো আবার কাজ না প্রদান করতে হবে আর না হলে আপনাকে অবশ্যই জমির সেই খতিয়ান সংশোধন করতে হবে। তাই আপনাকে অবশ্যই সকল ধরনের তথ্যগুলি আগে যাচাই করে দেখে বা আপনার জমির কাগজপত্র গুলি ভালোভাবে অবগত হওয়ার পর থেকেই আপনি নিজে নিজে ঘরে বসে একা একাই কাজ না দিতে পারবেন।
তাছাড়া আপনি যদি জমির কাগজপত্র গুলি ভালোভাবে অবগত হন তাহলে অবশ্যই ভূমি অফিসের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে খাজনা প্রদানের লিংকে গিয়ে আপনার ভূমি মালিকের নাম পিতা বা স্বামীর নাম ভূমির শ্রেণী খতিয়ান নম্বর দাগ নম্বর ইত্যাদি ভালোভাবে পূরণ করলে অবশ্যই আপনার খাজনার পরিমাণ চলে আসবে কত টাকা বা কত বছর থেকে খাজনা দেওয়া হয়নি সকল বিষয়গুলি একবারে চলে আসবে।
তখন সে অনুযায়ী আপনি অনলাইনে অর্থাৎ বিভিন্ন অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আপনার খাজনা প্রদান করতে পারবেন। তখন সেই খাজনা প্রদান করার ওটিপি আসলে সেই ওটিপি অনুযায়ী কপি করলে আপনার খাজনা প্রদান করা হয়ে গেল। তবে আপনাকে যদি ম্যানুয়ালি খাজনা প্রদান করতে হয় তাহলে অবশ্যই ভূমি অফিসে গিয়ে জেনে নিতে হবে যে প্রতি শতাংশ প্রতি খাজনার রেট কত।
এবং খাজনা রেট কিছুদিন পরপর অবশ্যই সরকার কর্তৃক বর্ধিত হয়। তবে পহেলা জুলাই ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ তারিখ হতে ২৫ বিঘা পর্যন্ত অর্থাৎ 8.25 একর জমির কৃষি জমির ভূমি কর মওকুফ করিয়াছেন সরকার। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের হাঁস মুরগির খামার পুকুর চিংড়ি চাষ ইত্যাদি লবণ চাষ ইত্যাদি যদি জমির উপর হয় তাহলে প্রতি শতক দুই টাকা হিসেবে কর প্রদান করিতে হইবে।
এছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে অকেশী জমি প্রতি শতাংশ ১০ টাকা হারে গড় প্রদান করিতে হয় সরকারকে। তাহলে আপনারা কিভাবে খাজনা দিবেন এবং খাজনার রেট কত ২০২৩ সালে আপনারা আমাদের এই পোস্ট থেকে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারলেন বলেই আশা রাখি। তাই এ ধরনের যেকোন তথ্য পেতে আপনারা অবশ্যই আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।