ইউনিয়ন হল বাংলাদেশের প্রশাসনিক সবচেয়ে ক্ষুদ্র অঞ্চল। আর মৌজা হল ভুমির সবচেয়ে ক্ষুদ্র অঞ্চল। অর্থাৎ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে বিভক্ত করা হয়েছে সেটি হল মৌজা। যখন জমি ক্রয় বিক্রয় করা হয় তখন সেই জমির দলিল রেজিস্ট্রি করতে হলে অবশ্যই দলিলের ক্রেতা এবং বিক্রেতার ঠিকানা প্রয়োজন হয়। ক্রেতা এবং বিক্রেতার বিশেষ করে বিক্রেতা জমির যে ঠিকানা এবং মালিকের অর্থাৎ ভূমি মালিকের ঠিকানা দলিলে উল্লেখ করতে হয়। তাই দলিলে উল্লেখ করার সময় দাগ নম্বর এবং কোন মৌজার জমি সেটি উল্লেখ করার বিশেষ প্রয়োজন থাকে।
মানুষের ঠিকানা অর্থাৎ ব্যক্তি ঠিকানা যেমন সর্বশেষ গ্রাম বা মহল্লা উল্লেখ করা থাকে তেমনি ভাবে জমির ক্ষেত্রে বা ভূমির ক্ষেত্রে কোন মজার ভূমি এবং তার দাগ নম্বর কত এই সকল বিষয় উল্লেখ করতে হয়। তাতে বোঝা যায় যে জমিটি কোন জায়গা কার জমি বা কোন জমি সেই জমিনের ঠিকানা বলতেই বোঝা যায় যে জমির মৌজা এবং দাগ নম্বর। বিভাগ জেলা উপজেলা ইউনিয়ন এরপরে সর্বশেষ তৃণমূলের যে ক্ষুদ্র অঞ্চল সেটি হল মৌজা। আজকে আপনারা যারা আমাদের এই পোস্টে এসেছেন ইউনিয়ন এর মৌজা মানচিত্র দেখার জন্য মানচিত্র কিভাবে দেখবেন সেটির জন্য আপনারা অবশ্যই আজকে আমাদের এখান থেকে সে ধরনের সকল তথ্যই পেয়ে যাবেন।
তবে জমি-জামা সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়গুলি জানার জন্য আপনাকে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট টি ভিজিট করতে হবে। কারন আমাদের ওয়েবসাইটে জমিজমা সংক্রান্ত অন্যান্য সকল বিষয় সেখানে বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করা রয়েছে। তাই আপনাকে জমে জমা সংক্রান্ত সকল বিষয় পরিষ্কার হওয়ার জন্য অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন। আমাদের সাংসারিক জীবনের সবচাইতে জটিল বিষয় হলো জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়গুলি। জমিজমা সংক্রান্ত এই বিষয়গুলি আমরা সবাই ঠিকমত বুঝে উঠতে পারি না। এবং আমরা সকলে অবশ্য বোঝার চেষ্টাও করি না। বুঝতে না পারার কারণে আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের ফ্যাসাদে পড়তে হয়। আমাদের দেশে শুধু নয় আমাদের এই ভারতীয় উপমহাদেশের সব দেশেই জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়টি সবচেয়ে জটিল বিষয় বলে মনে করা হয়।
জটিল বিষয় এই কারণেই যে আমরা জমি জমার সকল দিকগুলি আমরা ভালো করে বোঝার চেষ্টা না করার ফল এটাই এরকম পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। তাই এখন সকলের জেগে ওঠার সময় জমিজমা সংক্রান্ত সকল বিষয়গুলি এখন আমাদের অবশ্যই দেখে নিতে হবে ভালো করে এবং বুঝে নিতে হবে। তাহলে আমাদের আর অন্য কারো সাথে এই জমি জমা সংক্রান্ত বিভেদ গুলি থাকবে না। দেশের গন্ডগো সাথে সৃষ্টি হয় শুধুমাত্র না বোঝার কারণে। তাহলে চলুন আজকে আমরা ইউনিয়ন ভূমি মৌজার মানচিত্র হিসেবে বা দেখার জন্য কি কি করতে হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করা যাক। প্রথমেই আমরা দেখে নেই মৌজা কি। মজা হচ্ছে রাজস্ব আদায়ের সর্বনিম্ন একক এলাকা। এটি সর্বপ্রথম মুঘল আমলে কোন বর্গনা বা রাজস্ব আদায়ের একক হিসেবে শব্দটি ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল।
পরবর্তীতে একগুচ্ছ মৌজা নিয়ে গঠিত হতো একটি পরগনা। বিংশ শতাব্দীতে এসে মৌজা শব্দটি ব্যবহৃত হয় সামাজিক একক গ্রামের বিকল্প নাম হিসেবে। এবং এই নামটিও ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করতে থাকে। মানুষের যেমন ঠিকানা বলতে অবশ্যই গ্রামের নাম প্রয়োজন হয় তেমনিভাবে ভূমির ক্ষেত্রে ভুমিটি বা জমিটি কোথায় অবস্থিত সেটি বোঝাতে অবশ্যই মৌজার নাম উল্লেখ করতে হয়। আপনাকে মোর জামেয়ার অনলাইনে আবেদন করতে হলে অবশ্যই কিছু তথ্য উল্লেখ করে আবেদন করতে হবে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে সেখানে আপনি সর্বপ্রথমে উপজেলা অথবা সার্কেল সিলেক্ট করুন। তারপর আপনাকে মৌজা সিলেট করতে হবে। তাহলে আপনাকে অবশ্যই আপনার সেই মৌজার মানচিত্র আপনাকে প্রদর্শন করবে। তখন আপনি সেই মৌজার মানচিত্রটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে পারেন। তবে সকল মৌজা একই রকম নয় এজন্য আপনাকে মজা প্রিন্ট করার আগে সিট সিলেক্ট করে নিতে হবে। কোন মজা আয়তনে বড় হলে একটি পুরো কাগজে সেটিকে প্রিন্ট করা অসম্ভব হয় এই কারণে কয়েকটি অংশে মৌজাকে বিভক্ত করে তারপরে প্রিন্ট করতে হবে আপনাকে।