পর্চা কি? পর্চা চেনার উপায়

আমরা বিশেষ করে সাধারণ জনগণ জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়গুলি একেবারেই না বুঝার কারণে জমে জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একে অন্যের সহিত ঝামেলা লেগেই থাকে। এই কারণে আমাদের সকলেরই উচিত জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে একটু ভাবা এবং জমিজমার কাগজপত্র গুলি একটু একটু করে চেনা বা চিনতে পারা। কারণ জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়গুলি একটু জটিল হলেও অতটাও জটিল নয় যা আমরা বসে উঠতে পারবো না। আমাদের জমিজমার এ বিষয়গুলি সম্পর্কে জানার চেষ্টা থাকলে অবশ্যই আমরা জানতে পারবো। আজকে আপনারা যারা আমাদের এই পোস্টে এসেছেন পরচা কি বা পরচা চেনার উপায় কি? এ সম্পর্কে জানতে।

আপনারা অবশ্যই আজকে আমাদের এই পোস্ট থেকে পর্চা বিষয়টি সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞান আহরণ করবেন অবশ্যই। কারণ এই বিষয়ে সম্পর্কে আজকে আমরা আপনাদেরকে অবশ্যই জানাবো যে জমির পর্চা কি বা পর্চা বিষয়টা কি। আমাদের পর্চা তুলতে হলে ভূমি অফিসের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয় দালাল ধরতে হয় এবং তীর্থের কাকের মত বসে থাকতে হয় কখন দালালেরা সেই পর্চা এনে আমাদেরকে দেবে। তবে পর্চা নেওয়ার জন্য এখন আর আমাদেরকে ভূমি অফিসে যেতে হবে না আমরা নিজেরাই ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করলে পর্চা ডাকযোগে ঠিকানা মোতাবেক পৌঁছে দেবে সরকার বা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। তবে প্রথমে আমাদেরকে জেনে নিতে হবে পর্চা কি।

পর্চা বিষয়টা হল সরকারিভাবে জমি জরিপ করা বা জমিজমার বিবরণ সংগলিত সরকারি দলিলকে আমরা জানি যে খতিয়ান বলে। আর এই খতিয়ানে থাকে মৌজার দাগ নম্বর, দাগ নম্বর অনুসারে থাকে ভুমি মালিকের নাম, ভূমি মালিকের পিতার নাম বা স্বামীর নাম, স্থায়ী ঠিকানা মালিকানার বিবরণ জমির বিবরণ মৌজা নম্বর সীমানা প্রভৃতির হিসাব। আর এই খতিয়ানের অনুলিপিকেই অর্থাৎ সরকার থেকে পাওয়া এই অনুলিপিকেই পরচা বলা হয়ে থাকে। পর্চা ভূমির জন্য অবশ্যই একটি দরকারি বা অতীব প্রয়োজনীয় একটি কাগজ।

অর্থাৎ জমির দুই ধরনের দলিল থাকে একটি হল রেজিস্ট্রি দলিল আরেকটি পর্চা বা খতিয়ান। এই দুই প্রকারের দলিলি জমির জন্য জরুরি বিষয় উভয় টির বলেই মানুষ বা ভূমির মালিক ভূমি তার বলে দাবি করতে পারেন। তবে আমাদের বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনার বিষয়টি দুইটি মন্ত্রণালয় থেকে নিয়ন্ত্রণ করার কারণে অনেক সময় অনেক জটিলতার সৃষ্টি হয়ে থাকে। যেমন ধরুন এক ব্যক্তি একটি জমি ক্রয় করে দলিল শাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে রেজিস্ট্রি করে নিয়েছেন।

কিন্তু সেই ব্যক্তির জমিটির খারিজ করতে দেরি হয় ওই ভূমি মালিক আবার জমিতে অন্য কারো কাছে বিক্রি করলে এবং সেই ব্যক্তি জমির খারিজ বা নাম জারি করে ফেলেছেন। তখন তার কাছে খতিয়ান এবং রেজিস্ট্রি দলিল দুইটি থাকার বলে সে ওই জমির মালিক বলে দাবি করতে পারেন। তাহলে এখানে দুই ব্যক্তি অর্থাৎ একই জমি ক্রয় করা উভয় ক্রেতাই প্রতারণা শিকার হবে এবং দুই জনই বেশ একটা ঝামেলায় পড়ে যাবেন।

এটি সম্ভব হয় শুধুমাত্র দুই মন্ত্রণালয়ের অধীন থেকে এই ভূমি ব্যবস্থাপনা হওয়ার কারণে। তাহলে আপনারা আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে আজকে দেখে নিলেন পর্চা কি এবং বর্ষা টি কিভাবে আপনারা চিনে নিতে পারবেন এই সংক্রান্ত বিষয়টি। আশা করি আপনারা বর্ষা কি এ বিষয়টি আপনাদের অবশ্যই ক্লিয়ার হয়েছে। কারণ আমরা আমাদের পোস্টটিতে অবশ্যই অত্যন্ত বিষুদ ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে পথটা বিষয়টি কি এবং পর্চা এবং খতিয়ান যে একই কাগজ সেটি আপনাদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তাই আপনারা জমিজমা সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়ে বলিও জানার জন্য অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। কারন আমরা জমিজমা সংক্রান্ত সকল বিষয়গুলো নিয়ে অত্যন্ত সহজ ভাবে আপনাদেরকে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে থাকি। তাই আপনারা যদি আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকেন তাহলে আপনার জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে আর কোন ভাবনাচিন্তার কারণ থাকে না।