রায়ত বা রাজস্ব ইজারাদার ছিলেন মুঘল রাজস্ব ব্যবস্থার একজন কৃষক। অর্থাৎ মুঘল আমলে যে সকল কৃষকেরা রাজার জমি বা মুঘল সম্রাটের জমি ইজারা নিত বা চাষ করার জন্য বন্দোবস্ত নিত সেই সকল কৃষকদেরকে রায়ত বলা হতো। তাই আমরা দেখছি যে রাত বা রায়তি শব্দটি প্রাচীন মুঘল আমল থেকে বর্তমান পর্যন্ত চলে আসছে। বাংলা ভাষায় বা বাংলাতে মুঘল আমল থেকে চলে আসা অনেক শব্দ রয়েছে। সেই শব্দগুলি অবশ্যই আমাদের বাংলা ভাষায় এখনো পূর্বের মতোই গুরুত্ব বহন করে চলেছে।
তাদের মধ্যে অবশ্যই রায়ত বা রায়তি এছাড়া মৌজা বা আরো অনেক ভাষাগুলি রয়েছে। তবে সবচাইতে বেশি ভাষাগুলি আমাদের এখনো প্রচলিত আছে সেগুলি হল জমিজমা সংক্রান্ত বিভিন্ন শব্দ বা ভাষা বাড়িতে এখনো বিদ্যমান রয়েছে সেই মুঘল আমল থেকেই। তাই বলা যায় যে রাইতরা ছিলেন এমন ব্যক্তি যারা কৃষি কাজ করতেন এবং জমির মালিক কর্তৃক বা অন্যান্য উপায়ে সরকারকে ভূমিকর প্রদান করতেন বা তাদেরকে করতে হতো। যেহেতু এই জমিগুলি সম্রাট এসেছিল এবং সম্রাটের অধীনে থাকা সেই সম্পত্তিগুলি তারা নিজেরা নিয়েছিল এই কারণে দেখা যাচ্ছে যে সেই জমির রাজস্ব কর তাদেরকে সরকারের মাধ্যমে বা সম্রাটের মাধ্যমে দিতে হতো সম্রাটকেই।
তাই আমরা বলতে পারি যে রায়তি সম্পত্তি বা রায়তী জমি বলতে বোঝানো হয় এরকম জমি যে, জমিদারের অধীন জমির দখল স্বত্ব বিশিষ্ট প্রজা। তবে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন 1950 এর ফলে রায়তরা যমের প্রকৃত মালিকে পরিণত হয়ে যান। পতন সাময়িক বন্দোবস্ত অর্থাৎ বলা যায় যে জমিদারের নিকট থেকে কোন জমি সাময়িকভাবে বন্দোবস্ত নেওয়ার নামই হচ্ছে পত্তন নেওয়া। তাহলে আমরা দেখতে পাই যে জমি জামার যে হিসাবগুলি রয়েছে সেই হিসাবগুলি অবশ্যই জমির জমাকে ক্ষেত্রে সেই মুঘল আমল থেকে আমাদের বর্তমান সময়কাল পর্যন্ত চলে এসেছে।
তবে রায়তরা তাদের ইচ্ছামত সেই জমিগুলি বিক্রি করতে পারেনা কারণ এই জমির মালিকানা থাকে জমিদারের এই কারণে রায় ইচ্ছা করলেই তাদের সেই জমি বিক্রি করতে পারবেনা। তবে এমন কি যে তারা সেই জমির উপর কোন যদি গাছ জন্ম নেয় অর্থাৎ বড় যদি কোন গাছ জন্ম নেয় তাহলে সেই গাছত তারা বিক্রি করতে পারেনা বা কেটে নিতে পারে না। তারা গাছের ফল খেতে পারবে বিক্রি করতে পারবে কিন্তু সেই গাছের কেটে নিতে পারবে না বা গাছও বিক্রি করতে পারবেনা যদি কোন গাছ ঝড়ে ভেঙ্গে যায় সে গাছেরও মালিক অবশ্যই জমিদার এই কারণে এটি ও তারা নিতে পারবে না।
এই কারণে বলা যায় যে রায়তি জমি জমি বিক্রি করা কখনোই করতে পারবেনা শুধুমাত্র জমির কর দিয়ে তারা সেই জমির ফসল ফলাতে পারবে বা ফসল তারা নিতে পারবে কিন্তু রায়তিজমের মালিক একমাত্র জমিদার এই কারণে এই জমির উপর তারা হস্তক্ষেপ করতে পারবে না বা বিক্রি করতে পারবেনা বা অন্যান্য শ্রেণী বদল করতে পারবে না এই রায়তি দিয়ে জমির উপর। তাই আজকে আপনারা আমাদের এই পোস্ট থেকে দেখে নিতে পারলেন যে রায়তি জমি কি এবং রাইত কারা এ সম্পর্কে আপনারা অবশ্যই বিস্তারিত তথ্যগুলি জেনে নিলেন। এই তথ্যগুলি থেকে আপনারা যে বিষয়গুলি অবলোকন করতে পেরেছেন সেটি তো অবশ্যই তবে আপনারা যদি আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করেন তাহলে জমিজমা সংক্রান্ত অন্যান্য যে বিষয়গুলি রয়েছে সেই বিষয়গুলি সম্পর্কে আপনারা অবশ্যই বিস্তারিত তথ্য পেতে পারেন।
তবে এর জন্য আপনাদেরকে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে দিতে হবে। বর্তমান সময়ে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়গুলি আপনাদেরকে অবশ্যই বুঝে নিতে হলে জমিজমা সংক্রান্ত যত ধরনের তথ্য রয়েছে সেই তথ্যগুলি আপনাদেরকে অবশ্যই অবগত হতে হবে। কারণ সবচাইতে বেশি সমস্যার বিষয় হল এই জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়গুলি। তাই আপনারা যদি এই বিষয়গুলি ভাব ভালোভাবে বুঝে নিতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার জীবনে এগিয়ে থাকা হলো।