মুসলমানদের জন্য বা ইসলামিক আইনে সরাসরি জমির উপর ভূমি কর এর ব্যবস্থা রয়েছে। অর্থাৎ বলা যায় যে ইসলামিক আইনে খারাজ হচ্ছে কোন কৃষি জমির উপর ভূমি উন্নয়ন কর। অর্থাৎ কুরআন এবং হাদিস অনুযায়ী খারাজের তেমন উল্লেখ পাওয়া যায় না। তবে ভূমি উন্নয়ন করবা বোধ ইসলামিক পন্ডিতগণ এর বিধান দিয়েছেন। এবং এটিই হল ইসলামিক বা মুসলমানদের জন্য ভূমি উন্নয়ন কর। ইসলামিক পন্ডিত গান খারাজ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেছেন। অর্থাৎ ইসলামী রাষ্ট্র যে জমি কোন অমুসলিমকে বন্দোবস্ত দিয়েছে এমন জমিকে খারাজি জমি বলে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। আর এই ধরনের খারাজি জমি হতে যে রাজস্ব আদায় করা হয়ে থাকে তাকেই বলা হয় খারাজ।
সাধারণভাবে খারাজ বছরে একবার আদায় করা হয়ে থাকে। খারাজ যেহেতু জমির উপর ভিত্তি করে আরোপ করা হয় তাই এটি নির্ধারণ করার পূর্বে হোমি বিশেষজ্ঞ দ্বারা জমির গুণাগুণ পরীক্ষা পূর্বক জমির পরিমাণ নির্ধারণ করে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। অর্থাৎ ভূমির পূর্বাশক্তি ধরন সে চ ইত্যাদির ওপর পরিমাণ নির্ভর করে। আর এইগুলি হল ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর ইরাক সিরিয়া ও মিশরের বিশাল বিস্তৃত উর্বর ভূমির ওপর খারাজ নির্ধারণের জন্য ভূমি রাজস্ব কর বিশেষজ্ঞ দলের অন্যতম সদস্য ওসমান বিন হানিফ কে জমির জরির কার্য সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য খারাজ নির্ধারণ জারি করেছিলেন। তবে এই খারাজের কিছু শর্তাবলী রয়েছে। এগুলি হল-মুসলিম সরকার কর্তৃক খারাজ আরোপিত হতে হবে।
প্রত্যেক ভূমির উৎপাদিত ফসলের এমন একটা অংশ খারাপ হিসেবে নির্ধারণ করতে হবে যেন যা মোট ফসলের পাঁচ ভাগের এক ভাগ কম থেকে শুরু করে দুই ভাগের এক ভাগের বেশি না হয় এমন কিছু। আবার জমিতে ফসল উৎপাদিত যদি না হয় তাহলে আবার খাড়াস ধার্য করা যাবে না। তাই উপরে উল্লেখিত এই দুইটি বিষয়ে জমির খারাস ধার্য করা না গেলে প্রত্যেক জমির পরিমাপ করে জমির গুনাগুন বিচার করেও ভূমি উন্নয়ন কর বা নির্দিষ্ট পরিমাণের খারাজ আদায় করা যেতে পারে। তাই দেখা যাচ্ছে যে মুসলমানদের জন্য যে ভূমিকর সেটি মুসলমান রাষ্ট্রে বা ইসলামিক রাষ্ট্রে অন্যান্য জাতির জন্য সেই ভূমিকর নির্ধারিত হয় না।
এছাড়াও ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসন আমলে জিজিয়া কর নামে এক ধরনের ভূমিকর আদায় করা হতো যেটি অমুসলিমদের কাছ থেকে। তবে এই সকল জিজিয়া কর বা খারাজ বাইতুল মালে জমা হবে। বায়তুল মালে সংরক্ষিত এই অর্থ দেশের সামগ্রিক কল্যাণ ও উন্নয়নের জন্য ব্যয় করা হবে। তাহলে আমরা দেখতে পেলাম যে ঘুমের নাম কর নামে যে রাজস্ব ধার্য করা হয়ে থাকে সেই সকল কল বিভিন্ন গোষ্ঠী বা জাতির জন্য কখনো কখনো আলাদা আলাদা হতে পারে।
আমরা এখানে ইরাক ইরান সিরিয়ালে বানান এ ধরনের ইসলামিক রাষ্ট্রের জন্য খারাজ বা ভারতীয় উপমহাদেশের জিজিয়া কর নামে যে ভূমি উন্নয়ন কর গ্রহণ করা হতো সেটি আলাদা আলাদা গোষ্ঠী জাতির জন্য আলাদা আলাদা ছিল। তাই বলা হয়ে থাকে যে মুসলমানদের জন্য রাষ্ট্রীয় যে ভূমিকল সেটি অন্যান্য জাতির জন্য প্রযোজ্য নাও হতে পারে। তাই আপনারা আজকে আমাদের এই পোস্টে মুসলমানদের জন্য কর নির্ধারিত যে কর সেটি আমরা দেখার সুযোগ পেলাম।
তাই আপনারা আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটটিতে জমিজমা সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের উত্তর সহ আপনার দৈনন্দিন জীবনে যে ধরনের তথ্যের প্রয়োজন হয় এ সকল ধরনের তথ্য আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করে থাকি। তাই আপনার দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজন পড়ে এমন কোন প্রশ্নের বা তথ্যের যদি প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে আপনারা সেখান থেকে দেখে নিতে পারবেন অনায়াসেই। তাই আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে আমাদের পাশে থাকবেন এবং আমরাও আপনাদের জন্য আপনার প্রশ্নের বা তথ্যের সঠিক উত্তর দিয়ে আপনাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি।