আক্ষরিক অর্থে কর্ফা হল এমন একটি সম্পত্তি যা অন্য প্রজার নিকট থেকে জমি নিয়ে চাষ করে এমন, অর্থাৎ প্রজার অধীন। আরো বিশদভাবে বললে বলা যায় যে সাধারণত কোরফা জমিদার থেকে তালুকদার কিংবা রায়ত নিযুক্ত হয়ে থাকে। আবার অন্য দিক থেকে সরকার সরাসরি প্রজাস্বত্ব না করেই জোতদার নিয়োগ করে থাকেন। যখন কোন ব্যক্তি তালুকদার রায়ত কিংবা জোরদার হতে কোন কৃষি জমি নাল জমি হিসেবে গ্রহণ করে তখন তাকে কোর্ফা বলে। তবে কথা থাকে যে কোর্ফা সম্পত্তি শুধুমাত্র চাষবাদ যোগ্য সম্পত্তি হয়। কোন কর্পা সম্পত্তির খতিয়ানে সত্য লিপির পর সরকার নিযুক্তিয় রাজস্ব কর্মকর্তাগণ কোর্ফা জমির খাজনা এস এ টি এক্ট এর ২৪ ধারা অনুযায়ী ন্যায় সংগতভাবে নির্ধারণ করে থাকে।
রাজস্ব কর্মকর্তার নিকট কোন জমি অযৌক্তিক বা স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি খাজনা পরিলক্ষিত হইলে তিনি ওই খাজনা রাজ করতে পারেন। রাজস্ব কর্মকর্তার এই জমির পরিমাণ সঠিক আছে কিনা পার্শ্ববর্তী গ্রামের জমি ও সুযোগ সুবিধার সাথে তুলনামূলক বিচার বিশ্লেষণ করে খাজনা নিরূপণ করা হতো। এখন আমাদের জানতে হবে যে কোর্ফা প্রজাকে। যখন কোন রাইত কোন যোদ্ধার হতে খাজনার ভিত্তিতে লাল জমি বন্দোবস্ত গ্রহণ করে তখন তাকেই কোর্ফা বলা হয়ে থাকে। করফা একটি নিচস্ত রায়ত বা জোতের অধীনস্থ প্রজা। কোন কথা সম্পত্তির খতিয়ানে সত্য লিপির পর সরকার নিযুক্তি ও রাজ কর্মকর্তাগণ জমির খাজনা এস এ টি এক এর ২৪ ধারা অনুযায়ী ন্যায় সঙ্গত ভাবে তিনি নির্ধারণ করে থাকবেন। রাজস্ব কর্মকর্তার নিকট যদি অযৌক্তিক কাজ না পরিলক্ষিত হয় তাহলে তিনি তা ওই খাজনা হ্রাস করে দিতে পারেন।
রাজস্ব কর্মকর্তার এই জমির পরিমাণ সঠিক আছে কিনা সেটা পার্শ্ববর্তী গ্রামের জমি ও সুযোগ-সুবিধা সাথে তুলনামূলক বিচার-বিশ্লেষণ করো তো খাজনা নিরূপণ করে থাকবেন। কোন জমিতে korfa পত্তন করলে s একটি ৯৩ ধারা বর্ণিত নিম্নরূপ বিধি অনুসৃত হয়-
কোন রায়ত কর্তৃক সম্পূর্ণ জোত বা এর অংশ বিশেষ কোন কোন মেয়াদ বা শর্তে কোর্ফা পত্তন করা যাবে না।
আবার এই নিয়ম ভঙ্গ করলে কোন জোট বা জমি পত্তন দেওয়া হলে সেই ক্ষেত্রে উক্ত জমিতে রায়তের স্বার্থের পরিসমাপ্তি হবে এবং কোর্সা প্রদানের তারিখ হতে তা সরকারের উপর ন্যাস্ত হবে। কিন্তু আমরা বর্তমান সময়ে কর্ফা বৈধ কিনা সে বিষয়টি নিয়ে এখন আলোচনা করতে পারি। ১৯৫০ সালের রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের সতেরোর তিন এক অনুযায়ী যে কোন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে সেদিন হতে উক্ত আইনের 75 এর ক ধারা অনুযায়ী কোন ব্যক্তি তার খাস দখলীয় জমি কোর্ফা পত্তন করার অধিকারী নন।
কোন জোরদার জমিদার কিংবা উক্ত তারিখের পর কারো বরাবরে পাট্টা প্রদান করলে উক্ত দলিল বাতিলও অবৈধ বলে গণ্য হবে। তাই আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি অবশ্যই ভিজিট করবেন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে জমিজমা সংক্রান্ত সকল বিষয় সম্পর্কে দেখানো হয়েছে। আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের জন্য অনেক প্রয়োজনীয় একটি ওয়েবসাইট মনে করা হচ্ছে। কারণ বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশ ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হতে যাচ্ছে।
এছাড়াও আমাদের বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয় এখন অত্যন্ত ডিজিটাল হওয়ার কারণে সবকিছু অনলাইনে সেবা প্রদান করছেন। আর অনলাইনে এই সেবা প্রধান সম্পর্কে যদি আমাদের জনগণ প্রযুক্তিগতভাবে না বুঝতে পারেন তাহলে বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েও ডিজিটাল হবে না। কারণ জনগণকে অবশ্যই সে সকল সেবা গ্রহণ করার জন্য দক্ষ হয়ে উঠতে হবে। তবে সরকার কর্তৃক এই সেবা গুলি প্রান্তিক জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাবে।
আর এ কারণে অবশ্যই প্রত্যেক জনগণকে প্রযুক্তিগত দিক থেকে দক্ষ হতে হবে। আর এই কারণে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এ সকল সব বিষয়ে আপনাদের অবগতির জন্য আপনি কিভাবে দক্ষ হবেন সকল নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাই আপনারা যদি দক্ষ নাগরিক না হন তাহলে বাংলাদেশেও এগিয়ে যেতে পারবে না। তাই প্রত্যেকটি নাগরিকের উচিত হবে দক্ষ এবং প্রযুক্তিগত দিক থেকে আরো দক্ষ হয়ে গড়ে ওঠা।