জমির আর এস খতিয়ান

আর এস খতিয়ান হলো একবার জমি বা ভূমি জরিপ হওয়ার পর তাতে উল্লেখিত ভুলত্রুটি সংশোধনের জন্য পরবর্তীতে যে জরিপ করা হয় তা আর এস খতিয়ান নামে পরিচিত হয়। তবে দেখা যায় যে এস এ জরিপের আলোকে প্রস্তুতকৃত খতিয়ান প্রস্তুতির সময় জরিপ কর্মচারীরা সরজমিনে তদন্ত করেনি। তাতে অনেক ত্রুটি বিচ্যুতি রয়ে যায় বা ত্রুটি বিচ্যুতি রয়ে গেছে। ওই ত্রুটি বিচ্যুতি দূর করার জন্য সরকার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরে জমিনে ভূমি মাপ যোগ করে পুনরায় খতিয়ান প্রস্তুত করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই খতিয়ানি আর এস খতিয়ান নামে পরিচিত।

সারাদেশে এখন পর্যন্ত তার সমাপ্ত না হলেও অনেক জেলাতেই অর্থাৎ আমাদের দেশের অনেক জেলাতেই আরএস খতিয়ান চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত হয়েছে বলে জানানো হয় সরকারি ভূমি অফিস থেকে। সরকারি আমিনরা মাঠে গিয়ে সরে জমিনে জমি মাপামাপি করে এই খতিয়ান প্রস্তুত করেন বলে তাতে ভুল ত্রুটি কম লক্ষ্য করা যায়। আর এই কারণে আরএস খতিয়ান জমি জরিপের ক্ষেত্রে বা জমি জরিপের একটি বিশেষ মূল্যবান কাগজ বলে মনে করা হয়ে থাকে।

বাংলাদেশের অনেক এলাকায় এই খতিয়ান বিএস খতিয়ান নামেও পরিচিতি লাভ করেছে। তবে আজকে আমরা আমাদের এই পোস্টটিতে যারা এসেছে যে আরএস খতিয়ান সম্পর্কে জানতে তারা অবশ্যই আমাদের এখান থেকে আরএস খতিয়ান সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।তবে আপনারা যদি জমিজমা সংক্রান্ত অন্যান্য যে সকল বিষয় রয়েছে সেই সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাদেরকে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে আমাদের সঙ্গে থাকতে হবে।

আমরা আমাদের ওয়েবসাইটটিতে জমিজমা সংক্রান্ত সকল বিষয় সম্পর্কে অত্যন্ত সুন্দরভাবে সকল তথ্য প্রদান করা হয়েছে। তাই আপনারা যদি আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে সেই সকল তথ্য গুলি মনোযোগ সহকারে দেখে নেন তাহলে আপনার জমি জমা সংক্রান্ত বিষয়গুলি আপনার বোধগম্য হবে বলে মনে করা হয়। তবে আপনি আপনার আর এস খতিয়ান দেখার জন্য বা চেক করার জন্য অনলাইনে আবেদন করে দেখে নিতে পারেন। অনলাইনে আবেদন করার জন্য আপনাকে এখন আর ভূমি অফিসে গিয়ে ধর্ণা ধরতে হবে না। ঘরে বসেই আপনি এই কাজটি করতে পারবেন।

অর্থাৎ আপনার ব্যবহৃত স্মার্টফোনের সাহায্যে অথবা কম্পিউটার ল্যাপটপের সাহায্যে বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে প্রথমে আপনাকে আবেদন করতে হবে। তবে বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে আবেদন করতে গেলে আপনাকে অবশ্যই কিছু তথ্য আদান-প্রদান করতে হবে। কারণ সেই তথ্যগুলি আপনি যদি না জানান তাহলে বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করা সম্ভব হবে না।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটটি আপনারা অবশ্যই আপনার ইউনিয়ন ভূমি অফিস অথবা উপজেলা ভূমি অফিস থেকে এর লিংক পেতে পারেন। তবে আপনাকে আজকে আমরা আপনাদের অবগতির জন্য আমাদের এখান থেকেই সেই লিংক দিয়ে দেব যাতে আপনারা ঘরে বসেই আপনাদের খতিয়ান সম্পর্কে জানার জন্য বা যাচাই করার জন্য অনলাইনে আবেদন করে নিতে পারেন। আবেদন করার জন্য আপনাকে অনলাইন চার্জ হিসাবে বা আবেদন ফ্রি হিসেবে কিছু টাকা পেমেন্ট করতে হতে পারে। তবে সেটিও অনলাইনের মাধ্যমেই করতে হবে।

তারপর আপনি সেই লিংকে প্রবেশ করে সেখানে প্রথমে আপনার নিজ বিভাগ নিজ জেলা নিজ উপজেলা সিলেক্ট করে আপনার অবশ্যই নিজের মজার নাম আসবে। মজার নাম সিলেক্ট করলে আপনার নিজের নাম জমির খতিয়ান নম্বর দাগ নম্বর ইত্যাদি যথাযথভাবে পূরণ করলে আপনার আবেদনকৃত খতিয়ানটি আপনাকে দেখিয়ে দিতে পারবে তারা। তবে আপনার যদি সেই সার্টিফাইড কপি প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই ডাউনলোড করে প্রিন্ট আউট করে নিতে পারবেন। তাই এখন আর আর এস খতিয়ান জমির পর্চা এসব দেখার জন্য ভূমি অফিসে যেতে হয় না। আপনি ঘরে বসেই এ সকল তথ্যগুলি দেখে নিতে পারেন। তাই এ সংক্রান্ত বা এক ধরনের বিষয় সম্পর্ক জানতে আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের সঙ্গে থাকবেন।