আমরা জানি যে দিয়ারা জরিপ হলো দরিয়া সম্পর্কিত জরিপ কে বোঝায়। অর্থাৎ জেগে ওঠা নতুন ভূখণ্ড অর্থাৎ (বিশেষ করে নদীর চর অথবা সমুদ্রের চরকে বোঝায়) জেলা প্রশাসকের চাহিদার ভিত্তিতে শিকোস্তি প্রস্থের কারণে ভৌগলিক সীমারেখা ও স্বত্বের পরিবর্তন হলে নদী ও সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় নতুনভাবে জরিপ করা হয়ে থাকে। আর এই ধরনের নদীর বা চর এলাকায় নতুনভাবে ভূমি জরিপ করার নামই হল দিয়ারা জরিপ।
এই সমস্ত দিয়ারা জরিপে ভূমির নকশা ও রেকর্ড প্রস্তুত করা হয়। এই জরিপ অতি পুরাতন জরিপ। কারণ এ ধরনের জরিপকার্য অতি প্রাচীনকাল থেকেই চালিয়ে থাকে সরকার। ক্যাডাস্ট্রাল জরিপ আরম্ভ হয় ১৮৮৮ সালে পক্ষান্তরে দিয়ারা জরিপ আরম্ভ হয় ১৮৬২ সালে। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে এই দিয়ারা শরীফ অতি প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের দেশে প্রচলিত রয়েছে। দিয়ানা জরিপে সাধারণ জরিপের জন্য প্রযোজ্য সকল স্তর অনুসরণ করে প্রস্তুত ভূমির অর্থাৎ নদীর শিকোস্তি জমির নকশা ও রেকর্ড প্রস্তুত করা হয়ে থাকে।
দিয়ারা সেটেলমেন্ট অফিসারের নেতৃত্বে চারটি যথা রাজশাহী নরসিংদী চট্টগ্রাম ও বরিশাল সহ বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক অফিস ও ক্যাম্পের মাধ্যমে সারাদেশের সুনির্দিষ্ট কিছু মৌজায় এই ধরনের জরির কাজ পরিচালিত করা হয়। তাই বলা যায় যে নদী ভাঙ্গন এলাকায় যেমন অনেক জমি নদী শিক্ষার্থী তে ধরা হয় আবার সেই সকল এলাকায় যখন নতুন ভাবে চড় জাগে সেই চোর গুলি পুনরায় আবার দখল স্বত্ব নিয়ে নেয়
সেই সকল নদী ভাঙ্গন এলাকায় যাদের জমি ভেঙ্গে গিয়েছিল তারা। তাই মনে করা হয় যে দিয়ারা জরিপ বাংলাদেশের জন্য অবশ্যই একটি প্রয়োজনীয় বিষয়। কারণ হলো বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ আর এই কারণে নদীর ভাঙ্গা করার খেলার কাছে মানুষের এই অসহায়ত্বের জীবন প্রকাশ পায় প্রতিনিয়তই। তাই বাংলাদেশ সরকারও আজ অবধি এইসব জাতীয় জরিপকার্য চালিয়ে আসছে সফলতার সহিত। এ কারণে বলা যায় যে দিয়ারা জরিপ হলো দরিয়া সম্পর্কিত জরিপকেই বোঝানো হয়।
আমরা জানি যে বাংলাদেশের দরিয়া শব্দটি যে অর্থে ব্যবহৃত হয় তা সকলেই জানেন। কারণ হলো অনেক গহীন জলরাশিকে দরিয়া বলে গ্রহণ করা হয়। যেমন সাহিত্যের অনেক ভাষায় দেখা যায় যে মাঝ দরিয়া বরাবর নৌকা চালিয়ে আসছে। তাহলে বোঝা যাচ্ছে যে আসলে গহীন জলরাশিকে দরিয়া বলে আখ্যায়িত করা হয়। তেমনিভাবে এইরকম দরিয়া শরীফকেই দিয়ারা শরীফ নামে পরিচিত হয়ে থাকে।
আমরা আবার ভিডিও দেখেছি যে নদীর ভাঙ্গা করার খেলা রয়েছে। নদী যখন ভাঙতে শুরু করে তখন মানুষের ঘরবাড়ি ভিটামাটি জমি সকল কিছু তার গ্রাস করে নেয় আবার কোন এক সময় কোন এক জায়গায় নদীর মধ্যে নদীর বুকে মাথা উঁচু করে ছাদ থেকে উঠে। এই জেগে ওঠা চর একটি আইনের মাধ্যমে অর্থাৎ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে নতুনভাবে জরিপ চালিয়ে চাহিদার ভিত্তিতে জমি গুলি জনগণের মাঝে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
তাই বলা যায় যে বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে এ ধরনের জরির কার্য চালানো অবশ্যই জরুরী এবং প্রতিনিয়ত একটি বিষয় বলেই মনে করা হয়ে থাকে। তাই আপনারা যারা আমাদের এই পোস্টে এতক্ষণ মনোযোগ সহকারে পড়ে আসলেন তারা অবশ্যই দেখে নিতে পারলেন যে দিয়ারা জরিপ কি এবং এই জরিপ কেন করা হয় এই সংক্রান্ত বিষয়গুলি। আপনারা যে সম্পর্কে জানতে এসেছিলেন সেই সম্পর্কে সঠিক মতামত পেয়েছেন বলেই আশা রাখি। আপনারা অবশ্যই এই ধরনের জমি জমার সংক্রান্ত হোক অথবা আপনার দৈনন্দিন জীবনের বিষয় সংক্রান্তই হোক এ সকল বিষয়ে জানার জন্য এবং মতামত প্রদান করার জন্য অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে নিতে পারেন।
কারন আমরা আমাদের ওয়েবসাইটটি তে এ ধরনের সকল কিছু তথ্য আপনাদের জন্য অত্যন্ত সহজ সরল সাবলীল ভাষায় প্রকাশ করে থাকি। তাই আপনারা যদি আমাদের ওয়েবসাইটে এসে সকল বিষয়গুলি দেখে থাকেন তাহলে আপনাদের জীবন অবশ্যই সমৃদ্ধ হবে এবং জমিজমা সংক্রান্ত সকল জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন বলে আশা রাখি।