জমি বিক্রয় করার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই উপজেলা ভূমি অফিসের অধীনে রেজিস্টার অফিসে অর্থাৎ ভূমি রেজিস্ট্রার অফিসে গিয়ে জমি বিক্রয়ের সম্পূর্ণ কাজটি সম্পন্ন করতে হয়। কিন্তু কোন জমি যদি বিক্রয়ের জন্য কথা প্রদান করা হয় তাহলে তাকে অবশ্যই কিছুদিন পর্যন্ত সময় দিতে হয়। সময় দিতে হয় অর্থাৎ টাকা পয়সা পরিষদের জন্য অবশ্যই কিছু সময় বেঁধে দেওয়া হয়। কারণ জমে যাওয়া ক্রয় বা বিক্রয়ের সময় অবশ্যই প্রচুর টাকার লেনদেন হয়ে থাকে। জমি ক্রয় করার জন্য আমাদেরকে বিক্রেতার নিকট অবশ্যই সেই জমির নির্ধারিত দাম অনুযায়ী টাকা পরিশোধ করতে হয়। কখনো কখনো আমরা বেঁচে থাকি যে এই টাকা পরিশোধ করতে অবশ্যই একটু সময়ের প্রয়োজন হয়ে থাকে।
কারণ সবার কাছে প্রচুর পরিমাণ টাকা সব সময় নাও থাকতে পারে। এজন্য টাকা জোগাড় করে তাকে পরিশোধ করতে অবশ্যই একটি সময়ের প্রয়োজন হতে পারে। তবে আমাদেরকে জমি ক্রয় বিক্রয়ের কথাবার্তা যদি ঠিক হয়ে যায় তখন অবশ্যই কিছু টাকা আমাদেরকে বায়নানামা বাবোধ পরিশোধ করা হয়। তখন উভয় পক্ষের নিশ্চয়তা স্বরূপ একটি বায়না নামা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই পায়খানা মা চুক্তিতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় থাকে এবং কত টাকা পরিশোধ করা হলো এবং আর কত টাকা দিতে হবে এই সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরা হয়। এবং এই বিস্তারিত তথ্য গুলি অবশ্যই নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিত আকারে লিখে উভয় পক্ষের সম্মতিতে গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে দলিলটি সম্পন্ন করা হয়।
এবং সেখানে সাক্ষী গণের সাক্ষী লিপিবদ্ধ করা থাকে। এতে করে উভয় পক্ষই একটি নিরাপত্তাবোধ করে থাকে। কারণ জমিটি বিক্রয়ের কথাবার্তা হয়ে গেছে এবং সে সম্পর্কে অবশ্যই কিছু টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এবং বাকি টাকা নির্ধারিত ওই সময়ের মধ্যে তাকে পরিশোধ করে জমিটি বিক্রয়ের জন্য রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হবে। তাই এই যে ক্রয় বিক্রয়ের পূর্বমুহূর্তে বা জমি রেজিস্ট্রি এর পূর্বমুহূর্তে যে টাকা পয়সা লেনদেনের জন্য কিছু সময় অতিবাহিত হয় এবং সেই সময়ে যে ধরনের টাকা পয়সা দেওয়া হয়ে থাকে তার নিশ্চয়তা স্বরূপ যে চুক্তিনামা সই হয়ে থাকে তাকেই বলা হয় জমি বিক্রয়ের চুক্তিরামা।
আমরা জানি একটি জমি বিক্রয় করার জন্য তার দলিল হস্তান্তর করতে হয়। তবে এই দলিলটি শুধু হস্তান্তর করলে হয় তা কিন্তু না এটি লিখিতভাবে যে জমিটি ক্রয় করবে তার নামে নতুনভাবে লিখিত হয়ে সেটি সরকারি সাব রেজিস্টার কর্তৃক রেজিস্ট্রি করতে হয়। তারপরে নামজারি এবং বিভিন্ন ক্রিয়া প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে একটি জমি বিক্রয়ের কাজ বা একটি জমি ক্রয় করার কাজ সম্পন্ন হয়ে থাকে। একটি জমি বিক্রয় দলিল হলো একটি আইন ভিত্তিক নথি বা কর্মপত্র। যে দলিল প্রমাণ করে যে একটি সম্পত্তি বিক্রেতার থেকে ক্রেতার নিকট হস্তান্তরিত হয়েছে এবং সেটি আইনতভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আর এই আইনতভাবে হস্তান্তর অর্থাৎ উপজেলা ভূমি অফিসে গিয়ে সাব রেজিস্টার এর উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের নাম ঠিকানা বয়স ছবি ইত্যাদি সহ যে দলিল লিখিত হয় এবং উভয়ের উপস্থিতিতে বিক্রেতা সেটি সই অথবা বায়োমেট্রিক সাপ দিয়ে তার নিকট হস্তান্তর করে থাকেন। এই প্রক্রিয়া ততক্ষণ পর্যন্ত সম্পাদিত না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত ওই জমির নামজারি অর্থাৎ ক্রেতার নাম জারি না হওয়া পর্যন্ত। তাই একটি জমি ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে নানান জটিলতা অতিক্রম করে মালিকানা পরিবর্তন করা হয়।
তাই আজকে আপনারা আমাদের এখান থেকে দেখে নিতে পারলেন যে একটি জমি বিক্রয়ের পদ্ধতি গুলো কি কি এবং বিক্রয়ের পূর্বে যে বিক্রয় চুক্তিনামা করা হয় সেটি কিভাবে করতে হয় তা আমাদের এখান থেকে এখন আপনারা বুঝে নিলেন। তাই এ ধরনের সকল কিছু আপনার জানার থাকলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে দেখে নিতে পারেন। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটটিতে জমিজমা সংক্রান্ত সকল বিষয়ের বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করে থাকি।