গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় এখন আর আগের মত নাই। অর্থাৎ এখন আমাদেরকে যে কোন কাজ করার জন্য আগে যেমন ভূমি অফিসে গিয়ে করে আসতে হতো এখন আর সেরকম অবস্থা নয়। অনেকগুলি কাজ অর্থাৎ প্রায় সকল কাজই আমরা এখন বাড়িতে বসে অনলাইনের মাধ্যমে করে ফেলতে পারি। বর্তমান সরকার ২০০৮ সালের ক্ষমতায় আসার পূর্বে আমাদেরকে অর্থাৎ বাঙালি জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়েছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার। বর্তমান সরকার তা করে দেখিয়েছেন। যখন তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তখন হয়তো জনগণ ভেবেছিল শুধুমাত্র কথার কথা কিন্তু তারা যে কথাটি বলেছে সে কথা অবশ্যই করে দেখিয়েছে। আর এই কারণেই বাংলাদেশ ডিজিটাল হওয়ার কারণেই আমাদেরকে অনেক সরকারি সেবা সমূহ আর সেই সকল অফিসে গিয়ে সেবা গ্রহণ করতে হয় না।
বাড়িতে বসে নিজের ঘরে বসেই আমরা করে ফেলতে পারি সে সকল কাজ সমূহ। এগুলি সবই ডিজিটাল বাংলাদেশের ফল বলেই মনে করা হয়। এরপর বর্তমান সরকার আবার বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে এখন স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করবে। এই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় তারা এগিয়ে চলেছে। এই কারণে আমাদেরও স্মার্ট নাগরিক হতে হবে। স্মার্ট নাগরিক বলতে আসলে শার্ট প্যান্ট কোড তাই জুতো পড়া ভদ্রলোক বা স্মার্ট লোকের কথা বলা হচ্ছে না। প্রযুক্তিগত ব্যবহারের দিক থেকে তাদের কে স্মার্ট হতে হবে।
কারণ স্মার্ট দেশের নাগরিক অবশ্যই স্মার্ট না হলে কখনোই সেই সুযোগ সুবিধা গুলি তারা গ্রহণ করতে পারবেনা। তখন তারা অন্যান্য জনগণ থেকে অবশ্যই পিছিয়ে পড়বে। কিন্তু এক শ্রেনীর জনগণকে পিছিয়ে রেখে দেশ কখনো স্মার্ট হতে পারে না। তাই আপনারা যারা আমাদের এই পোস্টে আজকে এসেছেন কিভাবে বিএস খতিয়ান অনলাইনে আবেদন করা যায় সে সম্পর্কে জানতে তারা অবশ্যই আজকে এখান থেকে জেনে নেবেন।
এবং তার জন্য আপনাদেরকে অবশ্যই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের পোস্টটি ধৈর্য সহকারে পড়ে যেতে হবে। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ধৈর্য সহকারে যদি পড়ে যান তাহলে অবশ্যই আজকে আপনার যে প্রশ্নের উত্তর দেখতে এসেছেন সেটি পেয়ে যাবেন। তবে জমিতে আমার সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়গুলি যদি আপনারা জানতে আগ্রহী হন তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটটিতে জমিজমা সংক্রান্ত সকল বিষয়গুলি আমরা অত্যন্ত সুন্দরভাবে ব্যক্ত করেছি। তাই আপনারা যদি জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়গুলি সংক্রান্ত স্মার্ট হতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে সেখান থেকে সব তথ্য গুলি পড়ে নেবেন।
তাহলে এখন আপনার কাছে বিএস খতিয়ান অনলাইনে আবেদন প্রসঙ্গে দেখতে এসেছেন সে সম্পর্কে আমরা এখন বিস্তারিত আলোকপাত করতে পারি। চার প্রকারে আপনি আপনার খতিয়ান খুঁজতে পারেন। এই চার প্রকারের মধ্যে দাগ নম্বর দিয়ে আপনার খতিয়ান খুঁজুন, ব্যক্তির নাম দিয়ে আপনার খতিয়ান খুঁজুন, মালিকের পিতার নাম দিয়ে খতিয়ান খুঁজুন এবং খতিয়ান নম্বর দিয়ে আপনার খতিয়ান খুঁজুন। যেই তথ্যটি আপনার মনে থাকবে সেই তথ্যটি দিয়ে আপনি আপনার বিএস খতিয়ানটি যাচাই করে নিবেন। তারপর আপনি সেই যাচাইকৃত খতিয়ানটি পাওয়ার জন্য বা সার্টিফাইড কপি পাওয়ার জন্য আপনি আবেদন করতে পারেন। আবেদন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই আদেশ ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে।
তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনি প্রথমে আপনার নিজ বিভাগ নিজ জেলা নিজ উপজেলা নিজ ইউনিয়ন সিলেক্ট করে ক্লিক করলে আপনাকে অপশন দিবে। সেই অপশন অনুযায়ী আপনি আপনার জানা তথ্যগুলি সেখানে ভালোভাবে পূরণ করবেন। এরপর আপনি খুঁজুন অপশনে ক্লিক করবেন। এভাবে সার্চ করে আপনি আপনার কাঙ্খিত খতিয়ান পেলে আপনার অনলাইনে আবেদন করে নিতে পারবেন সার্টিফাইড কপি পাওয়ার জন্য। আপনি যে খতিয়ানের সার্টিফিকেট কপি বা নকল ওঠাতে চান তার তথ্য জানা থাকলে সরাসরি সেখানে ক্লিক করে খতিয়ানের জন্য আবেদন ফরমটি পূরণ করবেন। তারপর সেটি সেন্ড করে দিবেন। তাহলে আপনি একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনার বিএস খতিয়ানটি ডাকযোগে আপনার বাড়িতে এসে পৌঁছে যাবে।