অনলাইনে ডিসিআর কাটার নিয়ম

অনলাইনে ডিসিআর কাটা বা অনলাইনে কি নাম জারি করানোর জন্য আপনাকে প্রথমে অবশ্যই ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট গুলির একটি ওয়েবসাইটে যেতে হবে। ওয়েবসাইটে প্র বেশ করে আপনাকে ই নামজারির আবেদন করতে হবে। অর্থাৎ আপনাকে ডিসিআর ফি জমা দেওয়ার জন্য প্রথমে এই https://land.gov.bd ঠিকানায় আপনাকে প্রবেশ করতে হবে। তারপর এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে বা পাশে থাকা দেখবেন যে নাগরিক কর্নার নামে একটি কর্নার আছে সেই কর্নারে আপনাকে ক্লিক করতে হবে।

সেখানে ক্লিক করলে দেখবেন বা পাশের ওপরে থাকা ই নামজারি অপশন দেখতে পাবেন। এই ই নামজারি অপশনে ক্লিক করতে হবে। তাহলে আপনি দেখতে পাবেন আবেদন করুন অপশনটি। এই অপশনে গিয়ে আপনি ই নামজারীর বা ডিসিয়ারের ফি জমা দিতে পারবেন। তবে আমাদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে খতিয়ান প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত ডিসিআরসি জমা দেওয়া যাবে না বা আপনারা জমা দেবেন না। আপনাকে প্রথমে ই নামজারীর আবেদন করতে হবে।

এই নামজারের আবেদন করলে বা আবেদন করতে আপনাকে অবশ্যই আবেদন ফি বাবদ কোর্ট ফি ২০ টাকা, ও নোটিশ ফ্রী বাবদ ৫০ টাকা আবেদনের সময় অনলাইনে দিতে হয়। তবে আপনাকে খতিয়ান ফি বা ডিসিআর ফি বাবদ 1100 টাকা অনলাইন বা সরাসরি নগদ অর্থের মাধ্যমে শুধুমাত্র অনলাইনে প্রদান করা যাবে। এ সকল বিষয়ে সচেতন করতে ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রতিটি ক্ষুদেবার্তায় তারা বার্তাও পাঠিয়েছে শুধুমাত্র জনগণকে সচেতন করার জন্য।

আবেদন ফিরিয়ে দেওয়ার পর আপনি আবেদন অনুমোদন হয়েছে কিনা সেটি দেখার জন্য আপনাকে অবশ্যই অনলাইনে আপনার আবেদন ট্র্যাকিং করুন এই অপশনে গিয়ে দেখে নিতে হবে। এবং আপনি যদি আবেদন ট্র্যাকিং করে দেখেন যে আপনার আবেদনটি অনুমোদিত হয়েছে তাহলে অবশ্যই আপনি তখন ডিসিআর ফি জমা দিতে পারবেন। তাই এখন ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্বচ্ছতার যুগে আপনি কেন অন্ধকারে থাকবেন।

আপনার কষ্টার্জিত টাকা অবশ্যই আপনাকে দেখে শুনে ব্যয় করতে হবে। তাই আপনি যদি প্রথমে আবেদন করে থাকেন এবং আবেদন ফ্রি অনলাইনে দেওয়ার পর অবশ্যই আপনাকে একটু অপেক্ষা করতে হবে। অর্থাৎ আপনাকে কয়েক খাদ্য দিবস অপেক্ষা করার পর দেখতে হবে আপনার আবেদনটি অনুমোদন হয়েছে কিনা। আবেদন ট্র্যাকিং করে যদি আপনি দেখতে পান যে আপনার আবেদন ফরমটি অবশ্যই অনুমোদিত হয়েছে তখন আপনি আপনার ডিসিয়ার কাটার জন্য যে অর্থ সরকার বরাদ্দ রেখেছে সেই অর্থটি আপনি অনলাইনে পেমেন্ট করতে পারবেন। তখন আপনার আর সেই অর্থের কোন অপচয় হবে না বলে জানানো যায়।

আপনার আবেদনটি অনুমোদিত হলে এবার আপনি মোবাইল ব্যাংকিং বা ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করলে প্রাপ্তি স্বীকার বার্তা আপনার মোবাইল ফোনে প্রেরণ করবেন তারা। আপনি যদি চান তাহলে পেমেন্ট রিসিট অপশনে ক্লিক করে অনলাইনে ডিসিআরসি জমা দেওয়ার রশিদকে সংগ্রহ করার পাশাপাশি সেটি প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।

এবং আপনার নিরাপত্তার স্বার্থে সেটি আপনি করে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে করা হচ্ছে। এরপর আপনি আবেদনটি ট্রেকিং করে সার্চ করে পেজ থেকে নামজারি খতিয়ান সংগ্রহ করে নিতে পারেন। তাহলে দেখা গেল যে অনলাইনে এই ধাপ গুলি একের পর এক সম্পন্ন করে বাড়িতে বসে থেকেই আপনার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনলাইনে ডিসিআর কাটতে পারলেন। তাই বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় একটি ডিজিটাল মন্ত্রণালয়ে পরিণত হয়েছে। এবং এই ডিজিটালাইজেশনের জনগণ সুফল ভোগ করতে পারছে।

২০২২ সালের পহেলা অক্টোবর থেকে সব ধরনের কি নাম জারি অনলাইনের মাধ্যমে চালু করা হয়েছে। এবং ইনামদারের টাকা পয়সা বা পেমেন্ট আপনারা অনলাইনের মাধ্যমেই দিতে পারবেন। তাই আপনাদের আর তেমন কোন চিন্তা থাকলো না তুমি অফিসের সেবাগুলি সংক্রান্ত বিষয়ে। জমি জামার সকল খবরা-খবর আপনি বাড়িতে বসে থেকেই আপনার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দেখে নিতে পারবেন।